বৃহস্পতিবার ● ১৫ ডিসেম্বর ২০২২
প্রথম পাতা » গুনীজন » সিএইচটি মিডিয়া এর ৮ বছর পূর্তিতে যাদের সম্মাননা দেয়া হচ্ছে
সিএইচটি মিডিয়া এর ৮ বছর পূর্তিতে যাদের সম্মাননা দেয়া হচ্ছে
ষ্টাফ রিপোর্টার :: সিএইচটি মিডিয়া দেশের ঐতিহ্যবাহী পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে প্রকাশিত প্রথম জাতীয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল আগামী ১৭ ডিসেম্বর-২০২২ ইংরেজি তারিখ সিএইচটি মিডিয়া টুয়েন্টিফোর ডটকম এর ৮ বছর পেরিয়ে ৯ বছরে পদার্পণ করবে। এ উপলক্ষে আগামী ২০ ডিসেম্বর-২০২২ সকাল ১০টায় শহরের রাঙামাটি চারুকলা একাডেমীতে পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের শ্রদ্ধা জ্ঞাপন (সকল সম্প্রদায় থেকে ১০ পরিবার), বাংলাদেশ হিজড়া কল্যাণ ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ দলিত ও বঞ্চিত জনগোষ্ঠীর অধিকার আন্দোলন, মাইনরিটি রাইটস ফোরাম বাংলাদেশ (সংখ্যালঘু সম্প্রদায়), চা শ্রমিক জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিদের, সিএইচটি মিডিয়া টুয়েন্টিফোর ডটকম এর ২০২২ সালের শ্রেষ্ঠ সাংবাদিককে সম্মাননা, ক্রীড়া ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখায়, পার্বত্য অঞ্চলে ৭০ দশক থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণে যাঁরা অবদান রেখেছেন তাদের এবং বৈশি^ক মহামারী করোনাকালিন সম্মুখ যোদ্ধা ও সংগঠনকে সংবর্ধনা, আলোচনা সভা ও কেক কাটা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।
অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা, সাংবাদিক ও গুণীজনরা উপস্থিত থাকবেন।
সিএইচটি মিডিয়া টুয়েন্টিফোর ডটকম এর ৮ বছর পূর্তিতে যাদের সম্মাননা দেয়া হচ্ছে তারা হলেন, সিএইচটি মিডিয়া টুয়েন্টিফোর ডটকম ২০২২ সালের শ্রেষ্ঠ রিপোর্টার নির্বাচিত হয়েছেন ষ্টাফ রিপোর্টার মো. আবুল কাশেমকে সম্মাননা স্মারক দেয়া হচ্ছে।
পার্বত্য অঞ্চলে ৭০ দশক থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণে যাঁরা অবদান রেখেছেন তাদের মধ্যে থেকে মহামারী ম্যালেরিয়া রোগীদের সংবাদ সংগ্রহ, আঞ্চলিক, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশ করায় দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার রাঙামাটি জেলা প্রতিনিধি, সাপ্তাহিক বনভুমি এবং দৈনিক গিরিদর্পণ পত্রিকার সম্পাদক একেএম মকছুদ আহমেদকে সম্মাননা স্মারক দেয়া হচ্ছে।
তিনি চট্টগ্রামের মিরসরাই উত্তর মগাদিয়া গ্রামের মৃত জামাল উল্ল্যাহ্ ও মাতা জমিলা খাতুনের সন্তান।
