শনিবার ● ২৫ জুন ২০২২
প্রথম পাতা » সকল বিভাগ » পোড়াতে না পারায় পাথর বেঁধে সুরমা নদীতে লাশ
পোড়াতে না পারায় পাথর বেঁধে সুরমা নদীতে লাশ
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: সিলেটের বিশ্বনাথে নিজ বসতঘরে পানিবন্দি হয়ে অজিত রায় (৩৫) নামে এক সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালকের মৃত্যু হয়েছে। পানির জন্য লাশ পোড়াতে না পারায় পাথর বেঁধে সুরমা নদীতে ছেড়ে দেন পরিবারের লোকজন।
রবিবার (১৯ জুন) সকাল ৮টার দিকে নিজ বসত ঘরের দরজা খুলে ভাসমান অবস্থায় অজিত রায়ের (৩৫) লাশ উদ্ধার করা হয়। তিনি উপজেলার লামাকাজী ইউনিয়নের দীঘলি গ্রামের মৃত সুনিল রায়ের ছেলে।
স্থানীয় মেম্বার প্রতাব পাল জানান, শুক্রবার (১৭ জুন) বন্যার পানি বৃদ্ধি হলে বাড়িঘর ছেড়ে পরিবারের লোকজন অন্যত্র চলে যান। তাকে খুঁজে না পাওয়ায় দুই দিন পর বাড়ির দরজা খুলে ঘরের ভেতর থেকে ভাসমান অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করেন পরিবারের লোকজন। পরে পানির জন্য পোড়াতে না পারায় পাথর বেঁধে সুরমা নদীতে লাশ ছেড়ে দেওয়া হয়। এতে নিহত অজিত রায়ের ৮-১০ জনের পরিবারের একমাত্র উপার্জনের পথ বন্ধ হয়ে পড়েছে।
এ নিয়ে বিশ্বনাথে বন্যার পানিতে দুই বোনসহ ৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেল।
সৌদি আরবে বিশ্বনাথী রেমিট্যান্সযোদ্ধার মৃত্যু
বিশ্বনাথ :: সৌদি আরবে হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন নুরুল ইসলাম নামে এক বাংলাদেশি রেমিট্যান্সযোদ্ধা। গত বুধবার (২২ জুন) দুপুরে ওই দেশের জেদ্দা শহরের ঘুরাইত নামক এলাকার বাসায় তিনি মারা যান। নুরুল ইসলাম সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার খাজাঞ্চী ইউনিয়নের ৫ নাম্বার ওয়ার্ডের লালারগাঁও গ্রামের মৃত তবারক আলীর ছেলে। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ২ ছেলে ও ৩ মেয়ের জনক।
নুরুল ইসলামের জেদ্দার রুমমেট বাংলাদেশি আরেক রেমিট্যান্সযোদ্ধা আবুল খায়ের মো. রিদ্বওয়ান জানান, ‘প্রায় ২৫ বছর ধরে সৌদি আরবে বসবাস করছেন নুরুল ইসলাম। করতেন রাজমিস্ত্রির কাজ। বুধবার সকালের নাস্তা সেরে কাজে যান তিনি। দুপুরে বাসায় ফিরে মধ্যাহ্নভোজের প্রস্তুতি নেওয়ার সময় হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন নুরুল ইসলাম।’
নুরুল ইসলামের পারিবারিক একটি সূত্র বৃহস্পতিবার বিকেলে জানায়, তার লাশ বর্তমানে সেখানকার হাসপাতালে রয়েছে। জানাজা শেষে তাকে সৌদি আরবেই দাফন করা হবে।
খাজাঞ্চী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরশ আলী বলেন, ‘অত্যন্ত ভাল একজন মানুষ ছিলেন নুরুল ইসলাম। তার এমন আকস্মিক মৃত্যুতে আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি। আগামিকাল শুক্রবার নুরুল ইসলামে গ্রামের বাড়িতে তার শোকাহত পরিবারের সদস্যদের দেখতে যাব। পরিবারটি যেকোনো প্রয়োজনে আমাকে তাদের পাশে পাবে।’
বিশ্বনাথে আট দিনেও খোঁজ মিলেনি বানের জলে তলিয়ে যাওয়া ছোট্ট তাইয়্যিবার
বিশ্বনাথ :: বিশ্বনাথে আট দিনেও খোঁজ মিলেনি মায়ের কোল থেকে পড়ে বানের জলে তলিয়ে যাওয়া একবছর বয়সী তাইয়্যিবা বেগমের। ছোট্ট কন্যাসন্তানকে হারিয়ে পাগলপ্রায় মা-বাবা। পরিবারে চলছে গগণবিদারী আহাজারী। তাইয়্যিবা উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের আমতৈল-জমশেরপুর গ্রামের মোটর মেকানিক জামাল উদ্দিনের মেয়ে।
