বুধবার ● ২৫ জানুয়ারী ২০২৩
প্রথম পাতা » কৃষি » কনকনে শীত উপেক্ষা করে বোরো চাষে ব্যস্ত কৃষকেরা
কনকনে শীত উপেক্ষা করে বোরো চাষে ব্যস্ত কৃষকেরা
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: পৌষ মাস।জেঁকে বসেছে শীত।কুয়াশার চাদরে ঢাকা প্রকৃতি। পৌষের কনকনে শীতের ঠান্ডা উপেক্ষা করে বোরো চাষে ব্যস্ত সময় পার করছে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার হাওর ও নিম্নাঞ্চল এলাকার কৃষকেরা।
বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ যেন কচি চারার সবুজ গালিচায় আবৃত।শীতের সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত প্রতিদিন উপজেলার বোরো আবাদী জমি ট্রাক্টর ও গরু দিয়ে চাষ করেছেন কৃষকেরা ।
শরীরে হালকা শীতের পোশাক, মাথায় গরম কাপড় লাগিয়ে কাজের মধ্যে রয়েছে তারা ফুরফুরে মেজাজে। আনন্দ যেন কোন অংশে কম নেই তাদের। শীতল পানি, কাঁদামাটির হাঁড় কাঁপানো ঠান্ডা আর কষ্টকে পিছনে ফেলে অনেক চাষীরা বীজতলা থেকে চারা সংগ্রহ করে সেই চারা আবার জমিতে রোপন করছেন।
অনেকে কোদাল দিয়ে করছেন জমির আইল নির্মাণ কেউবা আবার জমির আগাছা পরিষ্কার করে জমিতে জৈব সার ছিটানোসহ তৈরি জমিতে পাম্পের মাধ্যমে পানি সেচ দিয়ে তা ভিজিয়ে রাখার চেষ্টা করছেন। শ্রমিক সংকটে থাকায় আবার অনেক সময় দেখা যাচ্ছে বোরো চারা রোপনে কৃষকদের সাহায্য করছেন তাদের পরিবারের ছোট বড় সকল সদস্যরা।
সরেজমিনে উপজলার অনেক কৃষক সাংবাদিককে জানিয়েছেন, আমন মৌসুমে ধানের ভালো ফলন ও দাম বেশি হওয়ায় তারা এবার বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বোরো চাষাবাদে ঝুঁকে পড়েছেন। পাশাপাশি তারা আরো বলেছেন,বর্তমানের ন্যায় শেষ পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে চলতি মৌসুমে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হবে বলে আশাবাদী।
তবে অনেক কৃষক আছেন শংকায় ফাল্গুন চৈত্র মাসে মাঝে মধ্যে বৃষ্টি না হলে পানির অভাবে জমি ফেটে চৌচির হতে পারে। যার ফলে ভালো ফলন হওয়াটা অনেকটা প্রকৃতির উপর নির্ভর করছে। সর্বোপরি এমন মনোমুগ্ধকর দৃশ্য এখন উপজেলার সর্ববৃহৎ হাওর চাউলধনী,পেকুরা গাঁও,নোয়াগাঁও,বন্ধুয়াসহ,ছোট বড় সব হাওরে দেখা যাচ্চে সর্বত্র।
কৃষিবিদ ফজলে মাহমুদ জানিয়েছেন, উপজেলা কৃষি বিভাগ কৃষকদের মাঝে উন্নতমানের বীজ, সার ও কীটনাশক যেহেতু বিতরণ করেছে এবং কৃষি সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে মাঠ পর্যায়ে পরামর্শ ও দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেহেতো সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে এবার গোটা উপজেলায় বোরো ধানের বাম্পার ফলন হবে।
বিশ্বনাথ প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সাথে ব্যারিষ্ঠার নাজিরের মতবিনিময়
বিশ্বনাথ :: বৃটেনের নিউহাম কাউন্সিলের সাবেক ডেপুটি স্পীকার ও গ্রেড বৃটেনের ফ্রিডম অব দ্যা সিটি অব লন্ডন সম্মানপ্রাপ্ত ব্যারিষ্টার নাজির আহমদ বলেছেন, জন্মভ‚মির জন্য মন কাঁদে বলেই, বারবার দেশে ছুটে আসি। মাটির টান যে কতমধুর সেটি বুঝাতে পারছিনা।
তিনি বলেন, এলাকাবাসির হক ও দাবির প্রেক্ষিতে নিজ সম্পদের কিছু অংশ মানবকল্যাণে বিলিয়ে দিতে চাই। কারণ নৈতিক দায়িত্ব হিসেবে এলাকার মানুষের কল্যাণ কাজ করা দরকার বলে আমি মনে করি। তিনি আরো বলেন, বিশ্বনাথের সাংবাদিকেরা সব সময় বস্তু নিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করে দেশ-বিদেশে সুনাম অর্জন করেছেন।
তিনি এধারা অব্যাহত রাখতে সাংবাদিকদের প্রতি আহবান জানান। মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) বিশ্বনাথ প্রেসক্লাব কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন।
বিশ্বনাথ প্রেসক্লাবের সভাপতি তজম্মুল আলী রাজু’র সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এমদাদুর রহমান মিলাদের পরিচালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাবের কোধাধ্যক্ষ মো. জামাল মিয়া। বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মিজানুর রহমান মিজান, রফিকুল ইসলাম জুবায়ের, কাজী জামাল উদ্দিন।
সভার শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত করেন প্রেসক্লাবের সদস্য মাওলানা শহিদুর রহমান। এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রেসক্লাবের সদস্য প্রনঞ্জয় বৈদ্য অপু, নূর উদ্দিন, মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম, আহমদ আলী হিরণ, সাহিত্যকর্মী জায়েদ আলী, ইউপি সদস্য আজাদ আলী, সংগঠক মুমিনুর রহমান, রুপন আহমদ। সভা শেষে ব্যারিষ্ঠার নাজির আহমদকে প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে সম্মাননা ক্রেষ্ঠ প্রদান করেন প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ।