রবিবার ● ১৬ জুলাই ২০২৩
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » বাণিজ্যমন্ত্রীই বাজার সিন্ডিকেটের হোতা : এমপি মোকাব্বির
বাণিজ্যমন্ত্রীই বাজার সিন্ডিকেটের হোতা : এমপি মোকাব্বির
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: সিলেট-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য মোকাব্বির খান বলেছেন, দেশের মানুষ আজ অসহায়, দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয়-ক্ষমতার মধ্যে নেই। অসৎ ব্যবসায়ী, অসৎ আমলা এবং অসৎ রাজনীতিবীদ-এই তিনটা মিলেই সিন্ডিকেট সৃষ্টি করে রাষ্ট্রকে জিম্মি করে রেখেছে। আর সেই সিন্ডিকেটের সদস্যরা নিজের ইচ্ছে মতো দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করছে।
তাছাড়া বাণিজ্যমন্ত্রী স্বীকার করেছেন, তিনি বাজার সিন্ডিকেটে হাত দিতে পারছেন না। কেন হাত দিতে পারছেন না? উনি নিজেও একজন ব্যবসায়ী। তাই আমরা যখন বাজারে যাই, তখন মানুষের মুখে শুনতে পাই বাণিজ্যমন্ত্রী বাজার সিন্ডিকেটের হোতা এবং সেই সিন্ডিকেটই তাকে বাণিজ্যমন্ত্রীর জায়গায় বসিয়ে রেখেছে। লজ্জা-শরম থাকলে তিনি পদত্যাগ করতেন।
তিনি বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) দুপুরে সিলেটের বিশ্বনাথে উপজেলার দেওকলস ইউনিয়নের ‘মজলিশপুর ও মজনপুর’ গ্রামবাসীর উদ্যোগে আয়োজিত মজলিশপুর গ্রামের মরহুম আছবর আলীর বাড়িতে অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান ও সংবর্ধিত অতিথির বক্তব্যে একথাগুলো বলেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত করেন হাফেজ আক্তার আলী।
উপজেলার দেওকলস ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক মেম্বার আব্দুল মজিদের সভাপতিত্বে ও সংগঠক মাওলানা শাহিদ খানের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মজলিশপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শিউলী চক্রবর্তী, সহকারী শিক্ষক শামীম আহমদ।
বক্তব্য রাখেন আব্দুর রহমান, হাবিব খান, কাওছার আহমদ মাসুম, ফয়সল আহমদ, মজলিশপুর যুব সংঘের সাধারণ সম্পাদব হাবিবুর রহমান ও সংগঠক আব্দুস সালাম। অনুষ্ঠানে এসময় বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাচিত হলে মানুষের কল্যাণেই কাজ করে যাব- দৌলতপুরে আরব খান
বিশ্বনাথ :: আগামী ১৭ জুলাই অনুষ্ঠিতব্য সিলেটের বিশ্বনাথে উপজেলার ‘দৌলতপুর ইউনিয়ন পরিষদ’ নির্বাচনে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী হাফিজ মো. আরব খান স্থানীয় সাংবাদিকদের মতবিনিময় করেছেন। শুক্রবার (১৪ জুলাই) রাতে ইউনিয়নের সিঙ্গেরকাছ বাজারে চশমা প্রতীকের প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ে ওই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় হাফিজ মো. আরব খান বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন হবে আশা করেই নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে ছিলাম। এখন দেখছি ভোট গ্রহনের দিন যতই এগিয়ে আসছে আমার প্রতিদ্ব››দ্বী প্রার্থী দলীয় প্রভাব কাটাচ্ছে, আমার কর্মীদেরকে ভয়ভীতি দেচ্ছাচ্ছেন।
কালো টাকা বিস্তারের পাশাপাশি ভোট গ্রহন শেষে, কেন্দ্রে কেন্দ্রে ফলাফল ঘোষণা না করে নাকি উপজেলায় নিয়ে গিয়ে ফলাফল ঘোষণা করা হবে ও ভোটারা নাকি ভোট দিয়ে মোবাইল দিয়ে ছবি তুলে দেখাতে হবে বলে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। এসব গুজবের ফলে নির্বাচনী কাজে পরিচালনায় আমাকে সম্যাসায় পড়তে হচ্ছে।
এসমব গুজব থেকে রক্ষা পেতেই সাংবাদিকদের সাথে আমার আজকের (শুক্রবার) মতবিনিময়। আমি সাংবাদিকদের মাধ্যমে প্রতিপক্ষের নীল-নকশা যাতে বাস্তবায়ন না হয়, আমি সাংবাদিকদের মাধ্যমে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
সভায় চশমা প্রতীকের প্রার্থী হাফিজ মো. আরব খান আরও বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন হলে এবং কেন্দ্রে কেন্দ্রে ফলাফল ঘোষণা করা হলে আমার বিজয় কেউ আটকাতে পারবে না। আর আমি নির্বাচিত হলে মানুষের কল্যাণেই কাজ করে যাব। মৃত্যুর পরও যাতে মানুষ আমাকে স্মরণ রাখেন।
নির্বাচিত হলে দল ক্ষমতায় নেই, সেই অজুহাত দেখানোর মানুষ আমি নই। আমি নির্বাচিত হলে পরিষদে যে বরাদ্ধই আসুক, তার শতভাগ সততা ও নিষ্ঠার সাথে ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডের জনসাধারণের মাঝে সমবন্টনের মাধ্যমে এলাকার উন্নয়ন করা হবে।
এছাড়া তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে দায়ের করা জিডির সুষ্ঠু তদন্ত করার জন্য আমি সাংবাদিকদের মাধ্যমে পুলিশ প্রশাসনের সুদৃস্টি কামনা করছি। তদন্তে যে অপরাধী হবে তাকে আইনের আওতায় আনা জরুরী, অযতা কাউকে হয়রাণী করা উচিত নয়।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন দৌলতপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক মেম্বার আবারক আলী, সংগঠক ইসমাইল খান, রিপন মিয়া, আব্দুল মোমিন কালু, জাহিদুল ইসলাম, সাদিকুর রহমান, আফরুজ আলী, রফিক মিয়া, আবু সালেহ, আব্দুর রুপ, আলমাছ আলী, আব্দুল মজিদ মেম্বার, লেচু মিয়া, শফিক মিয়া, হাজী নিয়ামত উল্লাহ, সেবুল আহমদ, আপ্তাব আলী, আব্দুুল হামিদ, সিতাব আলী, লিলু মিয়া, জামাল আহমদ, মুক্তার মিয়া, জাকির ডন প্রমুখসহ চশমা প্রতীকের কর্মী-সমর্থক ও বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার লোকজন।