রাঙামাটির তৎকালিন লালুকালু বর্তমান সময়ে রাঙামাটি জেলাধীন বাঘাইছড়ি উপজেলার বাঘাইহাট বাংলাদেশ বনশিল্প উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফআইডিসি) কাঠ সংগ্রহের জন্য লালু-কালু গভীর জঙ্গল থেকে হাতি দিয়ে বিশাল বড়-বড় গাছ টানাতেন কর্ণফুলী পেপার মিল (কেপিএম) এর কাঁচামালের জন্য বাঁশ সংগ্রহের কাজে শত-শত বাঙ্গালী শ্রমিক লালুকালুতে অবস্থানকালিন মহামারী ম্যালেরিয়াতে মারা যাওয়া শ্রমিকদের লাশ পর্যন্ত তাদের স্বজনদের কাছে পৌছানো সম্ভব হতো না। তৎকালিন পায়ে হেটে কাপ্তাই-রাঙামাটি-লালুকালু পৌছাতে ৫-৭ দিন সময় লেগে যেত। সাংবাদিক একেএম মকছুদ আহমেদ চাকমা লালন ব্যাগ ঘাড়ে নিয়ে দিনের পর দিন পায়ে হেটে রাত্রিকালিন যে বাড়ি/ঘর পাওয়া যেত সেই বাড়িতে রাতযাপন করে পরের দিন আবার হাটা এভাবে তিনি লালুকালুসহ পাহাড়ের বিভিন্ন বনে জঙ্গলে গিয়ে মহামারী ম্যালেরিয়াতে স্থানীয় লোকজন, শ্রমিক, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বিডিআর, পুলিশ সদস্যদের মারা যাওয়ার তথ্য সংগ্রহ করে রেডিও ভয়েস অব আমেরিকা, বিবিসি বাংলাসহ একাধিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের জন্য তিনি অবদান রেখেছেন। তিনি বলেন, তৎকালিন পার্বত্য অঞ্চলে মহামারী ম্যালেরিয়ার প্রদুর্ভাব এত বেশী ছিলো লঞ্চঘাটে ও রাস্তার পাশের্^ লোকজনের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা যেত।
উল্লেখ্য, বর্তমানে বাংলাদেশ বনশিল্প উন্নয়ন কর্পোরেশন পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের অধীন একটি রাষ্ট্রয়ত্ত বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। ১৯৫৯ সনের ৩ অক্টোবর তারিখে প্রকাশিত ৬৭ নং অধ্যাদেশ বলে বর্তমান বাংলাদেশ বনশিল্প উন্নয়ন কর্পোরেশন (ইঋওউঈ) প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি দেশের অন্যতম প্রাচীন রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা। এর প্রধান কার্যালয় ৭৩, মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকায় নিজস্ব ভবনে অবস্থিত। ১৯৬০-৬১ সনে কাপ্তাইস্থ কাঠ (লগ) আহরণ প্রকল্পের মাধ্যমে বিএফআইডিসি’র যাত্রা শুরু হয়। সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১৯৬১-৬২ সালে বনবিভাগ হতে কর্পোরেশনের কাছে দেশের রাবার চাষ ও এর উন্নয়নের কার্যক্রম ন্যস্ত করা হয়।
পার্বত্য অঞ্চলে ৭০ দশক থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণে যাঁরা অবদান রেখেছেন তাদের মধ্যে থেকে মহামারী ম্যালেরিয়া রোগীদের চিকিৎসা সেবা প্রদান করায় রাঙামাটি পার্বত্য জেলার সাবেক সিভিল সার্জন ডা. স্নেহ কান্তি চাকমাকে সম্মাননা স্মারক দেয়া হচ্ছে।
তিনি পুরাতন রাঙামাটির মগবান মৌজার মাইছ ছড়ি গ্রামের মৃত নয়ন কুমার চাকমা ও মাতা তুনিবালা চাকমার সন্তান।
ডা. স্নেহ কান্তি চাকমা ১৯৮৬ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাশ করেন। ১৯৮৮ সালে বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন (বিসিআইসি) অধিনে এশিয়ার বৃহত্তম কর্ণফুলী পেপার মিল (কেপিএম) মেডিকেল অফিসার হিসাবে যোগদান করেন।