সূত্র জানায়, অসুস্থতাজনিত কারণে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন ছিলেন তাইয়্যিবা বেগম। সুস্থ হবার পর গত শুক্রবার (১৭ জুন) বিকেলে বন্যার কারণে নৌকাতে মায়ের কোলে চড়ে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। ফেরার পথে রামপাশা গ্রামের পশ্চিমে মুজরাইপাড়া এলাকার একটি কালভার্টের সামনে প্রবল স্রোতের কবলে পড়ে তাদের বহনকারি নৌকা ডুবে যায়। এ সময় মায়ের কোল থেকে ফসকে পড়ে মুহুর্তেই বানের জলে তলিয়ে যায় তাইয়্যিবা।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন স্থানীয় রামপাশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলমগীর জানান, ‘ঘটনার দু’দিন পর প্রায় এক কিলোমিটার দূরে ডুবে যাওয়া নৌকার সন্ধান পাওয়া গেলেও এখনো খোঁজ মিলেনি শিশুটির। তার মা-বাবার কান্নায় ভারী হচ্ছে পরিবেশ। তাকে খোঁজে পেতে স্থানীয়ভাবে তৎপরতা চলছে।’
বিশ্বনাথে বন্যাকবলিত দিনমজুরের বসতঘর পুড়ে ছাই
বিশ্বনাথ :: চলমান বন্যায় বিপর্যস্ত সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার সার্বিক অবস্থা এখনো স্বাভাবিক হয়নি। এর মধ্যে বন্যা আক্রান্ত এক দিনমজুরের বসতঘর আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এ যেন মরার উপর খাঁড়ার ঘা। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল মঙ্গলবার (২১ জুন) সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার দশঘর ইউনিয়নের নিহালের নোয়াগাঁও গ্রামে। ওই দিনমজুরের নাম মনির উদ্দিন (৬৫)।
মনির উদ্দিনের ছেলে তরুণ ফুটবলার জাকির জানান, ‘বন্যার পানি আমাদের ঘরে উঠায় আমরা পাশের ঘরে আশ্রয় নেই। মঙ্গলবার ঘর থেকে পানি কিছুটা নেমে গেলে একটি রুমে থাকার ব্যবস্থা করা হয়। বিদ্যুৎ না থাকায় সন্ধ্যার পরে ওই রুমের মেঝেতে মোমবাতি জ্বালিয়ে রাখা হয়। পরিবারের সদস্যরা তখন পাশের ঘরেই ছিলেন। হঠাৎ আমাদের ঘর থেকে একটি বিকট শব্দ শোনে সকলেই দেখতে পান ঘরে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে।’
জাকির আরও জানান, ‘আগুনে মানুষ ও গবাদীপশুর কোনো ক্ষয়ক্ষতি না হলেও হাঁস-মোরগ, কবুতর, পানির পাম্প, নগদ টাকা, কাপড় ও আসবাবপত্রসহ প্রায় কয়েক লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে। জ্বলন্ত মোমবাতি থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে মনে হচ্ছে না। কি কারণে বিকট শব্দ হয়েছে, সেটা রহস্যজনক লাগছে। কারণ, ঘরে থাকা গ্যাস সিলিন্ডারও বিস্ফোরিত হয়নি। সেটি লিক হওয়ার সাথে সাথে পানিতে ফেলে দেওয়া হয়।’
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বুধবার (২২ জুন) সন্ধ্যায় স্থানীয় দশঘর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এমাদ উদ্দিন খান বলেন, ‘দিনমজুর মনির উদ্দিনের পরিবারের সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রাখছি। ইউনিয়ন পরিষদ ও আমার ব্যক্তিগত পক্ষ
থেকে তাদেরকে সাধ্যানুযায়ী সহযোগিতা করব।’
বিশ্বনাথ উপজেলা ও পৌর শহরের বিভিন্ন স্থানে মজনু ফোরামের খাবার বিতরণ
বিশ্বনাথ :: বিশ্বনাথে প্রতিষ্ঠিত এম এ মজনু ফোরাম দুূর্যোগ, বন্যা, অসহায় মানুষ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও মানবসেবায় দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে যাচ্ছে। স্মরণকালের ভয়াবহু বন্যায়ও এম এ মজনু ফোরাম মানবসেবায় কাজ করে যাচ্ছে। সংগঠনটি বানভাসী মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে রান্না করা খাবার বিতরণ শুরু করেছে।
