বুধবার ● ৩০ মার্চ ২০১৬
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » রাঙামাটির ৪৯ টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন দু মাস পিছিয়ে ৬ষ্ঠ পর্য়ায়ের অন্তর্ভূক্ত
রাঙামাটির ৪৯ টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন দু মাস পিছিয়ে ৬ষ্ঠ পর্য়ায়ের অন্তর্ভূক্ত
ষ্টাফ রিপোর্টার :: রাঙামাটির ৪৯টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন স্থগিত হওয়ার পর পাহাড়ে নির্বাচনী আমেজে ভাটা পড়েছে ৷ নির্বাচন কমিশন ৩য় দফার নির্বাচন পিছিয়ে ৬ষ্ঠ পর্য়ায়ের তফশীলে অন্তর্ভুক্তি করার সিদ্ধাস্ত নেয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে ৷ প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো প্রার্থী মনোনয়ন দিতে না পারায় নির্বাচনে সবার অংশ গ্রহন নিশ্চিত করতে মঙ্গলবার এ সিদ্ভান্ত নেয় নির্বাচন কমিশন ৷
পাহাড়ের আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলগুলো ছাড়া প্রধান রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপিসহ অন্যান্য দলের প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিতে না পারায় রাঙামাটি জেলার ৪৯ টি ইউনিয়ন পরিষদের ৩য় দফার নির্বাচন পিছিয়ে ৬ষ্ঠ পর্য়ায়ের তফশীলে অনর্ত্মভ্থক্তি করার সিদ্ধান্ত নিয়ে নির্বাচন কমিশন ৷
নির্বাচন কমিশনের এই সংক্রান্ত নির্দেশনা মঙ্গলবার দুপুরে রাঙামাটি জেলা নির্বাচন অফিস ও সংশ্লিষ্ট রিটানিং অফিসারদের বরাবরে পাঠানো হয়েছে ৷
২৯ মার্চ মঙ্গবার রাঙামাটি জেলার ৪৯ টি ইউনিয়নে দাখিলকৃত মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাইয়ের দিন নির্ধারিত ছিলো ৷ দুপুর নাগাদ নির্দেশনার আসার পর নির্বাচনী কার্যক্রম স্থগিত হয়ে যায় ৷
আগামী ২৩ এপ্রিল তৃতীয় ধাপে যে ৬৮৫ ইউপিতে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন তাতে এ জেলার ৪৯ ইউনিয়ন অনত্মভর্ূক্ত ছিল৷ গত ২৭ মার্চ ছিলো মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ৷
একই ভাবে ৪৯টি ইউনিয়নে সংরক্ষিত ওয়ার্ডের ৪০৩ জন এবং সাধারণ ওয়ার্ডের সদস্যপদে মোট ১২৮২জন প্রাথর্ী তাদের মনোনয়নপত্র জমা দেন ৷ মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাইয়ের দিন নির্ধারিত ছিলো ২৯ মার্চ ৷
এসময় পর্যন্ত রাঙামাটির ৪৯টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে পাহাড়ের তিনটি আঞ্চলিক দল গুলোর সমর্থিত ১২১ জন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের ৩১জন, বিএনপি’র মনোনীত ২০জন, জাতীয় পার্টির (এরশাদ) মনোনীত ৫ জন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত ৩জনসহ মোট ১৮০জন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে তাদের মনোনয়নপত্র জমা দেন ৷
এ সময়ের মধ্যে রাঙামাটি জেলার ৪৯টি ইউপির মধ্যে ১৮টিতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি ২৯ টিতে কোন প্রার্থী দিতে পারেনি ৷
পাহাড়ের স্থানীয় দল গুলোর তৈরি করা ভীতির কারণেই এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠার পর নির্বাচন কমিশন এই সিদ্ধান্ত নেয় ৷