শুক্রবার ● ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
প্রথম পাতা » ঢাকা বিভাগ » সরকার আর মুনাফাখোর সিন্ডিকেট এখন একাকার
সরকার আর মুনাফাখোর সিন্ডিকেট এখন একাকার
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, সরকার আর মুনাফাখোর বাজার সিন্ডিকেট এখন একাকার।এদের দুই এর অশুভ আঁতাত দেশের মানুষকে নিঃস করে ফেলছে।রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক ছত্রছায়ায় মুষ্টিমেয় বাজার সিন্ডিকেট এখন বাজারের উপর নিরংকুশ নিয়ন্ত্রণ ও কতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করেছে। প্রতিদিন মানুষের পকেটে থেকে এরা হাজার হাজার কোটি টাকা বাডতি হাতিয়ে নিচ্ছে।তিনি ক্ষোভের সাথে উল্লেখ করেন চারটি অতি জরুরী পণ্যের আমদানি শুল্ক কমানো হলেও বাজারে তার কোন প্রভাব নেই। সরকারি তৎপরতা কাগজে কলমেই সীমাবদ্ধ। বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী নিজেই স্বীকার করেছেন সরকারি পদক্ষেপ অস্বাভাবিক দাম নিয়ন্ত্রণে কোন কাজে আসছেনা। প্রধানমন্ত্রীর আহবান অনুযায়ী সিন্ডিকেটের হোতাদেরকে যদি গণধোলাই দিতে হয় তাহলে আর সরকারের দরকার কি!
তিনি বলেন, বিদ্যুৎসহ জ্বালানি খাতে চুরি, দূর্নীতি,লুন্ঠন ও সরকারের ভুলনীতির খেসারত দিতে বিদ্যুৎ এর আর এক দফা দাম বাড়িয়ে এখন জনগণকে শাস্তি দেবার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সরকারের আমদানি নির্ভর জ্বালানি নীতি বিদ্যুৎ সংকটকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে। জ্বালানি খাতে দায়মুক্তি আইন করে সরকার এই খাতে দূর্নীতি ও লুন্ঠন আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। তিনি বলেন, সংকটের গোড়ায় হাত না দিয়ে সরকার দাম সমন্বয়ের নামে বাস্তবে দেশের মানুষকে নতুন ভোগান্তির মধ্যে নিক্ষেপ করেছে।
তিনি বলেন, দেশ পরিচালনায় সরকারের রাজনৈতিক ও নৈতিক বৈধতা না থাকায় বাজার, জ্বালানি , ব্যাংকসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে নৈরাজ্য দেখা দিয়েছে। তিনি বলেন , এই সরকারকে বিদায় দিয়ে গণতান্ত্রিক ধারায় দেশকে ফেরাতে না পারলে দেশ ও জনগণকে রক্ষা করা যাবেনা।তিনি দ্রুত ডামি সরকার বিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলন বেগবান করতে পার্টির নেতা কর্মীদের প্রতি আহবান জানান।
আজ সকালে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির নারায়নগঞ্জ জেলা কমিটির পার্টি সদস্যদের সভায় তিনি উপরোক্ত বক্তব্য রাখেন।
পার্টির জেলা কমিটির সভাপতি মাহমুদ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় বক্তব্য রাখেন পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য বহ্নিশিখা জামালী, জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবু হাসান টিপু, জেলা কমিটির সদস্য রাশিদা বেগম, শহীদুল আলম নান্নু, সাইফুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান আংগুর মিয়া, আইয়ুব আলী, মোহাম্মদ আলী, আবুল হোসেন, মুক্তার হোসেন, খোকন রাজ,স্বাধীন মিয়া, আবুল কালাম প্রমুখ।
সভার শুরুতে সাম্প্রতিক গণআন্দোলনের শহীদ ও ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলী গণহত্যার শিকার সবার জন্য গভীর শোক প্রকাশ করা হয়।