সংগঠনের উদ্যোগে শুক্রবার (২৪ জুন) বন্যা কবলিত বিশ্বনাথ উপজেলা ও পৌর শহরের বিভিন্ন জায়গায় এম এ মজনু ফোরামের উদ্যোগে ও ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা, যুক্তরাজ্য যুবলীগের সহ সভাপতি, সমাজসেবক মোহাম্মদ আলী মজনু’র অর্থায়নে রান্না করা খাবার, বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ করেছে।
ফোরামের দুটি টিম সকাল থেকে দিনব্যাপী খাবার বিতরণ করে উপজেলা ও পৌর শহরের বিভিন্ন এলাকায়। ফোরাম সূত্রে জানাগেছে, শিমুলতলা, শেখেরগাঁও, বন্ধুয়া, রঘুপুর, খাজাঞ্চি স্টেশনবাজার, নোয়াগাঁও, মাহতাবপুর, মান্দাবাজ, সত্তিশ, নোয়াগাঁও, মাছুখালি, দূর্য়াকাপন, নিউ মার্কেট, মিয়াজানেরগাঁও, চরচন্ডি, খালপাড়, বাহাড়া দুভাগ, দৌলতপুর, হাবড়াবাজারে রান্না করা খাবার বিতরণ করে ফোরামের সদস্যরা।
খাবার বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন বিশ্বনাথ প্রেসক্লাবের সভাপতি তজম্মুল আলী রাজু, এম এ মজনু ফোরামের সভাপতি মাহবুবুর রহমান, সদস্য রাজন আহমদ অপু, মাছুম আহমদ রিপন, কাওছার আহমদ, আনহার আলী, নাহিদ আহমদ, কালাম মিয়া, জুবেল মিয়া, তুষার মিয়া, কাওছার মিয়া, জুবেল আহমদ, শাহান আহমদ, ইব্রাহিম আলী, আব্দুর রহমান, আলমগীর আলী, উমর ফারুক, সৈকত, তারেক আহমদ, আব্দুল হালিম, উজ্জল প্রমুখ।
বিশ্বনাথে আরো ২ হাজার বন্যার্তকে রান্না করা খাবার দিল থানা পুলিশ
বিশ্বনাথ :: পাহাড়ি ঢল ও টানাবর্ষণে মাসখানেকের ব্যবধানে ফের বন্যায় কবলিত সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলের আরো ২ হাজার বন্যার্ত মানুষকে রান্না করা খাবার দিয়েছে থানা পুলিশ। শুক্রবার (২৪ জুন) বিকেল ৩টায় পৌর শহরের রাম সুন্দর সরকারি অগ্রগামী মডেল উচ্চ বিদ্যালয় ও দারুল উলুম ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসার আশ্রয় কেন্দ্রে আনুষ্ঠানিকভাবে খাবার বিতরণ করেন সিলেট জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহরিয়ার হোসেন। এরপর থানা পুলিশের সদস্যরা উপজেলা ও পৌর এলাকার প্রত্যন্ত অঞ্চলে খাবার বিতরণ করেন।
মাসখানেকের ব্যবধানে ফের বন্যায় বিশ্বনাথ উপজেলা কবরিত হওয়ার পর থেকে উপজেলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার পাশাপাশি বন্যার্তদের সেবায় এগিয়ে এসে মানবিকতার পরিচয় দিয়েছে থানা পুলিশ।
বাংলাদেশ পুলিশের আইজিপি ড. বেনজীর আহমদ বিপিএম (বার)’র দিক নির্দেশনায় ও সিলেট জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন পিপিএম (এ্যাডিশনাল ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত)’র সার্বিক তত্ত¡াবধানে গত কয়েক দিনে উপজেলার বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রসহ পানিবন্দী থাকা মানুষের মধ্যে বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) গাজী আতাউর রহমানের নেতৃত্বে থানা পুলিশের সদস্যরা প্রায় ৬ হাজার বন্যার্তদের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরণ করছেন।
