মঙ্গলবার ● ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
প্রথম পাতা » খাগড়াছড়ি » খাগড়াছড়িতে হিল উইমেন্স ফেডারেশনের বিক্ষোভ
খাগড়াছড়িতে হিল উইমেন্স ফেডারেশনের বিক্ষোভ
হিল উইমেন্স ফেডারেশন খাগড়াছড়ি জেলা শাখার আহ্বায়ক এন্টি চাকমা প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, বান্দরবানের লামায় মারমা নারী ধর্ষক পলাতক মো. কায়সার ও খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় এক গৃহবধুকে ধর্ষণ চেষ্টাকারী মো. সাদ্দামকে গ্রেফতারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে খাগড়াছড়িতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে হিল উইমেন্স ফেডারেশন খাগড়াছড়ি জেলা শাখা।
সোমবার ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩বেলা ৩ টার দিকে খাগড়াছড়ি সদরের স্বনির্ভরে এই বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
মিছিল পরবর্তী সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রিতা চাকমা, জেলা আহ্বায়ক এন্টি চাকমা ও পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের জেলা সাধারণ সম্পাদক শান্ত চাকমা।
বক্তারা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে জাতিগত নিধনের উদ্দেশ্যে শাসকগোষ্ঠী প্রতিনিয়ত ভূমি বেদখল, নারী নির্যাতন ও অন্যায় দমন-পীড়ন জারি রেখেছে। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি বান্দরবানের লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নে এক মারমা নারীকে ধর্ষণ ও খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা এক গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনা ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনাও তার ব্যতিক্রম নয়। ফলে এসব ঘটনার কোন সুষ্ঠু বিচার হয় না।
রাষ্ট্রীয় বাহিনী ও প্রশাসন এসব ঘটনায় জড়িত দুর্বৃত্তদের পৃষ্ঠপোষকতা দেয় অভিযোগ করে বক্তারা বলেন, মাটিরাঙ্গায় ধর্ষণ চেষ্টায় জড়িত মো. সাদ্দামকে এলাকার লোকজন স্থানীয় বিজিবি সদস্যদের নিকট হস্তান্তর করলেও তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে লামায় ধর্ষক মো. কায়সারকে ফাঁসিয়াখালী ইউপি’র সংরক্ষিত আসনের নারী সদস্য বিচারের নামে নিজ হেফাজতে নিয়ে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করেছে। এই দুটি ঘটনায় প্রমাণ হয়েছে এখানে যারা রক্ষক তারাই ভক্ষক। ফলে নারীর নিরাপত্তা ভূলন্ঠিত হচ্ছে।
বক্তারা মাটিরাঙ্গায় সংঘটিত ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনাকে ভিন্নখাতে নিতে স্থানীয় বিজিবি ভিকটিম ও এলাকার লোকজনকে হয়রানিসহ নানা ভয়ভীতি প্রদর্শন করে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন।
সমাবেশ থেকে বক্তারা অবিলম্বে বান্দরবানে লামায় মারমা নারী ধর্ষক মো. কায়সার ও খাগড়াছড়ি মাটিরাঙ্গায় গৃহবধূকে ধর্ষণের প্রচেষ্টাকারী মো. সাদ্দামকে গ্রেফতাপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং ধর্ষণসহ সকল ধরনের নারী নির্যাতন ও যৌন সহিংসতা বন্ধ এবং ধর্ষকদের রক্ষাকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।