রবিবার ● ২৯ জানুয়ারী ২০২৩
প্রথম পাতা » ময়মনসিংহ » ঈশ্বরগঞ্জে বাসা দখলের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন
ঈশ্বরগঞ্জে বাসা দখলের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন
ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি :: ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে ভাড়াটিয়ার বিরুদ্ধে অবৈধভাবে বাসা দখলের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী বাসা মালিকের পরিবার। শনিবার স্বাস্থ্য বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী ইসহাক মিয়া শারীরিক অক্ষমতার কারণে তার পক্ষে সংবাদ সম্মেলন করেন পুত্রবধু শাজমুন্নাহার সাজু।
লিখিত বক্তব্যে জানা যায়, উপজেলার পৌর শহরের ধামদী গ্রামে ইসহাক মিয়ার একটি বাসা ২০১৮ সালে ভাড়া দেন ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী মহিলা লীগের সদস্য মমতাজ জাহান মিতুর কাছে। কিছুদিন নির্ধারিত হারে বাসা ভাড়া দিলেও ২০২১ সাল থেকে ভাড়া দেওয়া বন্ধ করে দেয় মিতু। পরবর্তীতে সে কিছু ভূয়া কাগজপত্র তৈরি করে নিজেকে ওই বাসার মালিক বলে দাবি করে। বাসা ছাড়ার জন্য ভাড়াটিয়া মিতুকে বাসা মালিক তিনটি লিগ্যাল নোটিশ করেন। কিন্তু এতে ভাড়াটিয়া কোন কর্ণপাত না করে জোর পূর্বক দখলে রেখে বসবাস করে যাচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগি পরিবারের পুত্রবধু শাজমুন্নাহার সাজু জানান, ভাড়া দেয়া বাসায় যাতে প্রবেশ করতে না পারে বা মালিকানা দাবী করতে না পারে সে লক্ষ্যে আমার স্বামী রুবেলের বিরুদ্ধে মিথ্যা হয়রানী মুলক মামলা দায়ের করে জেল খাটাচ্ছে। এছাড়াও ভয় ভীতি সৃষ্টি করার জন্য আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় নেতা সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও আইনমন্ত্রীর ভয় দেখিয়ে মামলা করার হুমকী প্রদর্শন করে থাকে। এ বাসার মিতুর কোন বৈধ কাগজপত্র নেই। এই জায়গাটি ক্রয়সুত্রে আমার শ্বশুর ইসহাক মিয়া মালিক। তার নামে দলিল, খাজনা খারিজ ও বিদ্যুৎ মিটার রয়েছে। এতদসত্বেও মিতু দলীয় কথিত পদের নাম ভাঙ্গিয়ে পরিবারের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানীসহ বাসাটি জোর দখলের পায়তারা করছে। মিতুর ভয়ে আমরা সবসময় আতঙ্কে থাকি কখন যে কোন মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানী করে।
সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় পৌর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মেহেদী হাসান রুবেল, ভূক্তভোগী পরিবারের সদস্য আব্দুল জব্বার, ফারুক আহমেদ, আব্দুর রহিম, মাহাবুব হাসান তুহিনসহ স্থানীয় এলাকাবাসী বিষয়টির সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক জায়গাটির অবৈধ দখলদার উচ্ছেদসহ ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এ সম্পর্কে অভিযুক্ত ভাড়াটিয়া মমতাজ জাহান মিতু তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বিকার করে জানান, ওই বাসাটি সরকারী সম্পত্তি, তার পরেও ইসহাক মিয়া মিথ্যা তথ্য দিয়ে তার কাছে বিক্রি করেছে এবং তার কাছে বায়নাপত্র দলিল রয়েছে।