শুক্রবার বিকেল ৩টায় আনুষ্ঠানিকভাবে রান্না করা খাবার বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন সিলেট জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ওসমানীনগর সার্কেল) রফিকুল ইসলাম, ডিবি অফিসার্স ইনচার্জ (উত্তর) রেফায়েত হোসেন, বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) গাজী আতাউর রহমান, পরিদর্শক (তদন্ত) জাহিদুল ইসলাম, পুলিশ পরিদর্শক জাবেদ আহমদ, বিশ্বনাথ থানার সেকেন্ড অফিসার রুমেন আহমদ, বিশ্বনাথ জোনের ডিআইও এসআই সবুজ মিয়া প্রমুখ।
খাবার বিতরণকালে সিলেট জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহরিয়ার হোসেন বলেন, সিলেটের প্রতিটি থানাপুলিশ অতিরিক্ত মোবাইল টিমের মাধ্যমে নিজ নিজ থানার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার পাশাপাশি সিলেট জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিনের নির্দেশনায় বন্যা শুরু হওয়ার পর থেকে বন্যার্তদের উদ্ধার করে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসা, আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ও বিভিন্ন সরকারী বেসরকারী প্রতিষ্ঠানকে খাদ্য বিতরণে সহযোগিতা করে আসছে পুলিশ। তিনি বলেন, বন্যার পানি যতদিন থাকবে ততদিন পুলিশের এসব সেবা অব্যাহত থাকবে বলে নিশ্চিত করেন তিনি।
বিশ্বনাথে ২ হাজার বন্যার্ত মানুষের মধ্যে শফিক চৌধুরী খাবার ও স্যালাইন বিতরণ
বিশ্বনাথ :: পাহাড়ি ঢল ও টানাবর্ষণে মাসখানেকের ব্যবধানে ফের বন্যায় কবলিত সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার খাজাঞ্চী ও রামপাশা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার প্রায় ২ হাজার বন্যার্ত মানুষের মধ্যে রান্না করা খাবার বিতরণ করা হয়েছে। শুক্রবার (২৪ জুন) দুপুর থেকে জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও স্থানীয় সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব শফিকুর রহমান চৌধুরীর ব্যক্তিগত উদ্যোগে ওই খাবার বিতরণ করা হয়।
এছাড়া ওই দুই ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় খাবার স্যালাইন, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট এবং আরো ২ শতাধিক মানুষের মধ্যে শুকনো খাবার বিতরণ করেন তিনি।
দুই ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে রান্না করা খাবার ও শুকনো খাবার বিতরণকালে শফিক চৌধুরী বলেন, পর পর দু’বার বন্যায় কবলিত বিশ্বনাথ উপজেলার ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের পাশে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আছেন। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকারের আমলে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদেরকে খাবারের জন্য কিংবা ত্রাণের জন্য কষ্ট করতে হবে না।
সরকারের পক্ষ থেকে জনসাধারণকে সবধরণের সহযোগীতা প্রদান করা হবে। তবে বন্যার মতো সকল প্রাকৃতিক দূর্যোগ মোকাবেলার জন্য সরকারের পাশাপাশি আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। সমাজের বিত্তবান ও প্রবাসীদেরকেও এগিয়ে আসতে হবে ক্ষতিগ্রস্থদের সহযোগীতায়।
এসময় বন্যার মতো দূর্যোগকালীন সময়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি না করার জন্য ব্যবসায়ীদের প্রতি আহবান করেন শফিক চৌধুরী বলেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ীদের কারণে সকল ভালো ব্যবসায়ীদের সম্মান যাতে নষ্ট না হয়, সে দিকে সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে। দূর্যোগকালীন সময়ে মানুষের সহযোগীতায় প্রয়োজন, এটা ভুলে গেলে চলবে না। আল্লাহর রহমতে আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধভাবে বন্যা মোকাবেলা করতে হবে।
