রবিবার ● ১৬ জুলাই ২০২৩
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » ঈশ্বরগঞ্জে মামুনুল হকের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন
ঈশ্বরগঞ্জে মামুনুল হকের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন
উবায়দুল্লাহ রুমি, ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি :: বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ও হেফাজতে ইসলামের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম-মহাসচিব আল্লামা মামুনুল হকসহ কারাবন্দী সকল আলেমদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিস ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা শাখার উদ্যোগে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র মজলিসের ময়মনসিংহ জেলা শাখার সাবেক সহ সাংগঠনিক সম্পাদক হাফেজ মিজানুর রহমানের সঞ্চালনায় বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিসের ময়মনসিংহ জেলা শাখার কার্য নির্বাহী সদস্য মাওলানা এনামুল হকের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন ঈশ্বরগঞ্জ থানা শাখার সভাপতি মুফতি দেলোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক হাফেজ মাসুম বিল্লাহ, বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র মজলিসের ঈশ্বরগঞ্জ থানা শাখার সভাপতি আশরাফুল ইসলাম প্রমুখ। এছাড়াও উপজেলা পরিষদের সামনে ব্যানার-পোস্টার নিয়ে ঘন্টা ব্যাপী মানববন্ধনে বিভিন্ন ইউনিয়নের সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আল্লামা মামুনুল হক সহ গ্রেফতারকৃত আলেম-ওলামার নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস। আলেম-ওলামা এবং সাধারণ মানুষকে হয়রানি ও গ্রেফতার করে দেশে একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি ভালো হবে না। আটকদের নিঃশর্ত মুক্তি দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তারা। অন্যথায় আলেম-ওলামারা ঐক্যবদ্ধভাবে কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে বলে তারা হুঁশিয়ারি দেন। নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, হয়রানি ও গ্রেফতার করে আলেম-ওলামাদের আন্দোলনকে ঠেকানো যাবে না। দেশের জনগণ ইসলাম ও দেশের প্রয়োজনে জীবন দিতে প্রস্তুত।
ঈশ্বরগঞ্জে বিএনপি মিছিল ও গণসংযোগ
ঈশ্বরগঞ্জ :: দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও ১দফা দাবী আদায়ের লক্ষে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা বিএনপি মিছিল মিটিং ও গণসংযোগ করেছে। শুক্রবার গণসংযোগের একটি মিছিল বের করে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
জানা যায়, আগামী ১৮ জুলাই ময়মনসিংহ জেলা বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচি সফল ও বাস্তবায়ন করার লক্ষে উপজেলা পৌরসদরে অবস্থিত বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয় থেকে একটি মিছিল বের করে শহর প্রদক্ষিণ করে পুনরায় কার্যালয়ে এসে শেষ হয়।
ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য ও ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার সাবেক সংসদ সদস্য শাহ্ নুরুল কবীর শাহীনের নেতৃত্বে মিছিল ও গণসংযোগে উপস্থিত ছিলেন, ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য কামরুজ্জামান লিটন, রুহুল আমিন মাস্টার, ময়মনসিংহ উত্তর জেলা যুবদলের সাবেক সহ সভাপতি শাহ মোফাজ্জল হোসেন টিপু, ময়মনসিংহ উত্তর জেলা যুবদলের ক্রিড়া বিষয়ক সম্পাদক মুরাদ হোসেন হলুদ, ময়মনসিংহ উত্তর জেলা সেচ্ছাসেবকদলের শিক্ষা ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক মেহেদী হাসান, সদস্য রেজাউল করিম সুজন, উপজেলা বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক ঝুলন চকদার, সদস্য মোখলেছুর রহমান, পৌর কৃষকদলের সভাপতি মকবুল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম খান, ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মোবারক হোসেন, নাজমুল আলম সোহাগ প্রমুখ।
ঈশ্বরগঞ্জে এক কর্মস্থলে ১৫ বছর, শোকজেই ঢাকা পড়েছে সব
ঈশ্বরগঞ্জ :: ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ হাসপাতালে অপকর্ম করেও এক কর্মস্থলে ১৫ বছর ধরে চাকুরী করছেন উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার সোহেল রানা। তার বিরুদ্ধে রয়েছে উৎকোচ নেওয়া থেকে শুরু করে ডিউটি ফাঁকিসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ। এসব অভিযোগের প্রমাণ মিললেও কেবল শোকজেই ঢাকা পড়েছে তার সকল অপকর্ম। কর্তৃপক্ষ নিচ্ছে না কোন ব্যবস্থা। এ নিয়ে সচেতন মহলে শুরু হয়েছে আলোচনা সমালোচনা। এত অপকর্ম করেও কিভাবে টিকে আছে উপ-সহকারী কমিউনিটি অফিসার সোহেল। তার খুঁটির জোর কোথায় এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে জনমনে।
জানা যায়, সোহেল রানা ২০০৮ সালের ৬ এপ্রিল ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার হিসেবে যোগদান করে কর্মরত আছেন সোহেল রানা। প্রায় ১৫বছর ধরে তিনি একই কর্মস্থলে চাকুরী করে যাচ্ছেন। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় হাসপাতালের ডিউটি ফাঁকি উৎকোচ নেওয়াসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠলেও তিনি থাকেন ধরাছোঁয়ার বাইরে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, তিনি নিজেকে ডাক্তার পরিচয় দিয়ে হাসপাতালের বাইরে প্রাইভেট চেম্বারে রোগী দেখেন। এমনকি হাসপাতালের ডিউটি ফাঁকি দিয়ে তিনি এসব কর্মকান্ড নির্বিঘ্নে করে যাচ্ছেন। তেমনি একটি ঘটনার প্রমাণ মেলে গত ২৭মে। দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সোহেল রানার ডিউটি ছিল হাসপাতালের জরুরী বিভাগে। কিন্তু তিনি ২টায় হাসপাতালের ডিউটি রেজিষ্ট্রারে স্বাক্ষর করেই চলে যান পৌর সদরের ব্রীজ সংলগ্ন ফয়সাল মেডিসিন কর্ণারের নিজস্ব চেম্বারে। ওই সময় সরেজমিন গিয়ে তাকে চেম্বারে জিসান (৪ মাস) নামে এক শিশু রোগীর প্রেসক্রিপশন করতে দেখা যায়। প্রেসক্রিপশনে তার নামের আগে ডাঃ মোঃ সোহেল রানা এমনকি তিনি মেডিসিন, চর্ম, যৌন, মা ও শিশু এবং মানসিক রোগের বিশেষ অভিজ্ঞ বলে উল্লেখ রয়েছে। দীর্ঘ দিন ধরে তিনি এভাবে রোগী দেখে আসছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে বেশ কিছু গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে ২৯মে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ লোপা চৌধুরী ওই ঘটনার যথাযত কারণ জানতে চেয়ে সোহেল রানাকে শোকজ করেন। পরে সোহেল রানা ৩১মে এর জবাব দেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সোহেল রানার বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা লোপা চৌধুরী বলেন, ১জুন২৩ইং তারিখে সোহেল রানার শোকজের জবাবসহ একটি প্রতিবেদন ময়মনসিংহ সিভিল সার্জন অফিসে পাঠিয়েছেন বলে জানান।
ময়মনসিংহ জেলার সিভিল সার্জন মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ লোপা চৌধুরীর কাছে সোহেল রানা তার শোকজের জবাব দিয়েছে। তবে শোকজের একটি প্রতিবেদন পেয়েছি অফিসের বাইরে থাকায় বিস্তারিত বলতে পারছি না।