চন্দ্রঘোনায় চাকুরীকালীন তিনি রাঙামাটির তৎকালিন লালুকালু গঙ্গারাম এলাকায় বর্তমান বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক যাওয়ার পথে বাঘাইহাট ও কাচলং হেলথ সেন্টারের উপ সহকারী চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. সুভাষ চন্দ্র বড়ুয়াকে সাথে নিয়ে হাজার-হাজার ম্যালেরিয়া রোগীদের চিকিৎসা সেবা প্রদান করার তথ্য পাওয়া যায়। ২০০০ সালে ডা. স্নেহ কান্তি চাকমা রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে যোগদান করেন, এসময় রাঙামাটি সদর, কাপ্তাই, ননিয়ারচর, বরকল, লংগদু, বিলাইছড়ি ও জুড়াছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর তিনি নীলফামারী ও রাঙামাটি পার্বত্য জেলায় সিভিল সার্জন হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। এসময় প্রত্যান্ত এলাকায় পাহাড়ি বৈদ্য ঝাড়ফুক এর অপ-চিকিৎসা রোধকল্পে কাজ করেন। বৈশ্বিক মহামারী করোনাকালিন তিনি শত-শত করোনা আক্রান্ত রোগীদের বিনা খরচে চিকিৎসা সেবা প্রদান করেন।
ডা. স্নেহ কান্তি চাকমা তেহরান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ম্যালেরিয়ার ওপর আন্তর্জাতিক (ডিএমপিসি) ডিপ্লোমা ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০১৬ সালের ডিসেম্বর মাসে অবসরে যান। অবসরে যাওযার পর থেকে তিনি একজন রোটারিয়ান হিসাবে টেলিমেডিসিন সেবা অব্যহত রেখেছেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ শিল্প মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন (বিসিআইসি) ১৯৭২ সালের রাষ্ট্রপতি ২৭ নম্বর অধ্যাদেশের ১৯৭৬ সালের ২৫ নম্বর সংশোধনী বলে ৩টি কর্পোরেশন, যথা- বাংলাদেশ সার, রসায়ন ও ভেষজ শিল্প কর্পোরেশন, বাংলাদেশ কাগজ ও বোর্ড কর্পোরেশন, বাংলাদেশ ট্যানারীজ কর্পোরেশনকে একীভূত করে ১ জুলাই ১৯৭৬ সালে বাংলাদেশ রাসায়নিক শিল্প কর্পোরেশন (বিসিআইসি) প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি বাংলাদেশের বৃহত্তম কাগজ কল কর্ণফুলী পেপার মিলের দায়িত্বে রয়েছে।
বৈশ্বিক মহামারী করোনাকালিন সম্মুখ যোদ্ধা হিসাবে যাঁরা অবদান রেখেছেন তাদের মধ্যে অন্যতম ডা. মো. সাজ্জদ হোসাইন। তাকে করোনা মহামারী মোকাবেলায় বিশেষ অবদান রাখায় সম্মাননা স্মারক দেয়া হচ্ছে।
তিনি চট্টগ্রামের হাসমত আলী সারাং এর বাড়ি, আলী মাঝির পাড়া, দক্ষিণ মধ্য হালিশহর এর মো. হোসাইন ও মাতা দিলুয়ার বেগম এর সন্তান।
ডা. মো. সাজ্জাদ হোসাইন ২০১৬ সালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাশ করেন। ২০২০ সালে সরকারি চাকুরীতে মেডিকেল অফিসার হিসাবে যোগদান করেন।
