শুক্রবার ● ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » সম্প্রীতির বাংলাদেশ হলো বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ : বীর বাহাদুর
সম্প্রীতির বাংলাদেশ হলো বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ : বীর বাহাদুর
বান্দরবান :: পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে মহান মুক্তিযুদ্ধ হলো । সকল ধর্মের, বর্ণের মানুষ মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেনু। এ সম্প্রীতির কারণে আমরা ১৬ ডিসেম্বর মহান মুক্তিযুদ্ধের বিজয় অর্জন করেছি। সে সম্প্রীতির বাংলাদেশ হলো বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ।
আজ বান্দরবান জেলা প্রশাসন আয়োজিত জেলা প্রশাসক কার্যালয় প্রাঙ্গণে সম্প্রীতির সমাবেশে সম্প্রীতির মঞ্চে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজির সভাপতিত্বে এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা, পুলিশ সুপার মোঃ তারিকুল ইসলাম, পৌর মেয়র ইসলাম বেবী বক্তব্য রাখেন।
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর বলেন, ইসলাম প্রচারের জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ইসলামিক ফাউন্ডেশন করলেন। মাদ্রাসা শিক্ষাকে গুরুত্ব দেয়ার জন্য মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড করলেন। বিভিন্ন ধর্মের কল্যাণে বঙ্গবন্ধু ও তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদানের কথা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান সকলের জন্য কল্যাণ ট্রাস্ট করলেন। এর চেয়ে বড় সম্প্রীতির নজির বিশ্বে আর নাই। তিনি বলেন, ধর্ম যার যার এদেশ আমাদের সবার। তিনি সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে ভ্রাতৃত্ববন্ধনে আবদ্ধ হয়ে একে অন্যের সুখে দু:খের সাথী হওয়ার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
সম্প্রীতির সমাবেশে বান্দরবানকে সম্প্রীতির সুতিকাগার বলে মন্ত্রী বীর বাহাদুর বলেন, সম্প্রীতির সুতিকাগার হলো বান্দরবান। কারণ সারাদেশে বিভিন্ন সম্প্রদায় ছড়িয়ে ছিঁটিয়ে আছে । বান্দরবানের মতো এত সম্প্রদায় দেশের আর অন্য কোন জেলায় নেই।
মন্ত্রী আরো বলেন, আদিকাল থেকে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সকলে ভাতৃত্ববন্ধনে আবদ্ধ হয়ে একে অন্যের সুখে দুখে সাথী হওয়ার ব্যাপারটি বান্দরবানে অনেক আগে থেকে ছিল । সম্প্রীতি আমাদের মধ্যে সবসময় ছিল । আজকে নতুন যুগে এসে এ সম্প্রীতি শব্দটি উদ্ভাবন হলো। সম্প্রীতি নিয়েই আমাদের জন্ম । ধর্ম যার যার এ দেশ আমাদের সবার । সেই চিন্তা নিয়ে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। সব ধর্মের মানুষের কিছু দুষ্ট লোক থাকে। যে দুষ্ট লোকের কোন ধর্ম নেই , বর্ণ নেই, সম্প্রদায় নেই । তাদের কোন গ্রহণযোগ্যতা নেই। এদের বিরুদ্ধে সজাগ থাকতে হবে।
অনুষ্ঠানের প্রথমেই হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান এ চার ধর্মের গুরুরা ধর্মে শান্তির কথা আগত অতিথিদের মাঝে তুলে ধরেন।
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় থানচির দুর্গম এলাকা সোলার প্যানেল বিতরণ
