রবিবার ● ১৪ জানুয়ারী ২০২৪
প্রথম পাতা » খাগড়াছড়ি » পানছড়ি বাজার বয়কট : মেয়াদ ১মাস বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত
পানছড়ি বাজার বয়কট : মেয়াদ ১মাস বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি :: চলমান পানছড়ি বাজার বয়কটের মেয়াদ আরও এক মাস বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
শুক্রবার ১২ জানুয়ারী ইউপিডিএফ-মূল পানছড়ি উপজেলা ইউনিটের এক সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
ইউপিডিএফ-মূল কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগের সম্পাদক নিরন চাকমা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেয়া হয়।
উল্লেখ্য, বিপুল চাকমা, সুনীল ত্রিপুরা, লিটন চাকমা ও রুহিন ত্রিপুরার হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে গত ১২ ডিসেম্বর এক মাসের জন্য পানছড়ি বাজার বয়কটের ডাক দেয়া হয়েছিল।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঘটনার এক মাস পরও খুনীদের কেবল গ্রেফতার করা হয়নি তাই নয়, তাদেরকে বরং নিরাপদ আশ্রয়ে রাখা হয়েছে এবং তারা বুক ফুলিয়ে খুনের দায় স্বীকার করে ফোন করে আরও অনেককে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।
এ অবস্থায় বাজার বয়কটের মেয়াদ বৃদ্ধি করা ছাড়া পার্টির অন্য কোন বিকল্প নেই বলে সভায় অভিমত ব্যাক্ত করা হয় এবং আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এ বয়কট অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। দাবি মানা না হলে বয়কটের মেয়াদ আরও বাড়ানো হতে পারে বলেও সভায় উপস্থিত নেতৃবৃন্দ ঐক্যমত্য প্রকাশ করেন।
মাইসছড়ি বাজার বয়কট আরো এক মাস বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত
খাগড়াছড়ির মহালছড়ি উপজেলার মাইসছড়িতে মংশিপ্রু চৌধুরীর রেকর্ডিয় জমি বেদখলের প্রতিবাদে চলমান মাইসছড়ি বাজার বয়কট তৃতীয় দফায় আরো এক মাস বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এ বাজার বয়কট কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
গতকাল ১৩ জানুয়ারি ২০২৪, শনিবার এক সভায় এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় বলে মাইসছড়ি ভূমি রক্ষা কমিটি জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, হাইকোর্টের আদেশ অমান্য করে ফয়েজ মিঞা, ভুট্টো খান ও আব্দুল জলিল কর্তৃক মংশিপ্রু চৌধুরীর রেকর্ডিয় জমি বেদখলের প্রতিবাদে ও উক্ত জমিতে তাদের নির্মিত অবৈধ দোকান ও ঘর ভেঙে দেয়ার দাবিতে গত ১৬ ডিসেম্বর থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত মাইসছড়ি বাজার বয়কট কর্মসূচির ডাক দেয়া হয়।
কিন্তু এর মধ্যে দাবি পূরণে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত বাজার বয়কটের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়। এরপরও জমি বেদখলকারী সেটলারদের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় তৃতীয় দফায় এই বাজার বয়কটের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।
মাইসছড়ি ভূমি রক্ষা কমিটির কমিটির আহ্বায়ক বিপিন বিহারী দেওয়ান বলেন, গত একমাস ধরে জনগণ স্বতঃস্ফুর্তভাবে মাইসছড়ি বাজার বয়কট করে আসলেও প্রশাসন এখনো মংশিপ্রু চৌধুরীর জমিতে অবৈধভাবে ঘর নির্মাণকারী সেটলারদের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নেয়নি। ফলে আমাদের বাজার বয়কট কর্মসূচি অব্যাহত রাখা ছাড়া আর কোন উপায় নেই।
তিনি চলমান মাইসছড়ি বাজার বয়কট সফল করার জন্য এলাকাবাসীকে ধন্যবাদ জানান এবং ন্যায্য দাবি আদায় না হওয়া পযন্ত মাইসছড়ি বাজারে গিয়ে কেনাবেচা করা থেকে বিরত থাকার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানান।
জুরাছড়িতে ভূমি বেদখলে বাধাদানকারী পাঁচ পাহাড়ির ওপর শারীরিক নির্যাতনের নিন্দা
ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ-মূল) রাঙামাটি জেলা ইউনিটের সংগঠক সচল চাকমা জুরাছড়িতে ভূমি বেদখলে বাধা দেয়ায় একজন ইউপি মেম্বারসহ ৫ নিরীহ গ্রামবাসীর ওপর শারীরিক নির্যাতনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
আজ ১৪ জানুয়ারি ২০২৪ রবিবার সংবাদ মাধ্যমে দেয়া এক বিবৃতিতে তিনি নির্যাতনকারীদের শাস্তি এবং আহতদের চিকিৎসার খরচসহ ক্ষতিপূরণ প্রদানের দাবি জানান।
ভূমি বেদখলকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো প্রতিবাদকারীদের ধরে নিয়ে নির্যাতন চালানো কেবল অন্যায় নয়, তা মানবাধিকরের চরম লঙ্ঘন ও ক্ষমতার উলঙ্গ অপব্যবহার বলে সচল চাকমা মন্তব্য করেন এবং বলেন রাষ্ট্রীয় বাহিনীর এমন আচরণ মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়।
তিনি বলেন, ‘গতকাল ১৩ জানুয়ারি কতিপয় সেটলার জুরাছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পাশে হিমায়ন চাকমার জমি বেদখলের চেষ্টা চালালে নির্যাতনের শিকার ব্যক্তিরাসহ স্থানীয়রা বাধা দেয়, যা অত্যন্ত ন্যায়সঙ্গত।
‘কিন্তু এ সময় রাষ্ট্রীয় বাহিনীর কিছু সদস্য ঘটনাস্থলে এসে ন্যায়-অন্যায় বিবেচনা না করে ভূমি বেদখলকারী সেটলারদের পক্ষাবলম্বন করে এবং জুরাছড়ি সদর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের মেম্বার পল্লব দেওয়ান, স্থানীয় বাসিন্দা সজীব চাকমা, অনুপম চাকমা, পিন্টু চাকমা ও রন্টু চাকমাকে ধরে যক্ষাবাজার ক্যাম্পে নিয়ে যায়।
‘অতপর সেখানে তাদের ওপর অকথ্য শারীরিক নির্যাতন চালানোর পর ছেড়ে দেয়।’
ইউপিডিএফ নেতা ভূমি বেদখলসহ পার্বত্য চট্টগ্রামে অব্যাহত মানবাধিকার লঙ্ঘন বন্ধের দাবি জানিয়ে বলেন, সভ্য দেশে এ ধরনের পরিস্থিতি কখনই কাম্য নয়।