কাপ্তাই উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্রে মেডিকেল অফিসার হিসাবে কর্মরত আছেন।
বৈশ্বিক মহামারী করোনাকালিন সম্মুখ যোদ্ধা হিসাবে যাঁরা অবদান রেখেছেন তাদের মধ্যে সিনিয়র স্টাফ নার্স শুভ্রা রানী বড়ুয়া অন্যতম । তাকে করোনা মহামারী মোকাবেলায় বিশেষ অবদান রাখায় সম্মাননা স্মারক দেয়া হচ্ছে।
তিনি দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার বড়গলি গ্রামের বড়বাড়ির মৃত কুন্জু বিহারী চন্দ ও মাতা মৃত মায়া রানী চন্দ এর কণ্যা।
সিনিয়র স্টাফ নার্স শুভ্রা রানী বড়ুয়া ১৯৯০ সালে রংপুর মেডিকেল কলেজ সংলগ্ন রংপুর নার্সিং ইনষ্টিটিউট থেকে মিডওয়াইফারী ও ধাত্রী বিদ্যায় ডিপ্লোমা পাশ করেন। ১৯৯৮ সালে সরকারি চাকুরীতে যোগদান করেন। তিনি সরকারি চাকুরীতে যোগদানের ১৮টি জেলা হাসপাতাল উন্নয়ন প্রকল্রে অধিনে ভোলা সদর হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন।
সরকারি চাকুরী শুরুতে তিনি চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্রে বর্তমানে সিনিয়র স্টাফ নার্স হিসাবে রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে কর্মরত আছেন।
পার্বত্য অঞ্চলে ৭৬ দশক থেকে ৯০ দশক পর্যন্ত ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণে যাঁরা অবদান রেখেছেন তাদের মধ্যে রাঙামাটি সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ম্যালেরিয়া প্রোগ্রামের বাড়ি-বাড়ি গিয়ে স্প্রে সেবা প্রদান করায় সাবেক ম্যালেরিয়া ইসপেক্টর মো. আরফান আলীকে সম্মাননা স্মারক দেয়া হচ্ছে।
তিনি ময়মনসিংহের মৃত সাদক আলী ও মাতা ফুলজান এর সন্তান।
মো. আরফান আলী চাকুরী থেকে অবসর নেয়ার পরও পার্বত্য অঞ্চলে বিভিন্ন সেবা মুলক কাজ করে যাচ্ছেন।
পার্বত্য অঞ্চলে ৭৬ দশক থেকে ৯০ দশক পর্যন্ত ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণে যাঁরা অবদান রেখেছেন তাদের মধ্যে রাঙামাটি সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ম্যালেরিয়া রোগীদের রক্ত পরিক্ষায় সেবা প্রদান করায় সাবেক সিনিয়র মেডিকেল টেকনোলোজিষ্ট (ল্যাব) সজল কান্তি বড়ুয়াকে সম্মাননা স্মারক দেয়া হচ্ছে।
তিনি চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার পশ্চিম গুজরা গ্রামের মৃত হর কিশোর চন্দ্র বড়ুয়া ও মাতা কানন বালা বড়ুয়ার সন্তান।
সজল কান্তি বড়ুয়া বলেন, তিনি চাকুরী থেকে অবসর নেয়ার পরও পার্বত্য অঞ্চলে ৭৬ দশক থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত কয়েক লক্ষ ম্যালেরিয়া রোগীদের রক্ত পরিক্ষায় সেবা প্রদান করে যাচ্ছেন।
দেশ ব্যাপী হিজড়া জনগোষ্ঠীর জীবণ-মান উন্নয়নে বিশেষ অবদান রাখায় বাংলাদেশ হিজড়া কল্যাণ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অন্যতম সংগঠক আবিদা সুলতানা মিতুকে সম্মাননা স্মারক দেয়া হচ্ছে।