রান্না করা খাবার ও শুকনো খাবার বিতরণকালে শফিক চৌধুরীর সাথে উপস্থিত ছিলেন রামপাশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলমগীর, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আজিজ সুমন, কার্যনির্বাহী সদস্য এমদাদ মিয়া, রামপাশা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম, খাজাঞ্চী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুর নূর, যুগ্ম সম্পাদক মিজাজুল হোসেন, বিশ্বনাথ পৌর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য রাজু আহমদ খান, আওয়ামী লীগ নেতা রফিজ আলী, কবির আহমদ, শাহেদ মিয়া, বশির আহমদ, গিয়াস উদ্দিন, খলিল আহমদ, রাসেল আহমদ, জেলা যুবলীগ নেতা কবিরুল ইসলাম কবির, রামপাশা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মোহন মিয়া, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান আতিক, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা রফিক আলী, রামপাশা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আরব শাহ, মহানগর ছাত্রলীগ নেতা শরীফ উদ্দিন সৌরভ, জেলা ছাত্রলীগ নেতা মিয়াদ আহমদ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
বিশ্বনাথে বন্যার্তদের মধ্যে আর রাহমান এডুকেশন ট্রাস্ট ইউকের চাল বিতরণ
বিশ্বনাথ :: পাহাড়ি ঢল ও টানাবর্ষণে মাসখানেকের ব্যবধানে ফের বন্যায় কবলিত সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বন্যার্ত মানুষের মধ্যে আর রাহমান এডুকেশন ট্রাস্ট ইউকের উদ্যোগে চাল বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। শুক্রবার (২৪ জুন) দুপুরে উপজেলার খাজাঞ্চী ইউনিয়নের তেলিকোনা গ্রামস্থ এলাহাবাদ রাহমান মঞ্জিলে প্রায় ৩ শতাধিক মানুষের মধ্যে চাল বিতরণের মাধ্যমে প্রধান অতিথি হিসেবে ওই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন বিশ্বনাথ প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রনঞ্জয় বৈদ্য অপু।
আর রাহমান এডুকেশন ট্রাস্ট ইউকের বাংলাদেশ শাখার সভাপতি উপাধ্যক্ষ মাওলানা মখলিছুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সহ সভাপতি মাওলানা আব্দুল মালিকের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার চরা জামেয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসার সুপার মাওলানা ছালেহ আহমদ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন খাজাঞ্চী ইউনিয়ন পরিষদের ৫নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার আমির উদ্দিন, বিশ্বনাথ প্রেস ক্লাবের সদস্য নূর উদ্দিন, আবুল কাশেম, মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম, সাংবাদিক সমুজ আহমদ সায়মন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ট্রাস্টের বাংলাদেশ শাখার উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য কমর উদ্দিন, অর্থ সম্পাদক পীর আমিনুর রহমান, মিডিয়া সম্বন্বয়ক মাহফুজুর রহমান, সদস্য লিয়াকত আলী, মাহমুদুর রহমান, আবিদুর রহমান, মানসুর রহমান প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
আজকের (শুক্রবার, ২৪ জুন) পর থেকে আর রাহমান এডুকেশন ট্রাস্ট ইউকের উদ্যোগে সিলেট-সুনামগঞ্জের প্রত্যান্ত অঞ্চলের বন্যার্তদের মধ্যে চাল বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।