রবিবার ● ২ অক্টোবর ২০২২
প্রথম পাতা » টিকা » সিলেটে স্থায়ীভাবে বন্ধ হচ্ছে ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ
সিলেটে স্থায়ীভাবে বন্ধ হচ্ছে ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: আগামীকাল সোমবার থেকে সারাদেশের ন্যায় সিলেটেও স্থায়ীভাবে বন্ধ হতে যাচ্ছে করোনা টিকার ১ম ডোজের কার্যক্রম। এরপর আর কাউকে করোনা টিকার ১ম ডোজ দেয়া হবেনা বলে ইতোমধ্যে জানিয়ে দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। এই নির্দেশনা অনুযায়ী ৩ অক্টোবরের পর সিলেটেও মিলবেনা করোনা টিকার ১ম ডোজ। এদিকে সিলেটে করোনা টিকার ১ম ডোজের বাকী রয়েছেন ৪ লাখ ৮৭ হাজার ৭২২ জন।
যদিও স্বাস্থ্য বিভাগ সংশ্লিষ্টদের মতে, ১ম ডোজের বাকী থাকা জনসংখ্যার অনেকেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থান করায় সেখানেই করোনার টিকা নিয়েছেন। এছাড়া সিলেটের মোট জনসংখ্যার অনেকেই যেমন সিলেটের বাইরে রয়েছেন সেখানে টিকা নিয়েছেন। আবার সিলেটের বাইরের অনেকেই সিলেটে থাকায় টিকার আওতায় এসেছেন। সেই হিসাবে সিলেটে করোনা টিকার ১ম ডোজের তেমন বেশী বাকী নেই।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো’র বরাত দিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সিলেট সূত্র জানিয়েছে, সিলেট বিভাগে মোট জনসংখ্যা ১ কোটি ১৭ লাখ ৯ হাজার ৪৭৪ জন। এরমধ্যে ১২ বছরের উর্ধ্বে জনসংখ্যা হিসেবে ৯০ লাখ ১ হাজার ৫৬৬ জনকে করোনা টিকার আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। পরবর্তীতে ৫ থেকে ১১ বছর বয়সের ১৪ লাখ ৬ হাজার ৪৫৬ জন শিশুকে টিকার আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। এর মধ্যে ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শুধু সিলেট মহানগর এলাকার ৭৬ হাজার ১০৫ জন শিশুকে টিকার ১ম ডোজ দেয়া হয়েছে। যদিও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে বলা হয়েছে শিশুদের টিকা কার্যক্রম শুধু নগর এলাকায় চলছে। পর্যায়ক্রমে এর কার্যক্রম জেলা উপজেলা পর্যায়ে চলবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ১২ বছরের উর্ধ্বে ৯০ লাখ ১ হাজার ৫২৬ জনকে করোনা টিকার ১ম ডোজ দেয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ হলেও ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৮৫ লাখ ১৩ হাজার ৮০৪ জন ১ম ডোজ নিয়েছেন। সেই হিসাবে এখনো বাকী রয়েছেন ৪ লাখ ৮৭ হাজার ৭২২ জন। এছাড়া বিভাগে করোনা টিকার ২য় ডোজ নিয়েছেন ৮০ লাখ ২১ হাজার ৩২৫ জন। বুস্টার ডোজ নিয়েছেন ২৮ লাখ ৯৫ হাজার ২৪৫ জন।
জানা গেছে, সিলেট জেলায় ১২ বছরের উর্ধ্বে মোট জনসংখ্যা ৩১ লাখ ৪৯ হাজার ৩৭৭ জন। এরমধ্যে ১ম ডোজ নিয়েছেন ৩০ লাখ ৪ হাজার ৩৭৪ জন। ১ম ডোজের বাকী আছেন ১ লাখ ৪৫ হাজার ৩ জন। এছাড়া সিলেট জেলায় ২য় ডোজ নিয়েছেন ২৭ লাখ ৪২ হাজার ৬৩১ জন এবং বুস্টার ডোজ নিয়েছেন ৮ লাখ ৫১ হাজার ৪৬৪ জন।
সুনামগঞ্জ জেলার ১২ বছরের উর্ধ্বের মোট জনসংখ্যা ২১ লাখ ৯৫ হাজার ৯৩৬ জন। এরমধ্যে ১ম ডোজ নিয়েছেন ১৯ লাখ ২৮ হাজার ৪৬২ জন। বাকী আছেন ২ লাখ ৬৭ হাজার ৪৭৪ জন। এছাড়া জেলায় ২য় ডোজ নিয়েছেন ১৮ লাখ ৩২ হাজার ৯৬৫ জন এবং বুস্টার ডোজ নিয়েছেন ৭ লাখ ৮৩ হাজার ৫২০ জন।
