বুধবার ● ৩১ আগস্ট ২০২২
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » মিরসরাইয়ে সড়কের সেফটি বার যেন তামাশার বস্তু
মিরসরাইয়ে সড়কের সেফটি বার যেন তামাশার বস্তু
আকতার হোসেন, মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি :: মিরসরাইয়ে সড়কের সেফটি বার যেন তামাশার বস্তুতে পরিণত হয়েছে। উপজেলার করেরহাট ইউনিয়নের হাবিলদার বাসা থেকে অলিনগর ওবায়দুল হক খন্দকার সড়কের সেফটি বার যেন তামাশার বস্তু। এই সড়ক ব্যবহার করে করেরহাট ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের বরৈয়া গ্রাম এবং পশ্চিম অলিনগর ও পূর্ব অলিনগরের ২ টা ওয়ার্ড যথাক্রমে ৭নং এবং ৮ নং ওয়ার্ড। যেখানে একটা বিজিবি ক্যাম্প, ৩ টা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১ টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১ টা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ১ টি দাখিল মাদ্রাসা ও ২ নূরানী মাদ্রাসা রয়েছে।
এখানে প্রায় ১২ হাজার মানুষের বসবাস ও প্রতিনিয়ত এই সড়ক দিয়ে সিএনজি অটোরিকশা, স্কুল গাড়ি, পিকাপ, মিনি পিকাপ সহ প্রায় ৫ শতাধিক যানবাহন চলাচল করে।
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন অলিনগর যুব কল্যান পরিষদের উদ্যোগে ২০১৯ সালের ১১ ই আগষ্ট
চালকদের দৃষ্টি আকর্ষণ এবং জনসচেতনতার জন্য সেফটি বারের উপর সাইনবোর্ড ও ট্রফিক সাইন লাগানো হয়। সাইনবোর্ড ও ট্রাফিক সিগন্যাল গুলোতে রাতে গাড়ির আলো পড়লে তা চালকদের দৃষ্টিগোচর হবে এবং দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা কম থাকবে। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের এই উদ্যোগকে সর্বস্তরের মানুষ সাধুবাদ জানিয়েছেন এবং একাত্মতা পোষণ করে।
কিন্তু ২০২০ সালের ১৪ মার্চ রাতের কোন একটা সময় অলিনগর যুব কল্যান পরিষদ কর্তৃক স্থাপিত সেফটি বারটি একটা স্বার্থান্বেষী মহল প্রতিহিংসার বশবতী হয়ে উপড়ে ফেলে। বিষয়টি জোরারগঞ্জ থানা পুলিশকে অবহিত করা হলে তৎকালীন ওসি মফিজুর রহমান ফোর্স নিয়ে সরেজমিন পরিদর্শন করে অলিনগর যুব কল্যান পরিষদকে সাথে নিয়েই সেফটি বার’টি পুনরায় স্থাপন করে।
কিন্তু গত দেড় বছর যাবৎ উক্ত সড়কের সেফটি বারের পাশ দিয়ে বিকল্প রাস্তা করে অর্থের বিনিময়ে একটা স্বার্থান্বেষী মহল ভারী যানবাহন চলাচলের সুযোগ করে দিয়েছে। যার ফলে দীর্ঘ প্রায় ১৪ বছর পর পর্যন্ত অবহেলিত অবস্থায় থাকার পর সংস্কার হওয়া উক্ত সড়কটিতে বিভিন্ন স্থানে ভাঙ্গন দেখা দিচ্ছে। এতে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে অলিনগর যুব কল্যাণ পরিষদের সভাপতি ডাক্তার মুহিন উদ্দিন চৌধুরী জানান, জনবহুল এলাকার গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটিকে ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে এবং স্থায়িত্ব টিকিয়ে রাখতে আমার সংগঠনের পক্ষ থেকে বেশ কয়েকবার সেফটি বার ও রোড সাইন লাগানো হয়েছে কিন্তু একটা স্বার্থান্বেষী মহল বারবার তার উল্টো টা করে যাচ্ছে। এবিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ জরুরী বলে মনে করছেন এই সংগঠক।
জানতে চাইলে করেরহাট ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শফি আহম্মদ বলেন, সেফটি বার স্থাপনের পরে তেমন কোন ভারী যানবাহন চলাচল করেনি তবে সেফটি বারের পাশ দিয়ে মাঝেমধ্যে মুরগী বহনকারী পিকাপ চলাচল করে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে সড়ক ও জনপদ বিভাগের মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী রনি সাহা বলেন, আমাদের দায়িত্ব সড়ক সংস্কার ও মেরামত করা কিন্তু সড়কের যত্ন করা, ভারী যানবাহন চলাচল করতে না দেওয়া এটা স্থানীয় প্রশাসন ও সচেতন মানুষের দায়িত্ব। তবুও বিষয়টি আমি আগামী মিটিংয়ে উপস্থাপন করবো এবং একটা ব্যবস্থা নেওয়া হবে।