বুধবার ● ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে মিরসরাইয়ে ব্যবসায়ীর আত্মহত্যা
ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে মিরসরাইয়ে ব্যবসায়ীর আত্মহত্যা
মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি :: ঋণের বোঝা সইতে না পেরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের আইডিতে ‘ক্ষমা প্রার্থী’ পোস্ট দেওয়ার পর মিরসরাইয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে মোহাম্মদ আরিফ (২৩) নামে এক ফল ব্যবসায়ী।
সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার সাহেরখালী ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব সাহেরখালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আরিফ ওই এলাকার নিজাম উদ্দিনের ছেলে। স্থানীয় ভোরের বাজার এলাকায় একটি ফলের দোকান আছে তার।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আরিফ দীর্ঘদিন ধরে সাহেরখালী ইউনিয়নের ভোরের বাজারে ফলের ব্যবসা করে আসছেন। তার ব্যবসায়িক লেনদেনসহ বিভিন্ন খাতে মোটা অঙ্কের ঋণ হয়ে গেছে। এ ঋণের বোঝা সইতে না পেরে সম্ভবত আত্মহত্যার পথ বেঁচে নেয়।
আরিফের আত্মীয় আজাদ বলেন, দুপুরে দোকান থেকে বাড়ি গিয়ে খাওয়া-ধাওয়া করে আরিফ রুমে ঘুমাতে যায়। সন্ধ্যা গড়িয়ে যাওয়ায় ঘুম থেকে উঠছে না দেখে দরজা ভেঙে দেখি রশি দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আছে সে। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।।
সাহেরখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুল হায়দার চৌধুরী বলেন, ভোরের বাজারের পাশে আরিফের বাড়ি। তিনি ফল ব্যবসা করতেন। তবে কী কারণে আত্মহত্যা করেছেন সঠিক জানি না। তবে আত্মহত্যা করেছে বিষয়টি শুনেছি।
মিরসরাই থানার ওসি মো. কবির হোসেন বলেন, সাহেরখালীতে ফল ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আরিফের আত্মহত্যার খবর পেয়ে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তার মরদেহ চট্টগ্রাম মেডিকেলে আছে। কী কারণে আত্মহত্যা করেছেন তা জানা যায়নি। মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে বাড়িতে নেওয়া হবে। এ ঘটনায় থানায় এখনো কোনো মামলা হয়নি।
মিরসরাইয়ে সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে জালে আটকা পড়ে লাশ হলেন অটোরিকশা চালক
মিরসরাই :: মিরসরাইয়ে সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে লাশ হয়ে ফিরেছেন মো. সবুজ (৫০) নামের এক সিএনজি অটোরিকশা চালক। সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার সাহেরখালী স্লুইসগেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তিনি উপজেলার ১১ নং মঘাদিয়া ইউনিয়ন সরকার টোলা গ্রামের জিন্নাত আলী মুহুরী বাড়ির মো. নুরুল আমীনের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার সকালে বড় ভাই দিদারুল আলমের সঙ্গে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরের সাহেরখালী ইউনিয়নের দক্ষিণ মঘাদিয়ার চায়না ৩ নম্বর জেটি এলাকায় সাগরে জাল মারতে যায়। এসময় দুপুর গড়ালে তার সঙ্গে থাকা বড় ভাই উপরে চলে আসেন। এবং সেও চলে আসে। পরবর্তীতে সে আবার গিয়ে জাল মারে। এসময় জাল স্রোতে আটকে গেলে সে সাগরে নেমে পড়লে মুহুর্তে সাগরের ডেউয়ে জালে আটকে ডুবে যায়। পরে অনেক খোঁজাখুজি করে না পেয়ে ইঞ্জিন চালিত বোটের নোঙ্গর ফেলে জাল শনাক্ত করে বিকাল ৫টার দিকে তার মৃত দেহ উদ্ধার করে স্থানীয়রা।
মঘাদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য রবিউল হোসেন বলেন, সবুজ পেশায় একজন সিএনজি চালক। তার ৪টি সন্তান রয়েছে। আজ সকালে তার বড় ভাই দিদারুল আলমের সঙ্গে জাল মারতে যায় ইকোনমিক জোন এলাকায়। এসময় তার বড় ভাই চলে আসলেও সে উপরে এসে আবার জাল মারতে নেমে পড়ে। ওই সময় জাল আটকে গেলে তিনি জাল উদ্ধার করতে নামলে আর ফিরেননি। পরে বড় ভাই তাকে খোঁজখুজি করে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মৃত দেহ উদ্ধার করে। একই দিন এশার নামাজের পর জানাজার নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাপন করা হয়।
চরশরত পুলিশ ক্যাম্পের দায়িত্বরত ইন্সপেক্টর মো. হাবিবুর রহমান জানান, সাহেরখালী স্লুইসগেট এলাকায় জাল মারতে গিয়ে আটকে পড়ে এমন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছি। ঘটনাস্থলে গিয়ে আমরা ভিকটিমকে পাইনি। স্থানীয়দের মুখে শুনেছি অজ্ঞাত এক ব্যক্তি জাল মারতে গিয়ে আটকে পড়ে। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে নিয়ে যায়।