শুক্রবার ● ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩
প্রথম পাতা » গাজিপুর » দেশে ভোট ও ভাতের অধিকার হরনকারী সরকার : আকবর খান
দেশে ভোট ও ভাতের অধিকার হরনকারী সরকার : আকবর খান
আজ ৮ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ১০টায়, বিপ্লবী গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন (বিজিএসএফ)এর উদ্যোগে আশুলিয়ায় শিল্পাঞ্চলে মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এই কর্মসূচীতে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক পরিষদ সদস্য,আকবর খান তিনি বলেন যে দেশে ভোট ও ভাতের অধিকার হরনকারী সরকার সেই দেশে কিভাবে শ্রমিকের ভাগ্যর উন্নতি ঘটবে।সরকার বাজার দর নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না।শ্রমিকশ্রেনীর ভোটাধিকার না থাকলে শ্রমিকের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে না।বিজিএসএফ সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি,অরবিন্দু বেপারী বিন্দু বক্তব্যে বলেন বর্তমান দব্রমূর্ল্যের বাজারে শ্রমিকেরা অবর্ননীয় দূর্দশায় দিন পার করছে।
শ্রমিকদের উপযুক্ত মজুরী ২৫ হাজার টাকা উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখবে।
বর্তমান খাদ্যপন্যের দাম ক্রমাগতভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। শ্রমিকের খাদ্য ও পুষ্টিগ্রহণ কমে গেছে।বর্তমান মজুরীতে পাঁচজনের একটি গার্মেন্টস শ্রমিক পরিবারের মাসের ১৫ দিন চলাই কঠিন। জীবনযাত্রার ব্যয়বৃদ্ধি ও মুদ্রাস্ফীতির কারণে শ্রমিকদের প্রকৃত আয় মারাত্মকভাবে কমে গেছে। জীবনযাত্রার ব্যয়সহ সমুদয় পরিস্থিতি বিবেচনা করে পোষাক শ্রমিকদের বাঁচার মত উপযুক্ত মজুরী ২৫ হাজার টাকা পুনঃনির্ধারণের জন্য সরকার ও মালিকদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন বাঁচার দাবিতে শ্রমিকেরা যদি আন্দোলন সংগ্রাম গড়ে তুলে এতে দেশের সরকারকে বড় ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হবে এবং শ্রমিকদের সকল দায়-দায়িত্ব সরকার ও মালিকদের বহন করতে হবে। সংগঠনের প্রধান,অরবিন্দু বেপারী বিন্দু , সরকারের বানিজ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীকে নিয়ে তুমুল সমালোচনা করে বলেন বাজার সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে আজ অবদি কোনো পদক্ষেপ নেননি বরং ওনি বলেন বাংলাদেশে বাজার সিন্ডিকেট বলতে কোন কিছু নেই এরকম মন্তব্য করে বলে দেশে বার্তা দিয়ে থাকে।এরকম বক্তব্য কোন দায়িত্বশীল মন্ত্রী দিতে পারে না।বাণিজ্য মন্ত্রীর ব্যাপারে দেশের সরকার প্রধান কোনো উপযুক্ত শাস্তি মূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। বাংলাদেশ সরকার দাবী করে শ্রম বান্ধব সরকার। আবার কিছু দিন আগে শুনা গেলো দেশের সরকার প্রধানের এক বক্তব্যে সরকার নাকি ব্যাবসায়ী বান্ধব। আসলে বাংলাদেশ সরকার ব্যাবসায়ী,পুঁজিবাদ,বাজার সিন্ডিকেট পাহারাদারের সরকার। তদঃরুপ-সরকারের মজুরী বোর্ড গঠন হলো ৩ মাস পার হতে চলছে এখন পর্যন্ত মজুরি ঘোষনার ব্যাপারে কোন উদ্যোগ সরকার ও মালিকপক্ষ নেয়নি। এতদিন হয়ে গেলো দুই দুইবার মজুরী বোর্ডের সাথে মিটিং হয়েছে শ্রমিক পক্ষের সদস্য সহ সরকারের নীতি নির্ধারক ও মালিকপক্ষের কিন্তু শ্রমিকদের মজুরী বৃদ্ধির ব্যাপারে কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা এব্যাপারে সন্দেহ আছে। তাহলে মজুরী বোর্ড গঠনে কি ভূমিকা রাখে।শ্রমিক পক্ষের নিম্নতম মজুরী বোর্ডের সদস্যকে উল্লেখ্য করে বলেন মনোনীত হয়েছেন যেহেতু সে ক্ষেত্রে শ্রমিকদের মজুরী বৃদ্ধি ঘোষনা সরকার ও মালিকদের কার্যকারিতা ভূমিকা পালন করতে জোরালো উদ্দগ্য নিতে আহবান করুন।
সংগঠনের দাবী ন্যূনতম মজুরী ২৫ হাজার টাকা ঘোষনা ও ১০ দফা বাস্তবায়ন করতে হবে।আর যদি দাবী না মানা হয় তাহলে ১০ দফা দাবি নিয়ে শ্রমিকদের সাথে নিয়ে কঠোরভাবে আন্দোলন গড়ে তোলা হবে এর জন্য দায়ী থাকবে সরকার ও মালিকেরা।
বিপ্লবী গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন (বিজিএসএফ)এর ১০ দফা দাবী বাস্তবায়ন নামা পেশঃ
*গার্মেন্টস শ্রমিকদের জন্য ৭০ভাগ মুল মজুরী সহ ন্যূনতম মজুরী ২৫,০০০/-হাজার টাকা এবং অবিলম্বে পোষাক খাতে মজুরী বোর্ড পূর্নঃগঠন সহ ১০ দফা বাস্তবায়ন কর।
*প্রত্যেক কারখানায় কলোনী নির্মান করে সকল শ্রমিকের বাসস্থান নিশ্চিত কর।
*শ্রম আইন সংশোধন করে শ্রমবান্ধব শ্রম আইন প্রনয়ণ করতে হবে।
*সকল কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও শ্রমিকদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত কর।
*তাজরীন,রানা প্লাজা, সেজান জুসসহ সকল কাঠামোগত হত্যাকান্ডের জন্য দায়ী মালিক ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত কর।
*কারখানা শ্রমিকদের জন্য কোম্পানির খরচে যাতায়াত ব্যাবস্থা চালু কর।
*সকল শিল্প প্রতিষ্ঠানে একাধিক ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের অধিকার নিশ্চিত কর।
*মাতৃত্বকালীন ছুটি ৬ মাস কর।শ্রমিক স্বার্থবিরোধী নিপীড়নমূলক সকল কালাকানুন বাতিল কর।
*প্রতিটি শিল্প এলাকায় ১০০শয্যা বিশিষ্ঠ পৃথক শ্রমজীবী হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা কর।
*অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
বিপ্লবী গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের (বিজিএসএফ)এর কেন্দ্রীয় মানব বান্ধন কর্মসূচীতে সংগঠনের সিঃসহ-সভাপতি,সভাপতিত্ব করেন জসীম রাড়ি, সভায় বক্তব্য রাখেন সহ-সভাপতি, সাজাহান মিয়া, সহ-সাধারন সম্পাদক,পবিত্র এদবর,সহ-কামরুজ্জাম মিয়া,মেহেদী হাসান, সজল হালদার,মোহাইমিনুল হক,আবুল বাসার, লাবনী আক্তার সহ-আঞ্চলিক নেতা সোহেল রানা,নাসির হোসেন,মোঃ হানিফ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।