বৃহস্পতিবার ● ১৩ এপ্রিল ২০২৩
প্রথম পাতা » গুনীজন » জাফরুল্লাহ চৌধুরী ছিলেন এই দেশ ও জনপদের এক শ্রেষ্ঠ সন্তান
জাফরুল্লাহ চৌধুরী ছিলেন এই দেশ ও জনপদের এক শ্রেষ্ঠ সন্তান
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক আজ এক বিবৃতিতে জাতীয় বীর বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং বলেছেন এই দেশ এই জনপদ তার এক শ্রেষ্ঠ সন্তানকে হারিয়েছে।তিনি বলেন, জাফরুল্লাহ চৌধুরী ছিলেন একজন মহান দেশপ্রেমিক। দেশ ও মানুষের কল্যাণ সাধনের বাইরে তার আলাদা কোন স্বার্থ নেই।মানুষের জন্য তার দরদ ও ভালবাসা ছিল কিংবদন্তিতুল্য।দেশের মানুষও তাকে তাদের একান্ত আপনজন হিসাবে বিবেচনা করতেন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, দেশের মুক্তিযুদ্ধকালে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য প্রথম ফিল্ড হাসপাতাল তৈরী থেকে শুরু করে দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থাকে জনবান্ধব করতে তিনি পরবর্তী সমগ্র জীবন উৎসর্গ করেছিলেন, গড়ে তুলেছিলেন গণস্বাস্থ হাসপাতাল। ঔষধনীতি থেকে শুরু করে চিকিৎসা সেবার ব্যয় কমাতে তিনি সারাজীবন রীতিমতো যুদ্ধ করেছেন।
তিনি উল্লেখ করেন, রাজনৈতিক সংকট বা প্রাকৃতিক দূর্যোগকালে সব কিছুতেই তিনি ছিলেন অগ্রভাগে মানুষের সাথে। মজলুম জনতার মওলানা ভাসানীর অনুসারী হিসাবে আজীবন তিনি শোষিত বঞ্চিত মানুষের অধিকার আর মুক্তির লড়াইয়ে ছিলেন অগ্রণী ভুমিকায়।দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব আর জাতীয় স্বার্থের প্রশ্নেও তিনি ছিলেন অবিচল প্রহরীর মত।
বিবৃতিতে সাইফুল হক বলেন, সত্য উচ্চারণে তিনি কখনও কুন্ঠিত হননি।এজনা বিভিন্ন সময়ে তাকে ক্ষমতাসীনদের রোষানলেও পড়তে হয়েছে। জাফরুল্লাহ চৌধুরী এমন একটা সময়ে বিদায় নিলেন, যখন এই নির্ভীক,পরোপকারী মহাপ্রাণ মানুষটির প্রয়োজন ছিল সবচেয়ে বেশী।
তিনি বলেন,জাফরুল্লাহ চৌধুরী দশকের পর দশক এদেশের মানুষের অনুপ্রেরণার উৎস হিসাবে থেকে যাবেন।
বিবৃতিতে তিনি জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বহুমাত্রিক সংগ্রামী জীবনের প্রতি পরম শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যসহ ভক্ত ও গূনমুগ্ধদের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেন।
অবিলম্বে সারের মূল্য বৃদ্ধির আমলাতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত বাতিল করুন
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক আজ গণমাধ্যমে প্রদত্ত এক বিবৃতিতে সারের দাম বস্তাপ্রতি ২০০ টাকা বৃদ্ধির ঘোষণায় তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়েছেন এবং বলেছেন এটা উৎপাদক কৃষকদের উপর রীতিমতো নতুন অত্যাচারের সামিল।তিনি বলেন, সারের দাম কেজি প্রতি পাঁচ টাকা বৃদ্ধি কৃষকদের পেটে লাথি মারার সমান।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, এমনিতেই বীজ বিদ্যুৎ, কীটনাশকসহ কৃষি উপকরণের দাম বৃদ্ধির কারণে কৃষকেরা নাজেহাল। কৃষক এখন কিনতে ঠকে, আবার বেচতেও ঠকে। এসব কারণে অধিকাংশ ক্ষেত্রে কৃষি অধিকাংশ ক্ষেত্রে এখন আর লাভজনক নয়।এই পরিস্থিতিতে নতুন করে সারের এই অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির কারণে কৃষি ও কৃষক ভয়াবহ বিপর্যয়ের সম্মুখীন হবে। সরকারের এই উদ্যোগ কৃষি উৎপাদনে নেতিবাচক অভিঘাত দেখা দেবে।তিনি বলেন,প্রয়োজনে উৎপাদন অব্যাহত রাখতে কৃষিতে ভর্তুকী বৃদ্ধি করতে হবে।
তিনি অনতিবিলম্বে সারের মূল্য বৃদ্ধির কৃষি বিরোধী আমলাতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত বাতিল করার আহবান জানান।