রবিবার ● ৭ আগস্ট ২০২২
প্রথম পাতা » খাগড়াছড়ি » পাওনা টাকা না দেয়ার অজুহাতে মিথ্যা মামলার অভিযোগ
পাওনা টাকা না দেয়ার অজুহাতে মিথ্যা মামলার অভিযোগ
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি :: খাগড়াছড়িতে এক ব্যাবসায়ীর পাওনা টাকা পরিশোধ না করে উল্টো লালমনিরহাট আদালতে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। পারিবারিক সুসম্পর্কের সুযোগ নিয়ে টাকা-পয়সা নেয়ার পর এখন নানা টালবাহানা শুরু করেছেন বলে ভুক্তভোগী আব্দুল্লাহ আল মামুন দাবি করেছেন।
জানা যায়, আব্দুল্লাহ আল মামুনের সাথে লালমনিরহাট জেলার হাতিবান্ধা থানার ধুবনী গ্রামের অধিবাসী মো. ইসমাইল হোসেনের ছেলে মো. সাইফুল ইসলামের সাথে তার পারিবারিকভাবে সুসম্পর্ক ছিল। তারা পরস্পর সম্পর্কে আপন ভায়রা ভাই। এক সময় পারিবারিক সম্পর্ক গড়ায় আর্থিক লেনদেনে। মো. সাইফুল ইসলাম শিক্ষকতার পাশাপাশি মজুদ মালের(ধান, চাল, ভুট্টা, হলুদ) ব্যাবসা শুরু করেন। ব্যাবসা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে খাগড়াছড়িতে তার বড় ভায়রা আব্দুল্লাহ আল মামুনের নিকট হতে ১৭/০২/২০১৭ইং তারিখে ৩০০টাকার ননজুডিশিয়াল স্ট্যাম্পের মাধ্যমে একযোগে ১৫লাখ টাকা নগদ গ্রহণ করেন। একপর্যায়ে বেশ কিছুদিন ব্যাবসা কার্যক্রম চালিয়ে সাইফুল ইসলাম তার ব্যবসা বন্ধ করে দেয়। পরে আব্দুল্লাহ আল মামুনের তাগাদায় পাওনা ১৫লাখ টাকার মধ্যে ১২লাখ টাকা পর্যায়ক্রমে ৪দফায় ৩মাস, ৪মাস, ৬মাস পর পর সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে প্রেরণ করলেও অবশিষ্ট পাওনা ৩লাখ টাকা না দিয়ে আজ দিব কাল দিব বলে সময় ক্ষেপন করতে থাকে। আব্দুল্লাহ আল মামুন যোগাযোগ করলে কখনও নগদ টাকা পরিশোধ করবেন আবার কখনও নিজ ভোগদখলীয় জমির দলিল সম্পাদন করে দেবেন এমন প্রতিশ্রুতি দিতে থাকে। এভাবে প্রায় ৪বছর অতিবাহিত হয়। এরপর সাইফুল ইসলাম যোগাযোগ বিছিন্ন করে দেয়।
একপর্যায়ে পাওনা ৩লাখ টাকা ফেরত দেয়ার জন্য সময় চেয়ে পরবর্তীতে টাকা পরিশোধ না করার উদ্দেশ্যে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে সম্প্রতি সম্পূর্ণ মিথ্যা কল্পকাহিনী সাজিয়ে আব্দুল্লাহ আল মামুনের নামে লালমনিরহাটের হাতিবান্ধা থানায় একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে।
এব্যাপারে ভুক্তভোগী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আমার ছোট ভায়রা সাইফুল সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে ১২লাখ টাকা প্রদানের পর আমার বাদ-বাকি পাওনা ৩লাখ টাকার জন্য আমি চাঁপের মধ্যে রাখলে এ টাকা পরিশোধ না করার কৌশল অবলম্বন সরূপ প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে সম্পূর্ণ মিথ্যা কল্পকাহিনী সাজিয়ে বিভিন্নভাবে আমাকে হেয়প্রতিপন্ন করার অপচেষ্টা করছেন। তাছাড়া থানায় মামলা দায়ের পরবর্তী আদালতের মাধ্যমে আমার ঠিকানায় ডাকযোগে পাঠানো নোটিশ সমূহ কৌশলে আমার নিকট পৌঁছাতে দেয়া হয়নি। কিন্তু আমি নোটিশ প্রাপ্ত হয়েছি মর্মে আদালতকে বিভ্রান্ত করে ওয়ারেন্ট জারীর ব্যাবস্থা করা হয়েছে। মামলায় হাজিরা দিতে লালমনিরহাট আদালতে হাজির হলে দলবল নিয়ে আদালতের বাইরে পথ আগলে গতিরোধ করে আমার উপর আক্রমণ করে জানে মেরে ফেলার হুমকি দেয়ার লোকমুখে ও শশুরবাড়ী সূত্রে জানতে পেয়ে বর্তমানে আশংকায় ও আতঙ্কে রয়েছি। আমি সার্বিক বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি ও সুবিচার কামনা করছি।
এ ব্যাপারে মো. সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের বিষয়ে জানার চেষ্টা করলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।