শনিবার ● ১৮ মার্চ ২০২৩
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » দেশের উন্নয়নে শান্তির কোনো বিকল্প নাই : পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর
দেশের উন্নয়নে শান্তির কোনো বিকল্প নাই : পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর
বান্দরবান প্রতিনিধি :: পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি বলেছেন, দেশের উন্নয়নের জন্য শান্তির কোনো বিকল্প নাই। তিনি বলেন, আজ পার্বত্য এলাকায় যে শান্তি বিরাজ করছে তার কৃতিত্ব আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার। পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি চুক্তির কারণে এখানকার মানুষ এখন নির্বিঘ্নে চলাফেরা করছে এবং শান্তিপূর্ণভাবে সহাবস্থান করতে পারছে।
আজ ১৭ মার্চ বৃহষ্পতিবার বান্দরবান শহরে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট অডিটোরিয়ামে আয়োজিত ৩ দিন ব্যাপী বৌদ্ধ ভিক্ষু সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বীর বাহাদুর আরও বলেন, দেশের উন্নয়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। যারা দেশের কল্যাণ চায়, মঙ্গল চায় তারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে আছেন এবং থাকবেন। তিনি বলেন, গৌতম বুদ্ধ শান্তির বার্তা দিয়েছিলেন আর সেই বার্তা আমাদের এখনও সকলের মাঝে প্রবাহমান। মন্ত্রী বলেন, গৌতম বুদ্ধের সুশাসন সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়ুক এটা আমাদের কাম্য। গৌতম বুদ্ধের বাণী সামনে রেখে আমাদের এগিয়ে চলতে হবে।
বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী ভিক্ষুদের প্রাতিষ্ঠানিক ও ধর্মীয় শিক্ষা বৃদ্ধি, বিশ্বশান্তি কামনা, বৌদ্ধ ভিক্ষুদের আরো অধিক জ্ঞান বৃদ্ধি এবং বুদ্ধের শাসন প্রতিষ্ঠাসহ নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে বান্দরবানে শুরু হয়েছে ২য় পার্বত্য বৌদ্ধ ভিক্ষু সম্মেলন। পার্বত্য বৌদ্ধ ভিক্ষু পরিষদের আয়োজনে বান্দরবানের রাজগুরু বৌদ্ধ বিহার থেকে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্টীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটে গিয়ে শেষ হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে জাতীয় ও ধর্মীয় পাতাকা উত্তোলন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি।
এসময় বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা, পার্বত্য ভিক্ষু পরিষদের সদস্য ও অংজেয়া জাদি বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ ভদন্ত নাইন্দিয়া থের, পার্বত্য ভিক্ষু পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক তিক্ষিন্দ্রিয় থৈরসহ তিন পার্বত্য জেলার বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহারের ভিক্ষুরা উপস্থিত ছিলেন। সম্মেলনে বান্দরবান, রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার ৫ শতাধিক বৌদ্ধ ভিক্ষু অংশ নেন।