বৃহস্পতিবার ● ২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » কাপ্তাই লেকের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের কার্যক্রম অভিযান বন্ধ
কাপ্তাই লেকের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের কার্যক্রম অভিযান বন্ধ
রাঙামাটি :: মহামান্য সুপ্রিম কোর্ট,হাইকোর্ট বিভাগের দায়রকৃত রিট পিটিশন নং-১১৮৮৫/২০২২ এর বিগত ১৭/১০/২০২২ খ্রিস্টাব্দের নোটিশের প্রেক্ষিতে কাপ্তাই লেকের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের কার্যক্রম শুরু করা হলে ২দিনের মাথায় বাধার মুখে পড়ে রাঙামাটিতে উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ হয়ে গেল।
কাপ্তাই হ্রদের পাড়ে গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অসহায় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা। বুধবার ১ ফেব্রুয়ারী দুপুরে রাঙামাটিতে দ্বিতীয় দিনের মত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে গিয়ে বাধার মুখে পড়ে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা। রাঙামাটি শহরের ফিসারিঘাট বাস টার্মিনাল এলাকায় হাইকোর্টের আদেশ অনুযায়ি জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন অবৈধ নির্মাণাধীন স্থাপনা উচ্ছেদ করতে গেলে বাধার মূখে পড়ে ফেরৎ চলে যান প্রশাসনের লোকজন।
উচ্ছেদ অভিযানে নেতৃত্ব দেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমা বিনতে আমিনসহ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ প্রশাসন। ফিসারিঘাট নতুন বাস টার্মিনালে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে গেলে স্থানীয় লোকজন, দোকানদার ও অবৈধ দখলদারদের বাঁধার মূখে উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ করে চলে আসেন প্রশাসনের লোকজন।
স্থানীয়রা বলেন, ফিসারিঘাট নতুন বাস টার্মিনাল দীর্ঘ দিন ধরে দখলদাররা দখল করে রেখেছে। দখলবাজদের জন্য নতুন বাস ষ্টেশন চালু হয়নি। সরকারের উচ্ছেদ অভিযানকে আমরা স্বাগত জানাই। ক্ষমতাসীন দলের গুটি কয়েক জনের দখলে ফিসারিঘাট নতুন বাস ষ্টেশনটি।
অবৈধ দখলদার ও দোকানদার মিলে বিক্ষোভ মিছিল বের করে পরে বিক্ষোভকারীরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অবস্থান নেয়। কিছুক্ষণ পর জেলা প্রশাসক বিক্ষোভকারীদের সাথে কথা বলেন। জেলা প্রশাসক বিক্ষোভকারীদের বলেন, হাই কোর্টের আদেশ তাই আইন আইনের গতিতে চলবে। এখানে আমরা করার কিছুই নেই।
রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, অবৈধ দলখ উচ্ছেদ অভিযান চলমান রয়েছে। গত মঙ্গলবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সদর সহকারী ভূমি কমিশনার ও জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা উচ্ছেদ অভিযানে গেলে বাঁধার সম্মূখিন হন গতকাল ও অবৈধ উচ্ছেদ অভিযানে বাঁধা দেয়। সকলের সহযোগিতা নিয়ে আগামীতে অবৈধ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে।