শুক্রবার ● ৩ মার্চ ২০২৩
প্রথম পাতা » ঢাকা » ড্যাফোডিল আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাঞ্জল বিতর্ক প্রতিযোগিতা
ড্যাফোডিল আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাঞ্জল বিতর্ক প্রতিযোগিতা
ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)’র সহ-অর্থায়নে, ডিনেট এবং ফ্রেডরিক নওম্যান ফাউন্ডেশন ফর ফ্রিডম যৌথভাবে ‘Foster Responsible Digital Citizenship to Promote Freedom of Expression in Bangladesh’ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মকে দায়িত্বশীল ডিজিটাল সিটিজেন হতে সহায়তা করা এবং তাঁদের মাঝে গঠনমূলকভাবে স্বাধীন মত প্রকাশের চেতনা গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে এই প্রকল্পের সূচনা। এই প্রকল্পের অংশ হিসেবে, ২ মার্চ, ২০২৩ তারিখে ড্যাফোডিল আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে ‘ভয়েস অফ ফ্রিডম’ শীর্ষক একটি বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।
এই প্রতিযোগীতায় প্রতিযোগী হিসেবে অংশ নিয়েছেন বিভিন্ন বিভাগ থেকে বাছাইকৃত ছয়টি দলে মোট ১৮ জন শিক্ষার্থী এবং দর্শক হিসেবে উপস্থিত ছিল বিভিন্ন বিভাগ থেকে শিক্ষকসহ প্রায় ১৫০ জনের অধিক শিক্ষার্থী। দর্শকদের জন্যও সেশনে রাখা হয় আকর্ষণীয় কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন।
আয়োজনের শুরুতেই বক্তব্য রাখেন এফআরডিসি প্রকল্প পরিচালক আসিফ আহমেদ তন্ময়। প্রকল্প সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য উপস্থাপন করতে গিয়ে তিনি বলেন- “আজকের এই বিতর্ক প্রতিযোগিতা সকলের মাঝে নতুন চেতনার উন্মেষ ঘটাবে। ডিজিটাল দুনিয়ায় সচেতনতার সাথে বিচরণ করে এর সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করার লক্ষ্যেই এই প্রকল্প কাজ করছে।”
ফ্রেডরিক নওম্যান ফাউন্ডেশন ফর ফ্রিডম থেকে বক্তব্য প্রদান করেন নাইরা নিজাম। তিনি বলেন- “প্রাণবন্ত এই বিতর্কের চর্চা শিক্ষার্থীদের মেধার বিকাশে সহায়তা করে, তাদেরকে মুক্ত চিন্তায় উদ্বুদ্ধ করে। এই চর্চার প্রতিফলন যদি তারা তাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে রাখতে পারে তবে দেশ ও জাতির প্রগতিতে তারা উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারবে”
পরবর্তীতে বক্তব্য রাখেন ড্যাফোডিল আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক মো: এজাজুর রহমান। তিনি বলেন- “এই প্রকল্পের সাথে যুক্ত হতে পেরে আনন্দিত, বিতর্কের মতো এই অনাবিল আয়োজনের জন্য ডিনেটকে সাধুবাদ জানাই। শিক্ষার্থীদের প্রাণবন্ত অংশগ্রহণ প্রত্যক্ষ করে আমি অভিভূত। আমার ভালো লেগেছে যে আমরা শুধু হার-জিতকে ছাড়িয়ে আজ গঠনমূলক আলোচনায় মনোনিবেশ করতে সমর্থ হয়েছি।”
প্রতিযোগিতায় দুই ধাপে বিতর্কের আয়োজন করা হয়। প্রথম ধাপের দুই বিজয়ীর মাঝে চূড়ান্ত পর্বের বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়। চূড়ান্ত পর্বের বিষয় ছিলো- ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আমাদের কম সামাজিক করে ফেলে।’ প্রতিযোগিতায় তাদের অসাধারণ বাগ্মিতায় বিজয়ী হয়: অমিত সাহা, জান্নাতুল ফেরদৌস জুসি, জান্নাতুল বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বিজ্ঞ বিচারকের ভূমিকা পালন করেন: খান মো: ওমর ফারুক, সূর্য ভৌমিক, মো: ফাহিম শাকিল।
প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ী ঘোষণা, পুরস্কার বিতরণী এবং ডিনেটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক এম. শাহাদাৎ হোসেন-এর সমাপনী বক্তব্যের মাধ্যমে সুন্দর এই আয়োজন শেষ হয়। তিনি বলেন- “বিজয়ীসহ সকল প্রতিযোগীকে আমার আন্তরিক অভিনন্দন সুন্দর এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য। আমরা যে চিন্তাশীল জনমানুষ তৈরির জন্য কাজ করছি, সেই লক্ষ্যে এধরনের বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন কার্যকর ভূমিকা রাখবে এবং ভিন্নমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল সহনশীল প্রজন্মে গড়ে তুলতে সহায়তা করবে।”
এফআরডিসি প্রকল্পের নানান সচেতনতা কর্মকান্ডের পাশাপাশি রয়েছে একটি বিনা মূল্যের অনলাইন কোর্সের ওয়েবসাইট। ওয়েবসাইট https://www.digitalcitizenbd.com-এ আছে তরুণ সমাজবান্ধব বিভিন্ন উদ্যোগ যা থেকে শিক্ষার্থীরা ডিজিটাল সিটিজেনশিপ ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে বিভিন্ন শিক্ষণীয় বিষয় জানতে পারবেন এবং একটি গঠনমূলক আলোচনার মাধ্যমে বিশ্লেষণধর্মী চিন্তা চর্চার পদ্ধতি সম্পর্কে জানবেন। যা তাঁদের ডিজিটাল দুনিয়ায় বিচরণের ক্ষেত্রে আচরণগত পরিবর্তন এনে একজন গর্বিত ডিজিটাল নাগরিকে পরিণত হতে সহায়তা করবে।