মঙ্গলবার ● ১০ জানুয়ারী ২০২৩
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী বাঁশ-বেতের তৈরী জিনিষপত্র
হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী বাঁশ-বেতের তৈরী জিনিষপত্র
আমির হামজা, রাউজান:: একসময়ে আমাদের প্রায় গ্রামীণ হাটবাজারে দেখা যেতো বাঁশ-বেতের তৈরী জিনিষপত্র। আধুনিকতার ছোঁয়ায় দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে একসময়ে ব্যবহারে তৈরি এসব জিনিসপত্র। বর্তমানে
এখন দেখা যায় না আগের মত বাঁশ বেতের তৈরি জিনিষপত্র। যেসব গ্রামীণ নারী যুগে যুগে এই শিল্পকে ঠিকে রেখেছিল তারা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে একাজ থেকে। সমাজ, সংসারে যেসব বাঁশ বেতের জিনিষপত্র আগে ব্যবহার হয়ে আসছিল, এখন বিকল্প হিসাবে ব্যবহার হচ্ছে প্লাষ্টিকের জিনিষ। এলাকার প্রবীণ যারা তারা বলেছেন এক সময় রাউজানের মত গ্রামীণ জনপদে বাঁশ বেতের সহজলভ্যতা ছিল। প্রতিটি গ্রামে ছিল বাঁশ ঝাড়, বেত ঝাড়। এখন আর এসব দেখা যায় না। স্থানীয় লোকজনের মতে আগে গ্রামীণ নারীরা ব্যস্ততম সময় পারকরত ঢালা,কুলা, ধাইজ্যা, লাই খারাং তৈরীতে। তাদের হাতে উৎপাদিত পন্য বিক্রি করে তারা স্বাছন্দে সংসার চালাতেন। রাউজান উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ছিল এধরণের এই কুঠির শিল্প। যুগের পরিবর্তনের হাওয়ায় গ্রাম থেকে ঝোপঝাড় চলে গেছে। বিলুপ্ত প্রায় বাঁশ,বেত নামের উদ্ভিদ। এই ব্যবসায় জড়িতরা বলেছেন এখন যেসব বাঁশ বেতের তৈরী জিনিষ পাওয়া যায় সেগুলো মূলত আসে পার্ব্বত্য জেলার কাছাকাছি কিছু উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে। ওসব এলাকার মানুষ এখনো অভাবগ্রস্ত থাকায় নারীরা বাড়তি আয়ের আশায় এই শিল্পকে ঠিকিয়ে রেখেছে। তবে একাজে জড়িত নারীরা দাদন নিয়ে একাজ করায় তারা উপযুক্ত মুজুরী পায় না। কারণ ব্যবসায়ীরা তাদের আগাম ঋন দিয়ে চুক্তিবদ্ধ হয়। রাউজানের বিভিন্ন হাটবাজার ঘুরে দেখা গেছে যেসব দোকানে বাঁশ বেতের তৈরী জিনিষপত্র পাওয়া যেত, এখন কিছু জিনিষপত্র পাওয়া গেলেও দাম আকাশ ছোঁয়া। ব্যবসায়ীরা বলেছেন বাঁশ বেতের তৈরী জিনিষের উচ্চমূল্যে এখন মানুষ বিকল্প হিসাবে নিয়েছে প্লাষ্টিকের জিনিষ। এই সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে কিছু কিছু শিল্প প্রতিষ্ঠান। পরিবেশ সচেতন মহলের মতে এখন যেভাবে ঘরে ঘরে প্লাষ্টিক জিনিষপত্রে ব্যবহার বাড়ছে, এই অবস্থার মধ্যে মানুষের মধ্যে রোগবলাইয়ের ঝুঁকি বাড়বে। দুষণের শিকার হবে পরিবেশ।
রাউজানে ঊনসত্তর পাড়ায় আজিমুশশান সুন্নী সম্মেলন অনুষ্ঠিত
রাউজান :: পবিত্র ঈদে-এ মিলাদুন্নবী (সঃ) ও ফাতেহায়ে ইয়াজদাহুম উপলক্ষে ১৮ তম আজিমুশশান সুন্নী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৮ই-জানুয়ারি রবিবার পাহাড়তলী ইউনিয়নের ঊনসত্তর পাড়া এলাকার শাহাদুল্লাহ কাজীর বাড়ি শাহী জামে মসজিদ ময়দানে এই মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। গাউসিয়া কমিটি শাহাদুল্লাহ কাজীর বাড়ি ইউনিট শাখার দপ্তর সম্পাদক মরহুম জয়নাল আবেদীনের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