হবিগঞ্জ জেলার ১২ বছরের উর্ধ্বে মোট জনসংখ্যা আছেন ১৮ লাখ ৮৬ হাজার ৩৬০ জন। এরমধ্যে ১ম ডোজ নিয়েছেন ১৮ লাখ ১২ হাজার ৮৪ জন। বাকী আছেন ৭৪ হাজার ২৭৬ জন। এছাড়া জেলায় ২য় ডোজ নিয়েছেন ১৭ লাখ ৩৪ হাজার ৯৫৫ জন ও বুস্টার ডোজ নিয়েছেন ৬ লাখ ৫ হাজার ১৭১ জন।
মৌলভীবাজার জেলায় ১২ বছরের উর্ধ্বের মোট জনসংখ্যা ১৭ লাখ ৬৯ হাজার ৮৫৩ জন। এরমধ্যে ১ম ডোজ নিয়েছেন ১৭ লাখ ৬৮ হাজার ৮৮৪ জন। বাকী আছেন ৯৬৯ জন। এছাড়া জেলায় ২য় ডোজ নিয়েছেন ১৭ লাখ ১০ হাজার ৭৭৪ জন ও বুস্টার ডোজ নিয়েছেন ২ লাখ ৩৫ হাজার ৬৭২ জন।
সিলেট মহানগর এলাকায় ১২ বছরের উর্ধ্বের জনসংখ্যা ৫ লাখ ৩ হাজার ৬৪৬ জন। এরমধ্যে ১ম ডোজ নিয়েছেন ৬ লাখ ৮৭ হাজার ১৭২ জন। নগর এলাকায় লক্ষ্যমাত্রার বেশী টিকা নিয়েছেন ১ লাখ ৮৩ হাজার ৫২৬ জন। নগর এলাকায় সরকারী-বেসরকারী মিলে বিভিন্ন অঞ্চলের লোকজন বেশী থাকায় লক্ষ্যমাত্রার অনেক বেশী লোককে টিকা দেয়া হয়েছে। নগরে ২য় ডোজ নিয়েছেন ৬ লাখ ১৩ হাজার ৪১২ জন ও বুস্টার ডোজ নিয়েছেন ২ লাখ ৩৫ হাজার ৬৭২ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক হিমাংশু লাল রায় বলেন, আদমশুমারী কিংবা জনশুমারীতে সব জনসংখ্যার হিসেবটা ঠিকমতো আসেনা। পরিসংখ্যান ব্যুরোর মতে সিলেট বিভাগের প্রায় ২৫ লাখ মানুষ দেশের বাইরে বসবাস করছেন। যাদের সকলেই সংশ্লিষ্ট দেশে টিকা নিয়েছেন। সেই হিসাবে আমাদের প্রায় ৯০ ভাগের উপর মানুষ ঠিকা নিয়েছেন। এছাড়া ৫-১১ বছর বয়সী আরো ১২% শিশু যোগ করলে আদমশুমারীর জনসংখ্যা ছাড়িয়ে যাবে। তাই আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে সবাইকে টিকার আওতায় নিয়ে আসা। আদমশুমারী থেকে কেউ বাদ পড়লেও টিকা থেকে যেনো কেউ বাদ না পড়ে সেটিকে আমরা প্রাধান্য দিচ্ছি।
তিনি বলেন, সিলেট বিভাগে বর্তমানে ওয়ার্ড ভিত্তিক টিকা ক্যাম্পেইন চলছে। যা আগামীকাল সোমবার পর্যন্ত চলবে। যদিও আমরা সিলেটে এই ক্যাম্পেইন আরো ২দিন বাড়ানোর চিন্তা করছি। এছাড়া আজ রোববার সকালে স্বাস্থ্যবিভাগের একটা জরুরী মিটিং রয়েছে। সেই মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত আসবে টিকা ক্যাম্পেইনের পর ১ম ডোজ চলবে কিনা। তাই যারা এখনো টিকা নেননি তাদেরকে ক্যাম্পেইন চলাকালে টিকা নেয়ার আহ্বান জানান তিনি।
বিশ্বনাথে আগাম শীতকালীন টমেটো চাষে ব্যস্ত কৃষকেরা
বিশ্বনাথ :: সিলেটের বিশ্বনাথে আগাম শীতকালীন সবজি চাষে ব্যস্ত কৃষক। শীত আসতে আর কিছু দিন বাঁকি। সময়টা মূলত শীতকালীন সবজি চাষের উপযুক্ত সময়। ঠিক তাই অধিক লাভের আশায় আগাম শীতকালীন টমেটো চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন বিশ্বনাথ উপজেলার লামাকাজী ইউনিয়নের সুরমা পারের কৃষকেরা।
আগাম শীতকালীন টমেটো বাজারে তুলতে পারলেই অধিক টাকা পাওয়া যাবে এ ধারণা থেকে কৃষকেরা ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা লোকসান পুষিয়ে নিতে আগাম টমেটো চাষে ঝুঁকছেন। ভালো বাজারদর পেতেই মূলত শীতকালীন টমেটো বাজারে তুলতে এখনই মরিয়া হয়ে উঠেছেন এই এলাকার কৃষকরা। তাই বৃষ্টির কারণে সময়মতো টমেটো চাষ শুরু করতে না পারলেও শেষ দিকে পুরোদমে চাষে নেমে পড়েছেন তারা।
কৃষকেরা বলছেন, সামনে বড় ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে না পড়লে এ অঞ্চলে রেকর্ড পরিমাণ আগাম জাতের টমেটো উৎপাদন হবে।
উপজেলার লামাকাজী ইউনিয়নের, হাজরাই, আতাপুর, জাগিরআলা, রাজাপুর, আকিলপুর, রসুলপুর, তিলকপুরসহ বিভিন্ন এলাকার মাঠজুড়ে চাষ করা হয়েছে আগাম টমেটো।
বাঁধাকপি, টমেটো, ফুলকপি, শিম, মুলা, লাল শাক আগাম শীতকালীন এসব সবজি চাষ করলে ফসলের বেশি দাম পাওয়া যায়। তাই পুরোদমে চলছে মাঠ প্রস্তুত, বীজ বপন, চারা রোপণ ও পরিচর্যার কাজ। বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে এখন শুধু সবুজের সমারোহ।
শনিবার বিকেলে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার লামাকাজী ইউনিয়নে এসব এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, মাঠকে মাঠ শুধু সবজির ক্ষেত। টমেটো, ফুলকপি, বাঁধাকপি, মুলা, পালংশাক, লালশাক, সবুজ শাক, বেগুনসহ বিভিন্ন জাতের সবজি চাষ শুরু করেছেন কৃষক। এসব ক্ষেত পরিচর্যা করছেন তারা। লামাকাজী-প্রিতীগন্জ সড়কের পাশে সুরমা পারে হাজরাই মাঠে কথা হয় টমেটো চাষি জুয়েল আহমদের সাথে।
তিনি বলেন, এ বছর বৃষ্টির কারণে সময়মতো শীতকালীন টমেটো চাষ শুরু করতে পারেনি। যে কারণে একটু দেরি হয়েছে। গত এক সপ্তাহ থেকে এ অঞ্চলে বৃষ্টি শুরু হওয়ায় আমরা এখন পুরোদমে চাষ শুরু করেছি। তিনি বলেন, আমি এক বিঘা জমিতে টমেটো চাষ করেছি। আশা করি এখান থেকে ভালো লাভ করব।
একই মাঠে কথা হয় মো. গৌছ আলী নামে আরেকজন কৃষকের সাথে। তিনি বলেন, শীতকালীন সবজি উৎপাদনে উপযুক্ত সময়ের আগেই আমরা সবজি বাজারে তুলতে চাই। এ জন্য একটু আগেভাগে সবজি চাষ শুরু করেছি। আশা করছি আবহাওয়া অনুকূলে থাকবে এবং ভালো দাম পাবো। তবে সবজি বাজারে তোলার সময় কাংখিত দাম পাবো কি না তা নিয়ে শঙ্কায় আছি আমরা।
পাশেই গঙ্গাপুর এলাকার গিয়াস উদ্দিনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, প্রতি বছর আমরা এ অঞ্চলের চাষিরা বিপুল পরিমাণ জমিতে টমেটো আবাদ করি। কয়েক দিনের মধ্যে এসব ফসল বাজারে তুলতে পারবেন বলে জানান তিনি।
বিশ্বনাথে কিশোরিকে যৌন নিপিড়নের চেষ্টা : মামলা দায়ের
বিশ্বনাথ :: সিলেটের বিশ্বনাথে ১২ বছরের এক কিশোরীকে জোর পূর্বক ধর্ষণ চেষ্টা করেছে এক ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চালক। তার নাম ফকির মাসুক আলী (৩৫)। সে উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের মুজরাই পাড়া গ্রামের মৃত আছাব আলীর পুত্র। এ ঘটনায় ওই কিশোরীর মা বাদি হয়ে চালক মাসুক আলীকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেনছেন। (মামলা নং-১২)২২ইং। ঘটনাটি ঘটেছে গত শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে।
বাদি তার এজহারে উল্লেখ করেছেন, কিশোরী প্রতি শুক্রবারের ন্যায় গ্রামের সমজিদে কোরআন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে যাচ্ছিল। প্রতিমধ্যে রহমান মিয়ার বাড়ির সামনে গেলে ওই রিকসা চালক তাকে জোর পূর্বক রিকশায় তুলে তার স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে যৌন নিপিড়নের চেষ্টা করে। পরে কিশোরী চিৎকার করলে রিকশা চালক পালিয়ে যায়।