তিনি ঢাকার বাড়ি নং- ১২, রোড নং-২, পশ্চিম মাতুয়াইল মৃধা বাড়ি, ডেমরা, যাত্রাবাড়ির আলহাজ্ব মাওলানা ছালেহ্ আহম্মেদ ও মাতা আলহাজ্ব মাজেদা আহম্মেদ এর কণ্যা।
আবিদা সুলতানা মিতু ১৯৯৭ সাল থেকে দেশ ব্যাপী হিজড়া জনগোষ্ঠীদের নিয়ে কাজ করছেন।
হিজড়া জনগোষ্ঠীর জীবণ-মান উন্নয়নে কাজ করার লক্ষ্যে ১১ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ, গুলিস্থান, ঢাকা-১০০০ এ ঠিকানায় সরকারি নিবন্ধন রেজিঃ নং- এস-১১৬৫৫ নিয়ে বাংলাদেশ হিজড়া কল্যাণ ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন।
দেশ ব্যাপী দলিত জনগোষ্ঠীর জীবণ-মান উন্নয়নে বিশেষ অবদান রাখায় বাংলাদেশ দলিত ও বঞ্চিত জনগোষ্ঠীর অধিকার আন্দোলন (বিডিআরএম) এর অন্যতম সংগঠক ভীমপাল্লী ডেভিড রাজুকে সম্মাননা স্মারক দেয়া হচ্ছে।
তিনি ঢাকার বাড়ি নং- ১০৫, সিটি কলোনী, গাবতলী- ১২১৬, মিরপুর, ঢাকা সিটি করপোরেশন সাম্বাইয়া ও মাতা আচ্ছিয়াম্মা এর সন্তান।
ভীমপাল্লী ডেভিড রাজু ২০০৫ সাল থেকে দেশ ব্যাপী দলিত জনগোষ্ঠীদর নিয়ে কাজ করছেন। তিনি বর্তমান বাংলাদেশ দলিত ও বঞ্চিত জনগোষ্ঠীর অধিকার আন্দোলন (বিডিআরএম) সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।
দেশ ব্যাপী সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জীবণ-মান উন্নয়নে বিশেষ অবদান রাখায় মাইনরিটি রাইটস ফোরাম বাংলাদেশ এর অন্যতম সংগঠক এডভোকেট উৎপল বিশ্বাসকে সম্মাননা স্মারক দেয়া হচ্ছে।
তিনি গোপালগঞ্জের সদর উপজেলার সানপুকুরিয়া গ্রামের অতুলকৃষ্ণ বিশ্বাস ও মাতা রেনুকা রানী বিশ্বাস এর সন্তান।
মহামান্য হাই কোর্টর আইনজীবি এডভোকেট উৎপল বিশ্বাস ২০১৫ সাল থেকে দেশ ব্যাপী মাইনরিটি রাইটস ফোরাম বাংলাদেশ সংগঠনের মাধ্যমে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জনগোষ্ঠীদর নিয়ে কাজ করছেন।
দেশ ব্যাপী চা শ্রমিক সম্প্রদায়ের জীবণ-মান উন্নয়নে বিশেষ অবদান রাখায় মৌলভীবাজার চা জনগোষ্ঠী আদিবাসী সংগঠনের এর অন্যতম সংগঠক পরিমল সিং বাড়াইক-কে সম্মাননা স্মারক দেয়া হচ্ছে।
তিনি মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার ভুরভুরিয়া চা বাগানের পরেশ সিং বাড়াইক ও মাতা ধ্রুপতী রানী বাড়াইক এর সন্তান।
পরিমল সিং বাড়াইক ২০০১ সাল থেকে দেশ ব্যাপী মৌলভীবাজার চা জনগোষ্ঠী আদিবাসী সংগঠনের মাধ্যমে চা শ্রমিকদের জনগোষ্ঠীদর উন্নয়নে কাজ করছেন। তিনি মৌলভীবাজার চা জনগোষ্ঠী আদিবাসী ফ্রন্ট সংগঠনের সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন।
পার্বত্য অঞ্চলসহ দেশ ব্যাপী ক্রীড়া ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখায় রাঙামাটি জেলার সবেক ক্রীড়া অফিসার স্বপন কিশোর চাকমাকে সম্মাননা স্মারক দেয়া হচ্ছে।