মাহফিলে প্রধান মেহমান ছিলেন হযরতুলহাজ্ব আল্লামা মাওলানা শাহ্সুফি সৈয়দ মছিহুদ্দৌলা মা.জি.আ, উদ্বোধক ছিলেন গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ শাহাদুল্লাহ কাজীর বাড়ি ইউনিট শাখার সহ-সভাপতি মাওলানা মো: লোকমান হাকিম। শিক্ষক আবদুল গফুর ও মো: কামাল উদ্দিনের যৌথ পরিচালনায় মাহফিলে বিশেষ অতিথি ছিলেন চেয়ারম্যান মো: রোকন উদ্দিন, গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ রাউজান উপজেলা দক্ষিণের সভাপতি হযরতুলহাজ্ব আল্লামা অধ্যক্ষ সৈয়দ আবু মোস্তাক আল কাদেরী, উত্তরে সভাপতি হযরতুলহাজ্ব আল্লামা অধ্যক্ষ মো: ইলিয়াছ নূরী মা,জি,আ। কদলপুর হামিদিয়া কামিল এম.এ মাদ্রাসার আরবী প্রভাষক আলহাজ্ব মাওলানা মো: মনজুরুল ইসলাম আল কাদেরী, গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ পাহাড়তলী ইউনিয়ন শাখার সভাপতি মাওলানা ফজল আকবর, ইউপি সদস্য হাজী আমির হোসেন, সাবেক ইউপি সদস্য বেলাল উদ্দিন, মাহফিলে সম্মানিত আলোচক ছিলেন, কাউখালি ডাক বাংলা জামে মসজিদের খতিব হযরতুলহাজ্ব আল্লামা আবু মুসা ছিদ্দিকী মা,জি,আ। তরুণ ইসলামী চিন্তাবিদ মিডিয়া ব্যক্তি মুহাম্মদ গোলাম রাব্বানী কাশেমী মা,জি,আ। হাঁসি ফকির সুন্নিয়া আলিম মাদরাসার সহ-সুপার ও শাহাদুল্লাহ কাজীর বাড়ি জামে মসজিদের খতিব হযরত মাওলানা মুহাম্মদ রেজাউল কবির আল কাদেরী, তাহেরীয়া সুন্নিয়া মাদরাসার আরবি প্রভাষক মাওলানা মুহাম্মদ সালাউদ্দীন আল কাদেরী। শাহাদুল্লাহ কাজীর বাড়ি ইউনিট শাখার সভাপতি ও পোমরা খন্দকারপাড়া হাফেজ আমিন উল্লাহ জামে মসজিদের খতিব ও শিক্ষক মাওলানা মুহাম্মদ কামাল উদ্দিন আল কাদেরী সভাপতিত্বে মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন আবু মনছুর সওদাগর, সাবেক ইউপি সদস্য ইসমাইল হায়দার, আওয়ামী লীগ নেতা সোহেল হোসেল মজুমদার, এডভোকেট আব্দুল মোনাফ, মো: সোলায়মান, মুসা সওদাগর, নাজির আলী, ইয়াকুব আলী, মো: পারভেজ, আবদুল শুকুর, ইমাম গাজ্জালী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিপি মো: মামুন, আলম সওদগার, সালাউদ্দিন, হাশেম সওদাগর, মো: জাহেদুই ইসলাম, আবদুল রাজ্জাক, কাতার প্রবাসী আবু তাহের, ওমান প্রবাসী, ফিরোজ, আলম, সোহেল, জুয়েল, মো: ফরহাদ, মোঃ বোরহান, ইরফান, মো: নাছের, আরমান, মনির, আয়েজ মাহমুদ, হাসানসহ আরও অনেক উপস্থিত ছিলেন। মাহফিলে সালামী পেশ করেন মাওলানা ওবায়দুল মোস্তফা কাদেরী। মাহফিলে প্রবাসী ও এলাকাবাসীর সার্বিক সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত হয়। পরে আখেরী মোনাজাত ও তাবরুক বিতরণের মাধ্যমে এবারে মাহফিল সম্পন হয়।