বৃহস্পতিবার ● ৮ ডিসেম্বর ২০২২
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » নানিয়ারচরে ইউপিডিএফ সংগঠককে হত্যার নিন্দা
নানিয়ারচরে ইউপিডিএফ সংগঠককে হত্যার নিন্দা
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি :: ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ-মূল) এর প্রচার ও প্রকাশনা বিভাগের নিরন চাকমা প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)-এর রাঙামাটি জেলা ইউনিটের সংগঠক শান্তিদেব চাকমা সংবাদ মাধ্যমে প্রদত্ত এক বিবৃতিতে গতকাল বুধবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২২ সকালে নানিয়ারচরে ইউপিডিএফ সংগঠককে গুলি করে হত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
নিহত ইউপিডিএফ সংগঠকের নাম সুবাহু চাকমা ওরফে গিরি (৫৫), পিতা- বিরাজ মোহন চাকমা, গ্রাম-এগারাল্যা ছড়া, নানিয়ারচর।
বিবৃতিতে শান্তিদেব চাকমা উক্ত হত্যার ঘটনার জন্য সেনা মদদপুষ্ট নব্যমুখোশ ও সংস্কারবাদী সন্ত্রাসীদের দায়ি করে ঘটনার বিবরণ দিয়ে বলেন, গতকাল সকাল ৮টার সময় ইউপিডিএফ সদস্য সুবাহু চাকমা সাংগঠনিক কাজে রাঙিপাড়ার সূর্য মণি মুর্তি নামক স্থানে গেলে সেখানে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা নব্যমুখোশ-সংস্কারবাদী সন্ত্রাসীদের ৬-৭ জনের একটি দল তাঁর ওপর সশস্ত্র হামলা চালায়। সন্ত্রাসীদের গুলিতে ঘটনাস্থলে তিনি নিহত হন। সন্ত্রাসীদের মধ্যে রূপায়ন চাকমা ও শান্তিময় চাকমা নামে দু’জনকে চিনতে পেরেছেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
তাঁর মৃত্যু নিশ্চিত করে সন্ত্রাসীরা ব্রাশ ফায়ার করতে করতে বড়পুল পাড়া দোকানে যায় এবং সেখানেও ব্রাশফায়ার করে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এরপর সন্ত্রাসীরা বড়পুল পাড়া দোকান থেকে তিনটি মোটর সাইকেলে করে নানিয়ারচর সদরের টিএন্ডটি’র স’মিলের পাশের একটি স্থানে গিয়ে (নানিয়ারচর জোন থেকে আধা কিলো দূরত্বে) অবস্থান নেয়। এ সময় সেনাবাহিনীর সদস্যরা বড়পুল পাড়া দোকান ও রত্নাঙ্কুর বনবিহারের গেট এলাকায় অবস্থান নিয়ে সন্ত্রাসীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।
সেখানে কিছু সময় অবস্থান করার পর সন্ত্রাসীরা সেনাবাহিনীর নিরাপত্তায় সিএনজি ও মোটর সাইকেলে করে পুনরায় ঘটনাস্থলের দিকে চলে যায়।
বিবৃতিতে তিনি উক্ত হত্যার ঘটনাকে ন্যাক্কারজনক ও সরকারের জুম্ম দিয়ে জুম্ম ধ্বংসের নীলনক্সা বাস্তব রূপায়ন উল্লেখ করে বলেন, শাসকগোষ্ঠী ইউপিডিএফের নেতৃত্বে চলমান গণআন্দোলন দমনের জন্যই সশস্ত্র ঠ্যাঙারে বাহিনী লেলিয়ে দিয়ে একের পর এক ইউপিডিএফ নেতা-কর্মীকে হত্যা করছে।
খুন, গুম, অপহরণ করে জনগণের ন্যায্য আন্দোলন দমন করা যাবে না বলে মন্তব্য করে ইউপিডিএফ নেতা বলেন, ইউপিডিএফ পার্বত্য চট্টগামের জনগণের বেঁচে থাকার মৌলিক দাবি আদায়ে আন্দোলন করে যাচ্ছে। জনগণকে সাথে নিয়ে ইউপিডিএফ সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন এগিয়ে নিয়ে যাবে।
বিবৃতিতে তিনি অবিলম্বে সুবাহু চাকমার হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও শাস্তি নিশ্চিত করা এবং খুনি-সন্ত্রাসীদের সেনা মদদদান বন্ধ করার দাবি জানান।