তিনি রাঙামাটি শহরের মাঝেরবস্তির কিরণ বিকাশ চাকমা ও মাতা শৈলবালা চাকমার এর সন্তান।
স্বপন কিশোর চাকমা ১৯৯৪ সাল থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত খাগড়াছড়ি, ২০০৩ থেকে বান্দরবান জেলার অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেন, ২০০৮ থেকে ২০০-২১ সাল পর্যন্ত রাঙামাটি পার্বত্য জেলা ক্রীড়া অফিসার পদে দায়িত্ব পালন কালিন সরকারি চাকুরী থেকে অবসর গ্রহন করেন।
এছাড়া বৈশ্বিক মহামারী করোনাকালিন সম্মুখ যোদ্ধা হিসাবে করোনায় মৃত ব্যক্তিদের লাশ দাফন-কাফন, লাশের সৎকার করে মহামারী মোকাবেলায় বিশেষ অবদান রাখায় গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ রাঙামাটি পার্বত্য জেলাকে সম্মাননা স্মারক দেয়া হচ্ছে।
গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ ইসলাম ধর্মের অনুসারী একটি অরাজনৈতিক সংগঠন হলেও করোনাকালে এর কার্যক্রম দেশ বিদেশে বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছে। সারাদেশের মত রাঙামাটি জেলায়ও এর কার্যক্রম এবং সেবা ছিল প্রশংসার দাবিদার। গাউসিয়া কমিটি করোনায় দাফন ও সৎকার টিমের রাঙামাটি জেলা সমন্বয়ক ইয়াছিন রানা সোহেল-এর নেতৃত্বে এক ঝাঁক নিবেদিতপ্রাণ স্বেচ্ছাসেবি মানবিক টিম হিসেবে কাজ করেছেন। জাত ধর্ম ভুলে করোনায় আক্রান্ত সকল ধর্মের লোকদের সহযোগিতা দিতে এগিয়ে এসেছিলেন তাঁরা। করোনার কঠিন সময়ে করোনায় মৃতের গোসল, কাফন, দাফন ও সৎকারে দিন রাত কাজ করেছে এই টিম। বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীর ২১ জন করোনায় মৃতের দাফন ও সৎকারে সরাসরি কাজ করেছেন তাঁরা। করোনায় আক্রান্ত রোগিদের ফ্রি অক্সিজেন সেবা, সুরক্ষা সামগ্রী প্রদান করেছে। সম্পূর্ণ বিনা পারিশ্রমিকে সারাদেশে এই সেবা প্রদান করেছে গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ। সারাদেশের মত রাঙামাটি জেলায়ও যেকোন দুর্যোগ-দুর্ভোগে দুর্গত ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন গাউসিয়া কমিটির স্বেচ্ছাসেবকগণ।
সিএইচটি মিডিয়া টুয়েন্টিফোর ডটকম এর ৮ বছর পূর্তিতে উপরের উল্লেখিত ব্যক্তি ও সংগঠনকে এবার সম্মাননা দেয়া হবে।
সিএইচটি মিডিয়া টুয়েন্টিফোর ডটকম এর মূখ্য সম্পাদক নির্মল বড়ুয়া মিলন জানান, এবার যে সকল ব্যক্তি ও সংগঠনকে সম্মাননা দেয়া হচ্ছে তার বাইরেও ব্যক্তি ও সংগঠন আছে আগামীতে তাদের আমরা সম্মাননা দেয়ার চিন্তা করেছি, যারা বিভিন্ন সময় দেশের, দেশের মানুষের এবং সমাজের উন্নয়নের জন্য অবদান রেখেছেন।
তিনি বলেন, সিএইচটি মিডিয়া টুয়েন্টিফোর ডটকম একটি অলাভজনক অনলাইন সংবাদ মাধ্যম তাই আগ্রহ থাকলেও আর্থিক সংকট আমাদের রয়েছে। বাদ পড়া গুনীজনদের কথা আগামীতে আমরা মাথায় রাখলাম।