সোমবার ● ৬ জুন ২০২২
প্রথম পাতা » সকল বিভাগ » সাংবাদিক হানিফকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকি
সাংবাদিক হানিফকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকি
স্টাফ রিপোর্টার :: মুটোফোনের মাধ্যমে সাংবাদিক মোহাম্মদ হানিফকে প্রাণনাশের ও মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসানোর হুমকি দেওয়া হয়েছে।
গত ৩ জুন শুক্রবার রাত ৯টার দিকে তার ব্যবহৃত মুটোফোনে নাম্বারহীন ইংরেজিতে ‘প্রাইভেট নাম্বার’ লেখা একটি কল আসে। তিনি কলটি রিসিভ করার সাথে সাথে তাঁকে অপরপ্রান্ত থেকে প্রাণনাশের হুমকি ও মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকি প্রদান করা হয়। কিন্তু কে সেই অজ্ঞাত লোক বা কণ্ঠ তিনি চিনতে পারেন নি।
পরদিন শনিবার ৪ জুন এসএমপির শাহপরাণ (রহ.) থানায় জান-মালের নিরাপত্তা চেয়ে একটি সাধারণ ডায়েরী (জিডি) দায়ের করেছেন। যার নং-২২৮/তারিখ : ০৪/০৬/২০২২ ইং।
ডায়েরী সূত্রে জানা যায়, গত ৩ জুন রাতে সিলেট শহর থেকে নিজ বাড়ি বটেশ্বরে ফেরার পথে জরুরী কাজে শাহপরাণ (রহ.) মাজার গেইটে নামেন। রাত ৯টার দিকে তাঁর ব্যবহৃত মুটোফোনে নাম্বারহীন ইংরেজিতে ‘প্রাইভেট নাম্বার’ লেখা একটি কল আসে। পরে তিনি কলটি রিসিভ করার সাথে সাথে অপরপ্রান্ত থেকে পুরুষ কণ্ঠে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি সাংবাদিক হানিফকে বলে ওঠে ‘হানিফ তুমি বেশি বেড়ে গেছো, তোমাকে প্রাণে মেরে ফেলা হবে। তোমাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে ঢুকানো হবে, আর বাড়াবাড়ি করও না। তোমার সময় শেষ হয়ে আসছে’ বলে হুমকি দিয়েছে।
গতকাল রবিবার ৫ জুন এ ব্যাপারে সাংবাদিক হানিফ বলেন, তিনি গত শুক্রবার রাতে অফিস থেকে বাড়ি ফেরার পথে জরুরী কাজে শাহপরাণ মাজার গেইটে নামেন। হঠাৎ তাঁর ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে কোনো ধরণের নাম্বার ছাড়া ‘প্রাইভেট নাম্বার’ লেখা একটি কল আসে। তিনি কল রিসিভ করা মাত্রই তাঁকে প্রাণনাশের ও মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেয়। তবে, কে বা কারা তাঁকে হুমকি দিয়েছে তিনি চিনতে পারেন নি।
ওই সময় জানতে চেয়ে অজ্ঞাত ওই লোককে আপনি কে বা কোথা থেকে কথা বলছেন বার বার জিজ্ঞেস করা হলেও সে তার নাম-পরিচয় দেয়নি।
তিনি এ ব্যাপারে নিরাপত্তা চেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরী দায়ের করেছেন। বাকিটা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তদন্তে বেরিয়ে আসবে।
তিনি জানান, অজ্ঞাত ওই লোকের কথা বলার ধরণ সিলেটের আঞ্চলিক ভাষায়। তবে শুদ্ধ ভাষায় কথা বলার চেষ্টা করেছে। ৫৯ সেকেন্ড কথা বলার পর ফোন কলটি কেটে যায়।
সাধারণ ডায়েরী প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এসএমপির শাহপরাণ (রহ.) থানার ডিউটি অফিসার মো: সালাউদ্দিন।
উল্লেখ্য, মোহাম্মদ হানিফ অনলাই নিউজ পোর্টাল ‘সুরমা মেইল ডটকম’র প্রতিষ্ঠাতা। জাতীয় দৈনিক ‘সোনালী কণ্ঠ’, ‘সন্ধ্যাবাণী’ ও ‘বাংলাদেশ সময়’ পত্রিকার সিলেটের সাবেক ব্যুরোচীফ। বর্তমানে তিনি জাতীয় দৈনিক আমাদের কণ্ঠ পত্রিকার সিলেটের ব্যুরোচীফের দায়িত্ব পালন করছেন।
তিনি বাংলাদেশ রিপোর্টার্স ক্লাবের আজীবন সদস্য ও সিলেট রিপোর্টার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদকে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া ঢাকা প্রেস ক্লাবের আজীবন সদস্য।
বিশ্বনাথে কলেজে টিকটক ভিডিও করায় আরেক শিক্ষার্থী বহিষ্কার
বিশ্বনাথ :: সিলেটের বিশ্বনাথ সরকারি কলেজে নিষিদ্ধ করার পরও কলেজ ক্যাম্পাসে বারবার টিকটক ভিডিও ধারণ করার অপরাধে একাদশ শ্রেণির আরেক শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।
রবিবার ৫ জুন কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মো. মানিক মিয়া স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তাকে বহিষ্কার করা হয়।
বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী হলো একাদশ শ্রেণির ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষের ইব্রাহিম আলী। তার রোল নম্বর ২০০।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়- ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর থেকে বিশ্বনাথ সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে টিকটক ভিডিওসহ যে কোনো ধরনের ভিডিও ধারণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বিষয়টি কলেজের বিভিন্ন স্থানে এখনো সতর্কীকরণ নোটিশ টাঙানো রয়েছে।
তারপরও কলেজ ক্যাম্পাসে বারবার টিকটক ভিডিও ধারণ করেছে ইব্রাহিম আলী। আর এ অপরাধে তাকে কলেজ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
এর আগে গত ৩০ মে সোমবার কলেজে পরীক্ষার হলে ভিডিও ধারণ করার অভিযোগে আরও তিন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করে কলেজ কর্তৃপক্ষ।
৩ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ভ্রাম্যমান আদালতের জরিমানা
বিশ্বনাথ :: সিলেটের বিশ্বনাথ পৌর শহরের তিনটি ব্যবসা প্রতিষ্টানকে ৮ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। রোববার বিকেলে উপজেলা প্রশাসন ও খাদ্য নিয়ন্ত্রকের যৌথ পরিচালনায় পৌর শহরের নতুন ও পুরাতন বাজারে খাদ্য অধিদফতরের লাইসেন্স না থাকায় তাদেরকে এই জরিমানা করা হয়।
একদল পুলিশ সাথে নিয়ে ওই ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক নুসরাত জাহান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক শাহেদুর রউফ, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনধন চন্দ্র দাস, খাদ্য পরিদর্শক সালেহ আহমদ। আদালত পরিচালনারকালে ইউএনও ব্যবসা সংক্রান্ত লাইসেন্স সংগ্রহ ও ব্যবসায়ীদেরকে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রনে রাখার নির্দেশনাও দেন।
বিশ্বনাথে কাহারের বিরুদ্ধে মামলা করে নিরাপত্তাহীন মা-মেয়ে : এসপি’র কাছে অভিযোগ
স্টাফ রিপোর্টার :: সিলেটের বিশ্বনাথে এক স্কুলছাত্রী ও তার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছেন। নিরাপত্তা চেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরী করে আরো বেশি নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়েছেন তারা। তাই নিরাপত্তা চেয়ে সিলেটের পুলিশ সুপারের কাছে আবেদন করছেন।
অভিযোগে প্রকাশ, বিশ্বনাথের দূর্গাকাপন গ্রামের আন্বিয়া বেগম তার মেয়ে স্কুলছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে ২০১৯ সালের ৩০ জুন বিশ্বনাথ থানায় একটি মামলা {নং-২৬(৬)১৯} করেন। মামলায় থানার চৌধুরী গাওঁয়ের মরম আলীর পুত্র কাহার মিয়াকে একমাত্র আসামী করেন তিনি।
পরবর্তীতে র্যাব কাহার মিয়াকে গ্রেফতার করে। দীর্ঘদিন জেলে থাকার পর কাহার মিয়া জামিনে বেরিয়ে এসে আন্বিয়া ও তার মেয়েকে ওই গ্রাম থেকে তাড়িয়ে দিলে আন্বয়িয়া তার মেয়েকে নিয়ে দূর্গাকাপন গ্রামে অবস্থান নেন। তার মেয়ে বর্তমানে স্থানীয় একটি হাইস্কুলের ছাত্রী। গত ৯ মেয়ে আন্বিয়া বেগম তার মেয়েকে স্কুলে নিয়ে যাওয়ার পথে কাহার ও তার এক সহযোগী আন্বিয়ার মেয়েকে আবারো অপহরণের চেষ্টা করে এবং তাদেরকে অপহরণ ধর্ষণ ও খুনের হুমকি দেয়।
এ ঘটনায় আন্বিয়া বেগম গত ১২ মে বিশ্বনাথ থানায় কাহার ও তার এক সহযোগীকে বিবাদী করে বিম্বনাথ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী (জিডি নং-৪৭৩) করেন। খবর পেয়ে কাহার ও তার সহযাগীরা জিডির তদন্ত কর্মকর্তাকে হাত করে আন্বিয়া ও তার মেয়েকে আবারো হুমকি ধমকি দিচ্ছে। এতে করে তারা নিরাপত্তা হয়ে পড়েন আন্বিয়া ও তার মেয়ে। ফলে নিরাপত্তার অভাবে আন্বিয়া বেগমের মেয়ে স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে।
এ বিষয়ে সার্বিক নিরাপত্তা চেয়ে আন্বিয়া বেগম গত ২৫ মে সিলেটের পুলিশ সুপার কার্যালয়ে একটি আবেদন করেছেন। আবেদনে তিনি তার নিজের এবং তার মেয়ে স্কুল ছাত্রীর নিরাপত্তায় উর্ধতন মহলের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট শাখা লিখিত অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করেছে।