বৃহস্পতিবার ● ২৯ ডিসেম্বর ২০২২
প্রথম পাতা » অপরাধ » বিশ্বনাথে দুইটি ইটভাটার কালো ধোঁয়ায় পরিবেশ দূষণ
বিশ্বনাথে দুইটি ইটভাটার কালো ধোঁয়ায় পরিবেশ দূষণ
স্টাফ রিপোর্টার :: পরিবেশ মারাত্মক ভাবে দূষণ করছে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার দেওকলস ইউনিয়নের বর্তমান বিশ্বনাথ পৌরসভায় কালিগঞ্জ বাজারের দুইটি ইটভাটা! বিশ্বনাথ-রামপাশা সড়কের পাশে আরো দুই ইটভাটা রয়েছে।
যেখানে বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, নভেম্বর ১৮, ২০১৮ তে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে যে, বিশেষ কোন স্থাপনা, রেওয়েল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল ও ক্লিনিক, গবেষণাগার, বা অনুরুপ স্থান বা প্রতিষ্ঠান হইতে কমপক্ষে ১ (এক) কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যে হইতে হবে।
অথচ বর্তমান (বিশ্বনাথ পৌরসভায়) বাসিয়া নদীর তীরে ও সিলেট-জগন্নাথপুর সড়কের পাশে অবস্থিত আল-ফালাহ ব্রিকফিল্ট স্বত্তাধিকারী বিশিষ্ট ব্যবসায়ী বিশ্বনাথ সরকারি ডিগ্রী কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ সিরাজুল হক ও বর্তমানে পরিত্যক্ত আল-আমিন ব্রিকফিল্ট স্বত্তাধিকারী বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মরহুম ইশাদ আলীর মালিকাধীন এই দুইটি ইটভাটার মাত্র ০/৩শ মিটারের মধ্যে ১টি আল ইরশাদ লতিফিয়া মাদরাসা, ১টা হাফিজিয়া মাদ্রাসা, ১টি মহিলা মাদ্রাসা, ২টি জনকল্যাণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও জনকল্যাণ উচ্চ বিদ্যালয়, ১টি কালিগঞ্জ বাজার, ৬/৭টি মসজিদ, ৫টি গ্রাম যথা- দতা, ধোপাখোলা, গন্ধারকাপন, মৌজপুর, আলাপুর, জনসংখ্যা প্রায় ৪/৫ হাজার বসবাস করছেন।
শিশু থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত ৭৫% মানুষের শ্বাসকষ্ট, হার্টের নানান সমস্যা, চর্ম রোগ নিয়ে বসবাস করছেন। বিশ্বনাথের কালিগঞ্জ বাজার এলাকা থেকে ও বিশ্বনাথ-রামপাশা সড়কের পাশে আরো দুই। যদি এই চারটি ইটভাটা অপসারণ করা না হয় অল্প বয়সে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে মানুষের মৃত্যু অনিবার্য।
আমি কারো সাথে প্রতিহিংসা করে প্রতিবাদ করছি না, মানুষের কথা চিন্তা করেই প্রতিবাদ করছি। আমার দেখা এই এলাকায় কয়েক জন মারা গেছেন চর্ম রোগে, হার্টফেল করে, শ্বাস কষ্ট রোগে ও নানান রোগে। এই ইটভাটার চেয়ে মানুষের জীবনের মূল্য অনেক বেশি।
যেখানে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার জলবায়ু পরিবর্তনের লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন, সেখানে এই ব্রিকফিল্ট পরিবেশ দূষণ করেই চলেছে। আজ ৪ ফেব্রুয়ারি কিছু ছবি সংযুক্ত করে দিয়েছি। বাসিয়া নদীর তীর কেটে মাটি উত্তোলন করছেন আল-আমিন ব্রিকফিল্ট। বিষয়টি কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন এলাকাবাসী।
এব্যাপারে সাবেক বিশ্বনাথ উপজেলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বর্ণালী পাল এর কাছে অভিযোগ দিলেও কোন ব্যবস্থা নেননি।
সাবেক সিলেট জেলা প্রশাসনকে কাছেও অভিযোগ করা হয়েছে। কিন্তু কোন ব্যবস্থা নেননি।
এবিষয়ে সিলেট পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক ইসরাত জাহান সুস্পষ্ট কোন বক্তব্য দেন নি।