বুধবার ● ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » রাঙামাটিতে ভিসিএফ নেটওয়ার্ক সেন্ট্রাল কমিটির শপথ গ্রহণ
রাঙামাটিতে ভিসিএফ নেটওয়ার্ক সেন্ট্রাল কমিটির শপথ গ্রহণ
প্রাকৃতিক ভারসাম্য, জীববৈচিত্র্য রক্ষা এবং পাহাড়ে বনের অস্তিত্ব ধরে রাখতে পার্বত্য চট্টগ্রামের গ্রামীণ সাধারণ বনগুলো সংরক্ষণ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন চাকমা সার্কেলের চাকমা চীফ ব্যারিষ্টার রাজা দেবাশীষ রায়। তিনি বলেন, পরিবেশ এবং প্রতিবেশ রক্ষায় যে অঞ্চল ভূমিকা রাখবে সেসব অঞ্চলে উন্নয়ন কাজে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ প্রদানের মত দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করতে পারলে পরিবেশ রক্ষায় সবার অংশগ্রহণ উৎসাহিত করা যাবে। তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের বেশিরভাগ নদীর উৎপত্তিস্থল বাংলাদেশের সীমানার মধ্যে। সুতরাং এ সুবিধা গ্রহণ করে এলাকার পরিবেশ রক্ষায় বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা যায়। তিনি মন্তব্য করেন, আর্থিক সংশ্লেষ ব্যতীত পার্বত্য চট্টগ্রামের গ্রামীণ সাধারণ বনগুলো নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত হওয়া উচিত। তিনি হেডম্যান-কার্বারীদের প্রাকৃতিক বন রক্ষায় অগ্রণী ভূমিকা রাখার জন্য আহবান জানান।
মঙ্গলবার ৩১ জানুয়ারি সকাল ১০টায় রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের হলরুমে (এনেক্স ভবন) ভিসিএফ নেটওয়ার্ক সেনট্রাল কমিটি এবং ভিসিএফ নেটওয়ার্ক রাঙামাটি জেলা কমিটি এবং রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে চাকমা সার্কেল চীফ ব্যারিষ্টার রাজা দেবাশীষ রায় এসব কথা বলেন।
রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাঃ আশরাফুল ইসলাম, সদস্য সবির কুমার চাকমা, পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা নূরুদ্দীন মুহাম্মদ শিবলী নোমান, এসআইডিসিএইচটি-ইউএনডিপির কর্মকর্তা জয় খীসা এবং ভিসিএফ নেটওয়ার্ক সেনট্রাল কমিটির সভাপতি থোয়াই অং মারমা।
সভাপতির বক্তব্যে চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী বলেন, গ্রামীণ সাধারণ বনগুলি আমাদের সম্পদ। আমাদের মানুষেরা প্রকৃতি নির্ভর জনগোষ্ঠী। ভিসিএফগুলো প্রাকৃতিক বন এবং জীববৈচিত্র্য রক্ষায় বিশেষ ভূমিকা রাখছে। এসমস্ত বন রক্ষা করতে না পারলে আমাদের বেঁচে থাকার অস্তিত্বে আঘাত আসবে। আগে পার্বত্য চট্টগ্রামে পানির অভাব ছিলোনা। এখন চারিদিকে পানির তীব্র অভাব। ভিসিএফ এলাকায় পানির অভাব দূর করার জন্য মন্ত্রণালয়ে একটি প্রকল্প প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রকল্পটি পাশ হলে ভিসিএফ এলাকার পানির অভাব অনেকটা দূর করা যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
পরে অতিথিরা নব নির্বাচিত কমিটিকে শপথ বাক্য পাঠ এবং ১১জন সদস্যকে যোগাযোগের সুবিধার্থে মোবাইল সেট প্রদান করেন।
রাঙামাটিতে আইসিটি আউটসোর্সিং প্রশিক্ষণ উদ্বোধন
মঙ্গলবার ৩১ জানুয়ারি সকালে পরিষদের সম্মেলন কক্ষে (এনেক্স ভবন) রাঙামাটি র্পাবত্য জলো পরষিদ ও প্রো-বটোরলাইফ (পবিএিল) বাংলাদশে লমিটিডে এর যৌথ উদ্যোগে “রাঙামাটি জলোয় তথ্য প্রযুক্তভিত্তিকি দক্ষ জনবল সৃষ্টরি মাধ্যমে মানবসম্পদ উন্নয়ন, বকোরদরে র্কমসংস্থান ও দারদ্র্যি হ্রাসকরণ স্কীম” –এর আওতায় গ্রাফক্সি ডজিাইন, ওয়বে ডজিাইন, ভডিওি এডিটিং ও ফ্রল্যিান্সিং- এর উপর ৫মাসব্যাপী প্রশক্ষিণ র্কোসরে শুভ উদ্বোধন করেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী।
উদ্বোধনকালে তিনি বলেন, বিশ্বায়নের এই প্রতিযোগিতার যুগে নিজেদেরকে ভবিষ্যত কাজের উপযোগী করে গড়ে তোলার জন্য আইসিটি আউটসোর্সিং বিষয়ে প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়েছে। এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রশিক্ষণার্থীরা দক্ষ হয়ে বর্তমান সরকারের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার কাজে সহায়তা করতে পারবেন। তিনি প্রশিক্ষণার্থীদেরকে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ গ্রহণের মাধ্যমে অভিজ্ঞতা অর্জনের যে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে তা যথাযথভাবে কাজে লাগানোর পরামর্শ দেন। জলোর শক্ষিতি বকোর যুবকদরে র্কমসংস্থান সৃষ্টরি লক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নর্দিশেনা মোতাবকে তথ্যপ্রযুক্তি নর্ভির এধরনরে প্রশক্ষিণ র্কোস ধারাবাহকিভাবে চালেিয় যাওয়ার আশ্বাস দনে তিনি।
রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য প্রিয় নন্দ চাকমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরও বক্তব্য রাখেন পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাঃ আশরাফুল ইসলাম, পিবিএল এর চেয়ারম্যান এবং রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পউিটার সায়ন্সে এন্ড ইঞ্জনিয়িারং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রাক্তন চয়োরম্যান ডঃ রণজ্যোতি চাকমা।
অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন স্কীম বাস্তবায়ন কমটিরি সদস্য-সচবি নর্বিাহী প্রকৌশলী বরিল বড়ুয়া।
অনুষ্ঠানে ৫০জন প্রশিক্ষণার্থী উপস্থিত ছিলেন।