শুক্রবার ● ২ ডিসেম্বর ২০২২
প্রথম পাতা » অপরাধ » বিশ্বনাথে শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখে ঘাতক কার্তিক
বিশ্বনাথে শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখে ঘাতক কার্তিক
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: সিলেটের বিশ্বনাথে প্রায় সাড়ে তিন বছর পর শিশুকন্যা খাদিজা হত্যা মামলার রহস্য উদ্ঘাটন করেছে সিআইডি পুলিশ। ওই শিশুকন্যা সুনামগঞ্জ জেলার দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানার বীর কলস গ্রামের গাড়িচালক শাহিনুর মিয়ার মেয়ে খাদিজা বেগম (৪)।
তবে তারা দীর্ঘদিন ধরে সপরিবারে বিশ্বনাথ উপজেলার সিঙ্গেরকাছ বাজারে লন্ডন প্রবাসী আব্দুস সালামের বাসার নিচতলায় ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করে আসছিল। একই বাসার কেয়ারটেকার হিসেবে বাসার সামনে একটি দোকানে চাঁদশি চিকিৎসালয় নামের একটি ফার্মেসির ব্যবসা করে আসছিল ঘাতক কার্তিক চন্দ্র মিস্ত্রী (৬৫)। সে বরিশাল জেলার গৌরনদী থানার বেদগর্ভ গ্রামের মৃত জগবন্ধু মিস্ত্রীর ছেলে।
গত রোববার (২৭ নভেম্বর) বিকালে সিঙ্গেরকাছ বাজার থেকে শিশুকন্যা খাদিজা বেগম হত্যা মামলায় তাকে গ্রেফতার করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির ওসি আশরাফ উজ্জামান। খাদিজা বেগমকে ধর্ষণের পর হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখে বলে (২৮ নভেম্বর) আদালতের কাছে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে ঘাতক কার্তিক চন্দ্র মিস্ত্রী (৬৫)।
গতকাল মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) বিকালে সিলেটের সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার সুজ্ঞান চাকমা স্বাক্ষরিত প্রেস রিলিজের মাধ্যমে সাংবাদিকদের কাছে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
উল্লেখ্য, গত ২০১৯ সালের ৩০ এপ্রিল সকালে ওই বাসার একটি পরিত্যক্ত ঘর থেকে শিশুকন্যা খাদিজা বেগমের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় একই সালের ২ মে বিশ্বনাথ থানায় মামলা করেন খাদিজার দাদা আসমত আলী।
বিশ্বনাথে দুই শিক্ষিকার দ্বন্দ্ব: তদন্তে গিয়ে অবরুদ্ধ শিক্ষা কর্মকর্তারা
বিশ্বনাথ :: সিলেটের বিশ্বনাথে দুই শিক্ষিকার অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে এলাকাবাসী, শিক্ষা অফিস ও শিক্ষক মহলে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। এ দুই শিক্ষিকা উপজেলার মিরেরচর-২ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা অঞ্জলি রাণী সিকদার ও সহকারী শিক্ষিকা সায়মা আফরিন পাপড়ি।
তাদের এই দ্বন্ধের কারণে সু-শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হয়ে কপাল পুড়ছে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৯ বছর পূর্বে ২০১৩ সালে ওই স্কুলে নিয়োগ পান সহকারী শিক্ষিকা সায়মা আফরিন পাপড়ি। তিনি যোগদানের পর থেকে প্রধান শিক্ষিকার সাথে অভ্যন্তরীণ দ্বন্ধে লিপ্ত হয়ে পড়েন। তার এই দ্বন্ধের কারণে শিক্ষিকা সায়মা আফরিন পাপড়িকে অন্যত্র ‘সমসপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে’ একবার ডেপুটেশনে বদলিও করা হয়।
কিন্তু সেখানেও তিনি একজন সহকারী শিক্ষকের সাথে দ্বন্ধে লিপ্ত হয়ে পড়েন। ৩ মাস পর পূণরায় ফিরে যান মীরেরচর-২ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সম্প্রতি তিনি ওই এলাকার বেশ কয়েকজন লোকের সাথে সখ্যতা গড়ে তাদেরকে স্কুলের অভ্যন্তরীণ তথ্য দেন।
আর এই তথ্য অনুযায়ী প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে বিভাগীয় প্রাথমিক শিক্ষা উপ-পরিচালকের কাছে স্কুল উন্নয়নের অর্থ আত্মসাতের বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দেন এলাকাবাসী।
প্রধান শিক্ষিকা যে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন ওই লিখিত অভিযোগে শিক্ষিকা সায়মা আফরিন পাপড়ির বক্তব্যও রয়েছে। তবে এলাকাবাসীর অভিযোগে দেয়া বক্তব্যের বিষয়ে সায়মা আফরিন পাপড়ি সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন।
কিন্তু গত বৃহস্পতিবার এই অভিযোগ তদন্ত করতে স্কুলে গিয়ে অবরুদ্ধ হন সিলেট সদর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা।
আব্দুল জলিল তালুকদার ও বিশ্বনাথ উপজেলা সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা সোহেল রানা। এসময় স্থানীয়দের কাছে অবরুদ্ধ হলে থানা পুলিশ তাদেরকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ওই স্কুলের দায়িত্বরত সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা সোহেল রানা বলেন, প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে ২০/২২ বছরের মধ্যে কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। কিন্তু শিক্ষিকা সায়মা আফরিন পাপড়ির আচরণগত কারণে প্রধান শিক্ষিকার সাথে তার দ্বন্ধ চরম আকারে পৌঁছেছে। এছাড়াও ওই এলাকার কিছু সংখ্যাক লোকের সাথেও শিক্ষিকা সায়মা আফরিন পাপড়ি সখ্যতা রয়েছে।
তাই স্কুলের অনেক গোপন তথ্যও বাহিরের লোকের হাতে চলে গেছে। তবে বিষয়টি নিস্পত্তির জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে বলে তিনি দাবি করেন।