সোমবার ● ৬ মার্চ ২০২৩
প্রথম পাতা » খাগড়াছড়ি » খাগড়াছড়িতে জমির বিরোধে ঘরে হামলা-ভাঙচুর
খাগড়াছড়িতে জমির বিরোধে ঘরে হামলা-ভাঙচুর
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি :: খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার ২নং পৌর ওয়ার্ডের সবুজবাগে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে জমির মালিকের কেয়ারটেকারের ইন্ধনে বসতবাড়িতে হামলা চলিয়ে ভাংচুর-লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় উল্টো হামলাকারীর পক্ষ থেকে ভাংচুরকৃত ঘরের মালিকের বিরুদ্ধে থানায় একটি অভিযোগ দেয়া হয়েছে।
এছাড়াও ঘটনার পরদিন Tajammul Riyad নামে ফেসবুক আইডি হতে ঘটনাস্থলে অনুপস্থিত একজনসহ ক্ষতিগ্রস্থ ঘরের মালিকের নামে প্রকাশ্য দিবালোকে ধর্ষণ ও মারধরের অপবাদমূলক একটি মিথ্যা তথ্য দিয়ে পোস্ট করা হয়েছে।
ইতিপূর্বে জমির মূল মালিক অনিল কান্তি চাকমা কর্তৃক থানায় দায়ের করা অভিযোগ ও তার ভাষ্য অনুযায়ী জানা গেছে, জেলার দিঘীনালা উপজেলার বাবুছড়া গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দা সোবহান হাওলাদারের ছেলে মো. আব্দুল মালেককে তিনি তার জমিজমা দেখাশোনা করার জন্য পাহাড়ের উপরে একটি ঘর নির্মাণ করে দেন। আব্দুল মালেক দীর্ঘদিন থেকে সেখানে বসবাস করে আসছে।
জমির মালিক অনিল কান্তি চাকমা জানান, আমি আবদুল মালেককে আমার জায়গা দেখাশোনার জন্য একটি ঘর তুলে দেই। সেখানে সে বসবাস করে আসছে। তার নিকট আমি কোন জায়গা জমি বিক্রি করি নাই, বিক্রি করবোও না। কিন্তু আব্দুল মালেক ওই জমির মিথ্যা দাবিদার সেজে তা দখল করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে। তার দুরভিসন্ধিমূলক উদ্দেশ্য বুঝতে পেরে বেশ কিছু দিন আগে তাকে আমার ঘর ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে বললে সে আমাকে প্রাণ নাশের হুমকি দেয়, ফলে আমি তার বিরুদ্ধে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছি। এরই জের ধরে সে আমার বিক্রিত জায়গার মালিকের ঘর-বাড়ী ভাংচুরের ঘটনা ঘটিয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্থ ঘরের মালিক মো. মাইনউদ্দীন বলেন, গত ২৭ফেব্রুয়ারী’২৩ প্রকাশ্য দিবালোকে বিকেল ৪টার দিকে আব্দুল মালেক তার স্ত্রী পরিচয়দানকারী এক মহিলাকে লেলিয়ে দিয়ে আকস্মিকভাবে আমার বাড়িতে হামলা চালায় এবং প্রায় ঘণ্টাব্যাপী তাণ্ডব চালিয়ে বাড়ি ঘর ভাংচুর করে মালামাল ক্ষতিগ্রস্ত করে ও ওয়ারড্রপে রাখা নগদ টাকা নিয়ে যায়।
এসময় বাঁধা দিতে গেলে, হামলাকারি মহিলা জাহেদা বেগম উপস্থিত লোকজনকে মারার জন্য তেড়ে আসে ও ইটপাটকেল ছুঁড়ে মারে যার ভিডিও ফুটেজ ধারণ করা হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে আইনগত সহযোগিতা চেয়ে ঘটনার বিষয়ে অবগত করেছি।
যে ফেসবুক আইডি হতে আমার নামে মিথ্যা মানহানিকর পোস্ট করা হয়েছে। আমি মিথ্যা তথ্য প্রচার করে আমার সম্মানহানী করার চেষ্টারত সকল জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নিব।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক এলাকাবাসী জানান, জমিজলমা নিয়ে বিরোধে মোছা. জাহেদা আক্তার(২৫) চট্রগ্রামের বাঁশখালী থানার বালীগাঁও এলাকার বাসিন্দা। আব্দুল মালেককে বর্তমান স্বামী পরিচয় দিলেও, আব্দুল মালেকের সহযোগীতায় ইতিপূর্বে সবুজবাগ এলাকার চুন্ন জমাদারের ছেলে নয়নের সাথে কাবিননামা মূলে তার বিবাহ হয়। এছাড়াও উত্তর বঙ্গে তার আরো একটি বিবাহ হয়েছিল, ওই সংসারে ২টি সন্তানও রয়েছে বলে জানা গেছে।
এদিকে, আব্দুল মালেক এলাকার ৩/৪জনের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। ফলে এলাকাবাসী মামলা হামলার ভয়ে সর্বদা আতংকে রয়েছে। এ দুর্ধর্ষ মহিলা ও মামলাবাজ আব্দুল মালেকের বেপরোয়া আচরণে তার হাত থেকে নিশ্তার পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।
ঘটনার বিষয়ে ওই এলাকার সাবেক কাউন্সিলর মো. মাসুমের নিকট জানতে চাইলে তিনি কল রিসিভ করেন নি।
এব্যাপারে সবুজবাগ ২নং পৌর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. মানিক পাটোয়ারী বলেন, মাইনউদ্দীন নামে একজনের বাড়ি-ঘর ভাংচুরের কথা শুনেছি। তবে আমার কাছে কেউ অভিযোগ নিয়ে আসেনি, উভয়পক্ষ আইনের আশ্রয় নিয়েছে বলে শুনেছি।