শনিবার ● ৮ অক্টোবর ২০২২
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » বিশ্বনাথে হাওরে মাছ ধরা নিয়ে দু’পক্ষে ফের উত্তেজনা
বিশ্বনাথে হাওরে মাছ ধরা নিয়ে দু’পক্ষে ফের উত্তেজনা
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার আলোচিত চাউলধনী হাওরে মাছ ধরা নিয়ে ইজারাদার ও হাওর রক্ষা কমিটির লোকজনের মধ্যে ফের উত্তেজনা বিরাজ করছে। দীর্ঘ প্রায় তিনটি বছর ধরে দুটি পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ, হামলা পাল্টা হামলা আর মামলা চলে আসছে। গতবছর এরই জের ধরে রাস্তায় মাটি কাটা নিয়ে ইজারাদারের পক্ষের লোকের গুলিতে নিহত হয়।
সুমেল মিয়া নামের এক স্কুলছাত্র। এই মামলায় প্রধান আসামী লন্ডনী সাইফুল আলম জেল হাজতে রয়েছে।
সম্প্রতি চাউলধনী হাওরের ইজারাদার পক্ষের সাইফুল আলমের লোকজন হাওরে মাছ ধররার কার্যক্রম শুরু করেছে। কিন্তু এতে বাঁধা হয়ে দাড়িয়েছেন ‘চাইলধনী হাওর ও কৃষক বাঁচাও’ আন্দোলন কমিটির লোকজন।
তাদের দাবি ইজারাদাররা তাদের লিজকৃত জায়গা ছাড়াও সম্পূর্ন হাওরে মাছ ধরার কার্যক্রম শুরু করেছে। এনিয়ে গত চার/পঁচ দিন ধরে উভয় পক্ষের মধ্যে একাধিকবার উত্তেজনা দেখা দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
‘চাইলধনী হাওর ও কৃষক বাঁচাও’ আন্দোলন কমিটির আহবায়ক আবুল কালাম অভিযোগ করে বলেন, সম্প্রতি এই হাওরের লিজের বাহিরের অংশে ভেল জাল দিয়ে মাছ ধরতে নেমেছিল স্থানীয় মৎস্যজীবিরা। খবর পেয়ে লিজ গ্রহিতারা অভিযোগ দিলে প্রশাসনের লোকজন হাওরে গিয়ে তাদেরকে তুলে দেয়। কিন্তু পরদিন লিজ গ্রহীতারা একই স্থানে ভেল জাল দিয়ে মাছ ধরা শুরু করে। লিজ গ্রহীতারা লিজের বাহিরে মাছ ধরার বিষয়টি একাধিকবার ইএনওকে লিখিতভাবে জানালেও কোনো প্রকার সহযোগীতা পাননি ‘চাইলধনী হাওর ও কৃষক বাঁচাও’ আন্দোলন কমিটির লোকজন।
কিন্তু ইজারাদারদের মুখের কথায় রহস্যজনকভাবে তারা হাওরে গিয়ে লিজের বাহিরে মাছ শিকারি মৎস্যজীবিদের হয়রানি করেন।
জানতে চাইলে ইউএনও নুসরাত জাহান বলেন, ‘চাইলধনী হাওর ও কৃষক বাঁচাও’ আন্দোলন কমিটির আহবায়ক আবুল কালামের অভিযোগগুলো সম্পূর্ন মিথ্যা। তিনি লিজ গ্রহীতাদেরকে মিটিং করে বলেছেন তারা লিজের বাহিরে গিয়ে মাছ না ধরার জন্য।
এবিষয়ে জানতে চাইলে লিজ গ্রহিতা দশঘর মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির সভাপতি আব্দুল জলিল বলেন, লিজকৃত অংশের বাহিরে যাওয়াতো দুরের কথা তারা এখনও হাওরে মাছ ধরাও শুরু করেননি।