রিকশা চালক মাসুক আলীর বক্তব্য, ঘুষের টাকা ফেরত চাওয়ায় তাকে মারধর করা হয়েছে। তার চাচা বাদি হয়ে থানায় মামলা দিয়েছেন। (মামলানং-১১)। এ বিষয়ে কিশোরীর মা বলেন, ঘটনা আড়াল করতে এবং আমার মান সম্মান ক্ষুন্ন করার জন্য মাসুক আলী একটি কুচকৃ মহলের ইন্দনে এসব বানুয়াট কথা কলছে। আমি প্রশাসনের কাছে ন্যায় বিচার দাবি করছি।
এ ব্যাপারে কথা হলে বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) গাজী আতাউর রহমান বলেন, কিশোরী নির্যাতনের দায়ে মামলা দায়ের করা হয়েছে, আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।
বিশ্বনাথে ওয়ার্ড আ.লীগের সাধারণ সম্পাদকের নির্বাচন নিয়ে উত্তেজনা
বিশ্বনাথ :: সিলেটের বিশ্বনাথে দেওকলস ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সম্মেলনে গত ১০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে সভাপতি পদে মোঃ চেরাগ আলী নির্বাচিত হলেও সাধারণ সম্পাদক পদে জটিলতার কারণে স্থগিত রাখা হয়েছে পদটি। সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচনের তারিখ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছিলেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক টিমের নেতৃবৃন্দ ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দিলোয়ার হোসেন রুপন। কিন্তু সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচনের তারিখ এখনও দেওয়া হয়নি। ফলে নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে।
সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচনের তারিখ দিতে ১ অক্টোবর শনিবার বিশ্বনাথ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) শাহ আসাদুজামান ও সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) ফারুক আহমদ বরাবরে ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী নিশি কান্ত পাল ও আমিনুল ইসলাম ওয়েছ লিখিতভাবে দাবি জানিয়েছেন।
বিষয়টি নিয়ে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি চেরাগ আলীর সাথে আলাপকালে তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ‘সাধারণ সম্পাদকের পদে নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও এখনও নির্বাচন হয়নি।’ তিনি সাংগঠনিক টিমের নেতৃবৃন্দের প্রতি দ্রুত নির্বাচনের দাবি জানান।
দেওকলস ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী আমিনুল ইসলাম ওয়েছ ও নিশি কান্ত পাল বলেন, ‘ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদকের নির্বাচন নিয়ে তারিখ দেয়া হবে, হচ্ছে বলে আর তারিখ দেয়া হচ্ছেনা। কেন সময় ক্ষেপন করা হচ্ছে?’ তারা দ্রুত ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদের নির্বাচন দেওয়ার জন্য দাবি জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে বিশ্বনাথ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) ফারুক আহমদ বলেন, ‘সাংগঠনিক টিমের সাথে আলাপ করে জানবো এবং বিষয়টি গুরুত্বের সাথে আমরা দেখবো।’
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) শাহ আসাদুজামান আসাদ বলেন, ‘সাংগঠনিক টিমের সাথে আলাপ করে বিষয়টি জানব। বিষয়টি জেনে আমরা পদক্ষেপ গ্রহন করব।’