সোমবার ● ১০ এপ্রিল ২০২৩
প্রথম পাতা » খাগড়াছড়ি » খাগড়াছড়িতে বৈসাবি উৎসবকে ঘিরে ব্যাপক প্রস্তুতি
খাগড়াছড়িতে বৈসাবি উৎসবকে ঘিরে ব্যাপক প্রস্তুতি
আব্দুল্লাহ আল মামুন, খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি :: খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর প্রাণের উৎসব “বৈসাবি”কে ঘিরে পাহাড়ি গ্রামগুলো এখন সাজ-সাজ রব। চলছে নানা প্রস্তুতি। হাট-বাজারগুলোতে পড়েছে কেনা-কাটার ধুম।
পুরাতন বছরকে বিদায় আর নতুন বছর বরণকে সামনে রেখে প্রত্যন্ত পাহাড়ি গ্রামগুলো এখন উৎসবের জোয়ারে ভাসছে।
আগামী ১২এপ্রিল’২৩ নদীতে ফুল ভাসানোর মধ্য দিয়ে মূল উৎসব শুরু হওয়ার কথা থাকলেও এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ থেকে উৎসব শুরু হয়েছে। গ্রামে-গ্রামে চলছে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীগুলোর ঐতিহবাহী নানা খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও অতিথি আপ্যায়নের প্রস্তুতি।
এ উৎসবকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন জাতি-গোষ্ঠী ও প্রতিষ্ঠান পর্যাক্রমে আনন্দ র্যালি, মারমাদের ঐতিহ্যবাহী ওয়াটার ফেস্টিভ্যাল বা পানি উৎসব ও ত্রিপুরা সম্প্রদায় গড়িয়া নৃত্যের আয়োজন করেছে।
১৯৮৫ সাল থেকে খাগড়াছড়িসহ পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত ৩ সম্প্রদায়ের বিভিন্ন সংগঠনের সম্মিলিত উদ্যোগে ‘বৈসাবি’ নামে এ উৎসব পালন করে আসছে। যা সময়ের ব্যবধানে নিজ নিজ সম্প্রদায়ের লোকদের কাছে ‘বৈসাবি’ শব্দটি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। ত্রিপুরা, মারমা ও চাকমা সম্প্রদায় তাদের নিজস্ব নামে ত্রিপুরা ভাষায় বৈসুক, মারমা ভাষায় সাংগ্রাই এবং চাকমা ভাষায় বিজু’ নামে এ উৎসব পালন হয়ে থাকে। এ ৩ সম্প্রদায়ের নিজস্ব ভাষার নামের প্রথম অক্ষর নিয়ে ‘বৈসাবি’ নামকরণ করা হয়।
ত্রিপুরা, মারমা ও চাকমা ছাড়াও পার্বত্য চট্টগ্রামে তঙ্চঙ্গ্যা,বম, খিয়াং, লুসাই, পাংখোয়া, ম্রো,খুমি,আসাম, চাক ও রাখাইনসহ অন্যান্য ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীগুলো নিজস্ব বৈশিষ্ট্য নিয়ে তাদের ভাষা-সংস্কৃতি ও অবস্থানকে বৈচিত্র্যময় করে করে তুলতে প্রতি বছর চৈত্রের শেষ দিন থেকে ‘বৈসাবি’ উৎসব পালন করে থাকে।
খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের উদ্যোগে ১১এপ্রিল বর্ণাঢ্য র্যালির মধ্য দিয়ে পুরাতন বছর বিদায় ও নতুন বছরকে স্বাগত জানানো হবে।
বৈসাবি উৎসবের মধ্য দিয়ে পাহাড়ী-বাঙ্গালীর মধ্যে শান্তি-সম্প্রীতি ও ঐক্য আরো সু-দৃঢ় হবে এমনটাই প্রত্যাশা সকলের।