শিরোনাম:
●   পার্বতীপুর রেলওয়ে ইর্য়াডের আম গাছে যুবকের আত্মহত্যা ●   রংধনু ক্লাবের কার্যকরী পরিষদ গঠিত ●   কাউখালী তাহেরিয়া রশিদা সুন্নিয়া দাখিল মাদরাসার সভা ●   পাকুন্দিয়ায় ইয়ুথ পিস অ্যাম্বাসেডর গ্রুপ গঠিত ●   বৈরী আবহাওয়ায় ও শীতের তীব্রতায় বাড়ছে কৃষকের দুশ্চিন্তা ●   কোন হটকারিতায় গণঅভ্যুত্থানের অর্জন নষ্ট করা যাবেনা ●   তরফভাইখাঁ সমাজকল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ ●   মিরসরাইয়ে শীতার্তের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ ●   ঈশ্বরগঞ্জে জিয়াউর রহমান স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন ●   লংগদু এস এস সি পরীক্ষার্থীদের শিক্ষা সামগ্রী বিতরন ●   ঐক্যমতের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে ২০২৫ এর মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন সম্ভব ●   হালদা থেকে বিপন্ন গাঙ্গেয় প্রজাতির মৃত ডলফিন উদ্ধার ●   খাগড়াছড়ির আলুটিলায় পর্যটকবাহী বাস উল্টে আহত-২০ ●   পানছড়িতে লোগাং জোন এর অনুদান সামগ্রী প্রদান ●   আত্রাইয়ে কুলি-বেদে সম্প্রদায়ের মাঝে জেলা প্রশাসকের কম্বল বিতরণ ●   চুয়েটে স্থাপত্য বিভাগের ১ম জাতীয় কনফারেন্স শুরু ●   বিজিবির অভিযানে খাগড়াছড়িতে ১২ অনুপ্রবেশকারী আটক ●   ঈশ্বরগঞ্জে জাতীয় প্রবাসী দিবস পালিত ●   কুষ্টিয়ায় বালুঘাট দখল নিতে তাণ্ডব চালিয়েছে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা ●   রাউজানে বিকাশ প্রতারকের ফাঁদে নারী উদ্যোক্তা তানিয়া ●   যোবায়ের-সাদপন্থীদের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র ইজতেমা মাঠ : নিহত ৩ ●   মিরসরাইয়ে মধ্য তালবাড়ীয়া স্পোর্টিং ক্লাবের কমিটি গঠন ●   জিয়া কিংবা শেখ মুজিব নয়; জনগণই মুক্তিযুদ্ধের মূল নায়ক : টিপু ●   নবীগঞ্জে ট্রাকের ধাক্কায় কলেজ ছাত্রের প্রাণহানি ●   জাতীয় ঐকমত্য কমিশন এর নেতৃত্বে থাকবেন ড. ইউনূস ও আলী রীয়াজ ●   রেডব্রিজ কমিউনিটি ট্রাস্ট ইউকে বিজয় দিবস উদযাপন ●   ঈশ্বরগঞ্জ প্রেসক্লাবের নির্বাচন : সভাপতি আউয়াল, সম্পাদক আতাউর ●   কাউখালীতে মহান বিজয় দিবস উদযাপন ●   দীপংকর তালুকদার এর অবৈধ সম্পদের তদন্তে নেমেছে দুদক ●   ঈশ্বরগঞ্জে বিজয় দিবস পালিত
রাঙামাটি, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১



CHT Media24.com অবসান হোক বৈষম্যের
মঙ্গলবার ● ১৯ মার্চ ২০২৪
প্রথম পাতা » উপ সম্পাদকীয় » মূল্যবোধের অবক্ষয়ের কারণ ফেসবুক
প্রথম পাতা » উপ সম্পাদকীয় » মূল্যবোধের অবক্ষয়ের কারণ ফেসবুক
মঙ্গলবার ● ১৯ মার্চ ২০২৪
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

