সোমবার ● ১৯ ডিসেম্বর ২০২২
প্রথম পাতা » ঝালকাঠি » ঝালকাঠির বিশখালী নদীতে অথিতি পাখির অবয়রান্য
ঝালকাঠির বিশখালী নদীতে অথিতি পাখির অবয়রান্য
গাজী মো.গিয়াস উদ্দিন বশির,ঝালকাঠি :: ঝালকাঠির জীবনানন্দের ধানসিঁড়ি,সুগন্ধা ও গাবখান নদীর তিন মোহনায় অতিথি পাখির অবয়রান্য। লক্ষ লক্ষ অতিথি পাখির কিচির মিচির ডাকে ঝাঁকে ঝাঁকে অতিথির পাখির সম্রাজ্য পরিণত হয়েছে। প্রতিবছর শিত মৌসুম আসলেই দেখা মেলে এই অতিথি পাখির। প্রতিদিন ঝালকাঠি জেলাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে শত শত পাখি প্রেমীরা এসে পাখিদের সাথে নিজেদের ভালো ভাসার মূহুর্ত কাটাচ্ছেন। পাখিদের নানান খাবার দিয়ে ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করে পাখি প্রেমীদের মত প্রকাশ করছেন। আবার অনেকে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পিকনিক করছেন। স্থানীয় গ্রামবাসী পাখিদের প্রতি নিজের সন্তানের মত দেখাচ্ছেন ভালোবাসা। গ্রামের ছোট বড় সকলেই পাখিদের প্রতি বিশেষ নজর রাখছেন। কেউ একটি ডিলছোড়ারও সাহস করছেন না। তারা প্রতিনিয়ত নিজেদের মত পাখিদের আহার দিচ্ছেন।
ধানসিড়িঁ নদীর তিন মোহনার সংলগ্ল নিঝুম গ্রাম চর সাচিলাপুর গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে চলা বিশখালি নদীর বিস্তীর্ণ চরে সুনসান নীরবতা। নৈসর্গিক এ সুন্দর স্থানটিকেই পাখিরা বেছে নিয়েছে।
নদী ও নৈসর্গিক এ চরে লাখ লাখ পাখির যেন মেলা বসেছে। কখনো জলে ভেসে আবার কখনো নিঝুম চরে ঝাঁকে ঝাঁকে খেলায় মত্ত শীতের অতিথি পাখির দল। গ্রামবাসীর ভালোবাসায় প্রতি বছরই শীতের এই সময়টায় আগমন ঘটছে এসব অতিথি পাখিদের। শিকারিদের রক্তচক্ষু থাকলেও স্থানীয়দের দেখভালে চলছে অতিথি বরণ। গ্রামবাসীর সচেতনতা ও পাহাড়ায় শিকারিদের আনাগোনা নেই এই অঞ্চলে। প্রতিদিনই দিনরাত গ্রামবাসী পাখিদের পাখিদের পাহারা দিয়ে রাখেন। ফলে শিকারিদের থেকে নিরাপদেই রয়েছে অতিথি পাখিরা।
বিশখালি নদীতীরবর্তি বাসিন্দা ধানসিড়িঁ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মনির হোসেন জানান, গত এক যুগেরও বেশি সময় ধরে শীতের এই সময়টা এখানে অতিথি হয়ে আসছে অগণিত অতিথি পাখির দল। বিশখালির জলে ও চরে সকাল-সন্ধ্যা চলে পাখির কোলাহল। আবার কখনো শুকনো চরে ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে অগণিত পাখির সমাবেশ চলে। তবে মানুষের আনাগোনার শব্দ পেলেই আকাশে ডানা মেলে নদীর জলে ভেসে বেড়ায় পাখিরা।
প্রতি বছর শীত শেষে গ্রীষ্মের মৌসুম শুরু হলেই অতিথি পাখির দল ফিরে যায় তাদের নিজস্ব ঠিকানায়। এলাকাবাসী আনুষ্ঠানিকভাবে অতিথি পাখিদের জন্য অভয়ারণ্য গড়ে তুলতে জেলা প্রশাসনের প্রতি দাবি জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে ঝালকাঠি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাখিদের রক্ষায় সার্বক্ষনিক নজরদারি রাখছেন বলে জানান জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের এনডিসি অংছিং মারমা।