মঙ্গলবার ● ৯ আগস্ট ২০২২
প্রথম পাতা » ঢাকা » গণতন্ত্র মঞ্চের আত্মপ্রকাশ
গণতন্ত্র মঞ্চের আত্মপ্রকাশ
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি :: আওয়ামী ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে গণসংগ্রাম জোরদার করার ঘোষণা দিয়ে আজ সকালে সেগুনবাগিচায় রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়ত গণতন্ত্র মঞ্চ আত্মপ্রকাশ করেছে। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল - জেএসডি, নাগরিক ঐক্য, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, গণসংহতি আন্দোলন, গণঅধিকার পরিষদ, ভাসানী অনুসারী পরিষদ ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ে আজ আনুষ্ঠানিকভাবে গণতন্ত্র মঞ্চের আত্মপ্রকাশ ঘটেছে।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল -জেএসডির সভাপতি মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক আ স ম আবদুর রব এর সভাপতিত্বে এই অনুষ্ঠানে মঞ্চের রাজনৈতিক ঘোষণা পাঠ করেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না।আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণ অধিকার পরিষদের আহবায়ক ডঃ রেজা কিবরিয়া, গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়ক আবুল হাসান রুবেল, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহবায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়কারী এডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম ও জেএসডির কার্যকরি সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন গণ অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নূরুল হক নূর।
মাহমুদূর রহমান মান্নার পেশ করা মঞ্চের রাজনৈতিক ঘোষণায় বলা হয়, বিদ্যমান ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনে দলীয় সরকারের অধীনে অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহনযোগ্য নির্বাচনের কোন অবকাশ নেই।ঘোষণায় বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের জন্য বর্তমান সরকারের পদত্যাগ, জাতীয় সংসদ বিলোপ এবং রাজনৈতিক ঐক্যমতের ভিত্তিতে অন্তর্বতীকালীন সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। অন্তর্বতীকালীন সরকারের কাজ হবে একটি অবাধ,নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করা।ঘোষণা অন্তর্বতীকালীন সরকারের সুনির্দিষ্ট কাজ উল্লেখ করা হয়।
রাজনৈতিক ঘোষণায় বিদ্যমান সরকারের বিদায়ের পাশাপাশি কতিপয় সুনির্দিষ্ট সাংবিধানিক ও শাসনতান্ত্রিক সংস্কারের প্রস্তাব করা হয় এবং বলা হয় ক্ষমতায় এসে কেউ যেন স্বৈরন্ত্রী হয়ে তার জন্য গোটা রাষ্ট্র , সরকার, সংবিধান ও শাসন ব্যবস্থার সংস্কার নিশ্চিত করতে হবে।
ঘোষণায় দেশ ও জনগণকে রক্ষার আশু দাবিনামাও তুলে ধরা হয়।
অনুষ্ঠানে মঞ্চের নেতৃবৃন্দ রাজপথ গণ আন্দোলন - গণসংগ্রাম বেগবান করতে মঞ্চের রাজনৈতিক ঘোষণার ভিত্তিতে রাজনৈতিক উদ্যোগ গ্রহণেরও প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।তারা মঞ্চের রাজনৈতিক উদ্যোগে সমাজের সকল অংশকে এগিয়ে আসারও উদাত্ত আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে আ স ম আবদুর রব বলেন, বেসামাল হয়ে সরকার চারিপাশে শুধু ষঢ়যন্ত্র দেখছে।মানুষ বা বিরোধী দলসমূহ কোন ষড়যন্ত্র করছে না।অবৈধ ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে ফন্দিফিকির করছে সরকার।
সভায় বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, জবাবদিহীবিহীন সরকার গোটা দেশকে ভয়ংকর এক নৈরাজ্য ও অনিশ্চয়তার পথে ঠেলে দিয়েছে। তিনি বলেন, আন্দোলনের পথে সরকারকে বিদায় দিতে না পারলে ভোটের অধিকার, গনতন্ত্র, জীবন - জীবিকা রক্ষার কিছুই অর্জন করা যাবেনা।
ডঃ রেজা কিবরিয়া বলেন, আইএমএফ এর লোলের মুলা ঝুলিয়ে সরকার শেষ রক্ষা করতে পারবেনা। জনগণকে রক্ষায় এই ফ্যাসিস্ট সরকারকে বিদায় দিতে হবে।
আবুল হাসান রুবেল বলেন,এই সরকার নিজেদের ব্যর্থতার বোঝা জনগণের উপর চাপিয়ে দিচ্ছে।
শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু বলেন, এই সরকার ভারতের সাথে দেশ বিরোধী নানা অপতৎপরতা যুক্ত রয়েছে।
এডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম বলেন, সরকার বদলের সাথে সাথে গোটা অগণতান্ত্রিক ব্যবস্থারও বদল ঘটাতে হবে।
শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন আন্দোলনের বিজয়ের জন্য শ্রণী পেশার মানুষসহ জনগণের ব্যাপক ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।
১১ আগস্ট বিক্ষোভ সমাবেশ :
অনুষ্ঠানে নেতৃবৃন্দ জ্বালানি তেলের অবিশ্বাস্য মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে আগামী ১১ আগস্ট বেলা ১১ টায় বিক্ষোভ সমাবেশ এর ঘোষণা দেয়া হয়।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আকবর খান, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান রিজু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের নেতা সৈয়দ হাসিবউদ্দিন হোসেন প্রমুখ।