মঙ্গলবার ● ৩ অক্টোবর ২০২৩
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » বিশ্বনাথ পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে ১১০ কোটি টাকা টাকার মানহানীর মামলা করলেন এমপির পিএস
বিশ্বনাথ পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে ১১০ কোটি টাকা টাকার মানহানীর মামলা করলেন এমপির পিএস
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: সিলেট-২ আসনের সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় গণফোরাম নেতা মোকাব্বির খানকে কটুক্তি করায় পৌর মেয়র মুহিবুর রহমানের বিরুদ্ধে ১১০ কোটি টাকার মানহানীর মামলা করলেন এমপির ব্যক্তিগত সহকারী আহমেদ কবির আদনান।
সোমবার দুুপুরে সিলেট সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে এ মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় মুহিবুর রহমানকে প্রধান আসামী করে ও দুইজনের নাম উল্লেখ করে ১০/১৫জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী দেয়া হয়, (মামলা নং-১৯৭/২০২৩)। মামলার অন্য দুই অভিযুক্তরা হলেন, টেংরা আলীপাড়ার লাল মিয়ার ছেলে সিতাব মিয়া (৪৫) ও গ্রাম ও পিতা অজ্ঞাত আলী মিয়া (৪৮)।
মামলাটি পিবিআইকে তদন্তের জন্য নির্দেশ দেন বিজ্ঞ আদালত। বিষয়টি নিশ্চিত করেন মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী জাফর ইকবাল তারেক।
জানাগেছে, গত ২৫ সেপ্টেম্বর উপজেলার টেংরা আলীপাড়া গ্রামের মসজিদে গিয়ে মেয়র মুহিবুর রহমান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি ভিডিও পোস্ট করেন। এতে দেখা যায়, এই প্রকল্পের কাজ হয়নাই। এই প্রকল্পের এমপির পিএ টাকা মেরে খেয়েছে। এখানে হরিলুট হয়েছে। এরই জের ধরে এমপির ১১০ কোটি টাকার মানহানী হয়েছে বলে মামলা করা হয়।
মামলার বাদী ও এমপির ব্যক্তিগত সহকারী আহমেদ কবির আদনান বলেন, আমাদের একটি প্রকল্প জিএসআইডি-২ প্রকল্পের আওতায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশলীর বাস্তবায়নে ৩ লক্ষ টাকার একটি কাজ দেয়া হয়েছে। এ কাজটি চলমান রয়েছে। এখনো ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ন না করায় এখনো বিলও দেয়া হয় নাই। তাহলে কেমন করে এখানে হরিলুট হলো।
এবিষয়ে মেয়র মুহিবুর রহমান বলেন, এমপি মহোদয়ের মান মূল্য ১১০ কোটি টাকা। মানহানী হয়েছে তাও জানলাম। কিন্তু সরকারী টাকা যে আত্মসাৎ হলো সে ব্যাপারে তো তিনি কিছু বলেন নি। আমরা অনুসন্ধানী সচিত্র প্রতিবেদন দিয়েছি। যা সত্য তা পরিষ্কার উঠে এসেছে। এটা আদালতেও গৃহিত হয়। জনগনের স্বার্থে এরকম সচিত্র প্রতিবেদন চলমান থাকবে।
বিশ্বনাথে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) মোবারক র্যালী
বিশ্বনাথ :: দেড় হাজার বছর আগে এই দিনে মানব জাতির জন্য রহমত হিসেবে প্রেরিত মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর শুভ আবির্ভাব ঘটে। এই দিনটি মুসলিম উম্মাহর কাছে পবিত্র ঈদ-এ মিলাদুন্নবী (সা.) নামে পরিচিত।
৫৭০ সালের এই দিনে (১২ রবিউল আউয়াল) আরবের মক্কা নগরীর সম্ভ্রান্ত কুরাইশ বংশে মা আমিনার কোল আলোকিত করে জন্ম নিয়েছিলেন বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)।
মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর জন্মের আগে গোটা আরব অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিল। ওই সময় আরবের মানুষ মহান আল্লাহকে ভুলে গিয়ে নানা অপকর্মে লিপ্ত ছিল।
আরবের সর্বত্র দেখা দিয়েছিল অরাজকতা ও বিশৃংখলা। এ যুগকে বলা হতো ‘আইয়ামে জাহেলিয়াত’র যুগ। তখন মানুষ হানাহানি, মারামারি ও কাটাকাটিতে লিপ্ত ছিল এবং মূর্তিপূজা করতো। এই অন্ধকার যুগ থেকে মানবকুলের মুক্তিসহ তাদের আলোর পথ দেখাতে মহান আল্লাহতাআলা রাসুল্লুাহ (সা.)-কে দুনিয়ায় প্রেরণ করেন।
পবিত্র কোরআন শরীফে বর্ণিত আছে, ‘মহানবীকে সৃষ্টি না করলে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন পৃথিবীই সৃষ্টি করতেন না’। এসব কারণে এবং তৎকালীন আরব জাহানের বাস্তবতায় এ দিনের (পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবীর) গুরুত্ব ও তাৎপর্য অনেক বেশি। বাংলাদেশসহ বিশ্ব মুসলিম স¤প্রদায় এ দিনটি ঈদে মিলাদুন্নবী হিসেবে পালন করে থাকে।
এরই ধারাবাহিকতায় বিশ্বনাথ উপজেলা মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপন পরিষদের যৌথ আয়োজনে এই কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। সোমবার দুপুর আড়াইটায় বিশ্বনাথ দারুল উলুম ইসলামিয়া কামিল মাসরাসা থেকে র্যালিটি বের করে বিশ্বনাথ পৌর শহরের প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ শেষে আলিয়া মাদরাসায় ফিরে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপন পরিষদের সভাপতি সুফি সামসুল ইসলাম, প্রধান অতিথি বক্তব্য রাখেন সৎপুর কালিম মাদরাসার সাবেক অধ্যক্ষ মাওলানা শফিকুর রহমান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান মাওলানা হাবিবুর রহমান, বিশ্বনাথ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দয়াল উদ্দিন তালুকদার, দৌলতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাফিজ আরব খান, উপজেলা আল-ইসলার সভাপতি মাওলানা আখতার আলী, পৌর আল-ইসলাম সভাপতি তালুকদার মোহাম্মদ ফয়জুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক শেখ শাহ জাহান, ক্বারী সোসাইটির সভাতি মাওলানা আব্দুল মছব্বির, সাধারণ সম্পাদক মনজুর আহমদ, ইয়াকুবিয়া হিফজুল কোরআন বোর্ডের সভাপতি মাওলানা আব্দুল কাদির, সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান আঙ্গুর, ইউপি সদস্য শফিক আহমদ পিয়ারসহ আল-ইসলাহ, তালামিয ও বিভিন্ন শ্রেণী পেশার ব্যক্তিবর্গ র্যালিতে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ইসলাম উদ্দিন লতিফী।