বুধবার ● ১৩ এপ্রিল ২০১৬
প্রথম পাতা » অপরাধ » ঝিনাইদহের দুই শিবির নেতার লাশ যশোরে উদ্ধার
ঝিনাইদহের দুই শিবির নেতার লাশ যশোরে উদ্ধার
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: (১৩ এপ্রিল ২০১৬: বাংলাদেশ সময় বিকাল ৫.৫০মিঃ) ঝিনাইদহের কালিগঞ্জ পৌরসভা শিবিরের সভাপতি আবুজর গিফারি (২২) ও কে সি কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ও শিবির নেতা শামীম (২০) কে পুলিশ পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়ার পর তাদের গুলিবিদ্ধ লাশ পাওয়া গেছে৷ ১৩ এপ্রিল বুধবার সকাল ৮টার দিকে যশোরের হৈবতপুর মৌজার বিরামপুর শ্বশান থেকে অজ্ঞাত পরিচয় হিসেবে যশোর কতোয়ালি থানার পুলিশ লাশ দুইটি উদ্ধার করে৷ খবর পেয়ে নিহত আবুজর গিফারীর চাচাতো ভাই পাননু মিয়া ও শামিমের ভাই তাজনিম হুসাইন ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ দুইটি আবুজর ও শামিমের বলে সনাক্ত করেন৷ পারিবারিক সুত্রে জানান গেছে, ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ পৌরসভার চাপালী গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে যশোর এমএম কলেজের ছাত্র আবুজর গিফারিকে গত ১৮ মার্চ জুম্মার পড়ে বাড়ি ফেরার সময় ডিবি পুলিশ পরিচয়ে মটরসাইকেলে উঠিয়ে নিয়ে যয়৷ এ ঘটনার পর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন৷ নিখোঁজ সনত্মানের উদ্ধারের দাবীতে আবুজরের বাবা সেলুনকর্মী নুর ইসলাম গত ২৪ মার্চ ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করেন৷ সাংবাদিক সম্মেলনে অভিযোগ করা হয় আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাই তার ছেলেকে নিয়ে গেছে৷ ২৫ দিন পর আজ বুধবার তার গুলিবিদ্ধ লাশ পায় যায়৷ এদিকে ২৪ মার্চ বিকালে একই উপজেলার বাকুলিয়া গ্রামের রুহুল আমিনের ছেলে ঝিনাইদহ সরকারী কেসি কলেজের অনার্সের ছাত্র শামীম হোসেন (২০) কে একই ভাবে নিয়ে যাওয়া হয়৷ ১৯ দিন পর তার লাশও আবুজর গিফারির সাথে পাওয়া যায়৷ যশোর কতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইলিয়াস হোসেন দুই যুবকের লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানায়,
আজ বুধবার সকালে যশোরের হৈবতপুর মৌজার বিরামপুর শ্বশান এলাকায় অজ্ঞাত দুই যুবককে দুর্বৃত্তরা গুলি করে হত্যা করে৷ লাশ দুইটি উদ্ধারের পর যশোর মর্গে এসে নিহতদের স্বজনরা লাশ দুইটি আবুজর গিফারি ও শামিম হোসেনের বলে সনাক্ত করেন৷ তিনি আরো জানান, নিহতরা শিবিরের রাজনীতির সাথে জড়িত এবং ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থেকে পুলিশ পরিচয়ে তাদের তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বলে জানান৷ এদিকে কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন জানান,
আমি শুনেছি কালীগঞ্জ থেকে নিখোঁজ হওয়া দুই যুবকের লাশ যশোরে পাওয়া গেছে৷ তিনি আরো জানান, আমার থানার কোন পুলিশ এ ঘটনার সাথে কোন ভাবেই জড়িত ছিল না৷ এদিকে দুই কলেজ ছাত্রের গুলিবিদ্ধ লাশ পাওয়ার পর তাদের পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে৷ চাপালী গ্রামের সেলুনকর্মী নুর ইসলামের স্ত্রী কুলসুম বেগম তাদের একমাত্র সন্তান হারিয়ে বার বার মুর্ছা যাচ্ছেন৷ কালীগঞ্জের বাকুলিয়া গ্রামে নিহত শামিম হোসেনের পরিবারেটি শোকে পাথর হয়ে গেছে৷ তার বাবা রুহুল আমিন বলেন, কি কারণে তার কলেজ পড়ুয়া নিরাপরাধ ছেলেকে হত্যা করা হলো তা জানা হলো না৷ উল্লেখ্য ১০ এপ্রিল রোববার কালীগঞ্জের ঈশ্বররা গ্রামের মহাসিন আলীর ছেলে ও স্থানীয় শহীদ নূর আলী কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র সোহানুর রহমানকে (১৬) পুলিশ পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়ার পর এখনো নিখোঁজ রয়েছে৷ সোহানূর রহমানের মা পারভীনা বেগম জানান, তার ছেলে কোনো রাজনীতি করে না৷ সে পড়ালেখা করে৷ তিনি ছেলেকে ফেরতের দাবি জানান৷