থানচি, বান্দরবান :: পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পার্বত্য অঞ্চলের দুর্গম এলাকার বিদ্যুৎ সেবা থেকে বঞ্চিত মানুষের দিকটি বিশেষ বিবেচনায় রেখেছেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী রেমাক্রীর ১ হাজার ৩ শ ২৭টি পরিবারকে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে লক্ষাধিক টাকার সোলার প্যানেল সিস্টেমের বিদ্যুৎ সরঞ্জাম উপহার দিয়েছেন। শুধু তাই না সরঞ্জামগুলো স্থাপনের জন্য প্রত্যেককে নগদ টাকাও উপহার দিয়েছেন।
আজ বান্দরবান জেলার থানচি উপজেলার রেমাক্রী বাজারে ‘পার্বত্য চট্টগামের প্রত্যন্ত এলাকায় সোলার প্যানেল স্থাপনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ-২য় পর্যায়’ প্রকল্পের সহায়তায় সরবরাহকৃত ১ হাজার ৩২৭টি পরিবারের মাঝে সোলার হোম সিস্টেম বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বীর বাহাদুর আরও বলেন, দুর্গম ও প্রত্যন্ত পাহাড়ী অঞ্চলে গ্রীড লাইনের মাধ্যমে বিদ্যুত সুবিধা পেৌছানো অত্যন্ত দুস্কর ও ব্যয়বহুল। এসব এলাকায় আলো ও অন্যান্য বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা প্রক্রিয়ার একমাত্র মাধ্যম ছিলো কেরোসিন বাতি বা ডিজেল জেনারেটর। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সরকার রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান জেলায় প্রত্যন্ত দুর্গম এলাকার সুবিধাবঞ্চিত পরিবারকে বিনামূল্যে সোলার প্যানেল বিতরণ ও স্থাপন করে দেওয়া হচ্ছে বলে জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, ১০ হাজার ৮৯০ টি পরিবারকে সোলার হোম সিস্টেম এবং ২ হাজার ৮১৪টি সোলার কমিউনিটি সিস্টেমের মাধ্যমে বিদ্যুৎ বঞ্চিত পাড়া কেন্দ্র, দুর্গম এলাকার স্টুডেন্ট হোস্টেল, অনাথ আশ্রম কেন্দ্র, এতিমখানাগুলোতে বিতরণ ও স্থাপন করা হয়েছে। মন্ত্রী পাহাড়িদের আশ্বস্ত করে বলেন, সমতল ও পাহাড়ি অঞ্চলের দুর্গম এলাকায় প্রধানমন্ত্রী বিদ্যুৎ পেৌছে দিবেন।
পরে মন্ত্রী উপকারভোগীদের মাঝে বিদ্যুৎ সরঞ্জাম বিতরণ করেন এবং প্রত্যেক উপকারভোগীকে নগদ ৬৫০ টাকা করে বিতরণ করেন। প্রতিটি সোলার প্যানেল থেকে উপকারভোগীরা ১০০ ওয়াট পিক আওয়ার বিদ্যুৎ সোলার প্যানেল সরঞ্জামগুলোর মাধ্যমে ৪টি এলইডি বাল্ব, ১টি সিলিং ফ্যান, ১টি টিভি, ১টি চার্জ কন্ট্রোলার চালানো যাবে। এর আগে মন্ত্রী রেমাক্রী ইউনিয়নে অস্থায়ী ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন। মন্ত্রী এ প্রসঙ্গে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, বান্দরবান জেলার ৭ উপজেলার প্রেত্যক উপজেলা ও ইউনিয়নে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান নিশ্চিত করা হয়েছে। মন্ত্রী এলাকাবাসীকে আশ্বস্ত করে বলেন, রেমাক্রী ইউনিয়নে সরকার স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও যাতায়াত ব্যবস্থার উন্নয়ন অব্যাহত থাকবে।
এসময় পার্বত্য উন্নয়ন বোর্ডের সদস্য (বাস্তবায়ন) মো. হারুন-অর-রশিদ, বান্দরবান পুলিশ সুপার মো. তারিকুল ইসলাম, থানচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহা. আবুল মনসুর, থানচি উপজেলা চেয়ারম্যান থোয়াইহ্লা মং উপস্থিত ছিলেন।