মঙ্গলবার ● ১৫ আগস্ট ২০২৩
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের আয়োজনে জাতীয় শোক দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ
পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের আয়োজনে জাতীয় শোক দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ
রাঙামাটি :: পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ব্যবস্থাপনায় সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর ৪৮তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস ২০২৩ পালন করা হয়। সকাল সাড়ে ৮টায় জাতীয় পর্যায়েন কর্মসূচির সাথে সামঞ্জস্য রেখে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান সুপ্রদীপ চাকমা (প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত) এর নেতৃত্বে বোর্ডের প্রধান কার্যালয়ে স্থাপিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণসহ ১ মিনিট নিরবতা পালনের মাধ্যমে গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন শেষে রাঙামাটি সদর উপজেলাস্থ বঙ্গবন্ধু ম্যূারালে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
সকাল সাড়ে ১০টায় পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের কর্ণফুলী সম্মেলন কক্ষে ১৫ আগস্ট ২০২৩ জাতীয় শোক দিবস পালন উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহ্ফিল’ এর আয়োজন করা হয়। আলোচনা সভায় বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নুরুল আলম চৌধুরী (অতিরিক্ত সচিব) এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান সুপ্রদীপ চাকমা (প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত)। আলোচনা’র শুরুতে প্রথমে বঙ্গবন্ধুর জীবনী ইতিহাস বিষয়ক স্বল্প দৈর্ঘ্য প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন এবং পবিত্র ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠ করা হয়। বোর্ডের তথ্য অফির্সা ডজী ত্রিপুরা অনুষ্ঠানের উপস্থাপনা করেন।
চেয়ারম্যান বক্তব্যের শুরুতে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থাপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্ট এ পরিবারবর্গ যারা নিহত হয়েছেন সকল শাহাদত বরণকারীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন। তিনি বলেন, ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ সালের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নির্মম হত্যা পুরো দেশ ও জাতির জন্য অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। আমাদের মাঝে বঙ্গবন্ধু জীবিত না থাকলেও তাঁর আদর্শকে ধারন করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর জীবদ্দশায় পার্বত্য চট্টগ্রামে তিনবার সফর করেছিলেন। তখন তিনি উপলদ্ধি করেছিলেন পিছিয়েপড়া জাতিগোষ্ঠী ও দুর্গম পার্বত্য জনপদকে উন্নয়নের জন্য অঞ্চলভিত্তিক পরিকল্পনা গ্রহন করা দরকার। পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ প্রতিষ্ঠান।
এছাড়া তিনি প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ প্রতিষ্ঠান পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডে চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ প্রদান করায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন যে, তাঁর দীর্ঘ কর্মজীবনে অধিকাংশ সময় পার্বত্য চট্টগ্রামের বাইরে কর্মরত ছিলেন। তাই পার্বত্য চট্টগ্রামের জন্য তেমন কিছু করতে পারেননি। সকলের সহযোগিতা নিয়ে এবার দুর্গম পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চরের সামগ্রীক উন্নয়ন ও সকলকে নিয়ে একসাথে কাজ করতে চান মর্মে সভায় তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বক্তব্যের প্রারম্ভে ভাইস চেয়ারম্যান বঙ্গবন্ধুসহ তাঁর পরিবারবর্গ সকল নিহত সদস্যদের আত্মার শান্তি কামনা করেন। তিনি বলেন ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হত্যাযজ্ঞ পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে নিকৃষ্টতম। এ হত্যাকান্ডের সাথে দেশী-বিদেশী ষড়ন্ত্রকারী কুচক্রী মহলসহ বিভিন্ন দেশের গোয়েন্দা সংস্থা মিলে এ হত্যাযজ্ঞ পরিকল্পিতভাবে ঘটিয়েছিলো। এসময় তিনি বঙ্গবন্ধুর সাহসিক আদর্শকে বুকে ধারণ করে শোককে শক্তিতে পরিণত করার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলার লক্ষ্যে সকলকে এগিয়ে আসার আহবান জানান।
সভায় বোর্ডের ভাইস-চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নুরুল আলম চৌধুরী (অতিরিক্ত সচিব), সদস্য-বাস্তবায়ন মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ (উপসচিব), সদস্য পরিকল্পনা ও সদস্য প্রশাসন মোঃ জসীম উদ্দিন, উপপরিচালক জনাব মংছেনলাইন রাখাইন, রাঙামাটি নির্বাহী প্রকৌশলী তুষিত চাকমা, কল্যানময় চাকমা, হিসার রক্ষণ কর্মকর্তা মনজু মানষ ত্রিপুরা, জেলা প্রকল্প ব্যবস্থাপক এসএসএস-সিএইচটি প্রকল্প কাইংওয়াই ম্রো গবেষণা কর্মকর্তা, মোঃ নুরুজ্জামান বাজেট ও অডিট অফিসার, সহকারী প্রকৌশলী মোঃ খোরশেদ আলম, ত্রয়া সরকার সহকারী প্রকৌশলী, সাগর পাল, প্রশাসনিক কর্মকর্তাসহ বোর্ডের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা/কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বোর্ডের আয়োজনে নিকটবর্তী মসজিদ, মন্দির ও বৌদ্ধ বিহারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সকল শহীদদের আত্মার মাগফিরাত ও শান্তি কামনা করে বিশেষ দোয়া মাহ্ফিলসহ তবারক বিতরণ এবং দানীয় সামগ্রী উৎসর্গ করা হয়। এছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক পরিচালিত ৪টি আবাসিক বিদ্যালয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় ও ভাবগাম্ভীর্যের সাথে দিবসটি পালন করা হয়।