মূল্যবোধের অবক্ষয়ের কারণ ফেসবুক

--- নজরুল ইসলাম তোফা :: নৈতিকতা এবং মূল্যবোধের অবক্ষয় বর্তমানে সোস্যাল মিডিয়াতেও সবচেয়ে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। মানুষ ‘সামাজিক জীব’ একথা আমরা বলে থাকি। কিন্তু আমি বলবো যে,- মানুষ হিংসুটে জীব। মানুষদের ভুলে গেলে চলবে না। সব মানুষেরই তো ‘কোনো না কোনো কর্মের’ চাহিদা কিংবা কর্মের পরিধি বিস্তারের প্রয়োজন আছে। মানুষের কাছ থেকেই মানুষরা সব সময় সেই গুলোকে প্রত্যাশা করে। প্রত্যেক সমাজে তার সদস্যদের আচরণ পরিচালনার জন্য সুনির্দিষ্ট নীতি থাকে। নীতিহীন সমাজ হয় ‘উচ্ছৃঙ্খল, বিভ্রান্তিকর ও অনিশ্চিত”। তাইতো দেখা যাচ্ছে- সমাজের সঙ্গে সেস্যাল মিডিয়াতে নৈতিকতা ও মূল্যবোধের অবক্ষয়। মানুষদের মধ্যেই - “রুচিহীন চিন্তা ভাবনা”, বাজে মন্তব্য এবং গালিগালাজের মতো নানান অনাকাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন।নষ্ট হচ্ছে পবিত্র সম্পর্কগুলো। চাওয়া-পাওয়ার ব্যবধান হয়ে যাচ্ছে অনেক বেশি।ফলে বেড়ে যাচ্ছে- অপরাধ এবং হিংসার প্রবণতা। মা-বাবার মতো আপনজনসহ ভাই-বোন, স্বামী-স্ত্রী, আত্মীয়স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবের নির্ভেজাল সম্পর্কের জায়গাগুলোতেও ফাটল ধরেছে। ঢুকে পড়েছে অবিশ্বাস। ফলে স্বামী-স্ত্রীর মধুর সম্পর্কেও সৃষ্টি হচ্ছে আস্থার সংকট। আর তো এই ‘সোস্যাল মিডিয়ার কথা’ বাদই দিলাম। এখানে মানুষের মধ্যে নুন্যতম “বিবেচনাবোধের” কোনোই জায়গায় নেই। মানুষকে মানুষ এতোটাই সস্তা মনে করছেন, তা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না।

আমরা নাকি সভ্য যুগের সামাজিক প্রাণির শ্রেষ্ঠ মানুষ। হ্যাঁ সামাজিকই তো! তাই একটা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমও পেয়েছি। আর সেখানে আমাদের চাহিদা নিয়ে অনেক কিছুই আপলোড করি। আমাদের চাহিদা গুলো অনুধাবন করে জুকার্বাগ তৈরী করেছেন ফেসবুক। এই ফেসবুকে সুবিধা যেমন আছে এবং অসুবিধাও রয়েছে। বর্তমানে ”ইন্টারনেট” ব্যবহার করে যারা, তারা গুগলের এক জরিপে পড়েছে। শুধু মাত্র আমাদের বাংলাদেশেই প্রায় ৮০ ভাগ মানুষ -”ফেসবুক ব্যবহার” করেন। সংখ্যা দিয়ে হিসেব করলে এর পরিমাণ দাঁড়াবে প্রায় ৭ কোটি। তার মধ্যেই আবার অসংখ্য ভুয়া আইডিও রয়েছে। ভুয়া মানুষেরা ‘ভুয়া আচরণ কিংবা খারাপ’ করবে- এটাই কি স্বাভাবিক নয়। আজকের দিনে ভুয়ামানুষ ক্রাইম করার জন্যই ‘যোগাযোগ’ রক্ষার্থে খুব গুরুত্ব পূর্ণ করে নিয়েছে - “সোস্যাল মিডিয়ার ফেসবুক”। গদে বাঁধা কিছু ভূমিকা লিখে অথবা নিজের অসংগতি পূর্ণ- ‘মনের ভাব’ প্রকাশ করে সহজেই ফেসবুকে পোস্ট করছেন। কিন্তু বর্তমানে এ সমাজের সবচেয়ে বড় জলন্ত প্রশ্নটি হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ। এই মাধ্যমটি কতটুকু ‘সামাজিকতা’ রাখতে পেরেছে? এই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে আজকে থমকে যেতে হয়। তরুণপ্রজন্ম যখন নেশাখোরের মত সোস্যাল মিডিয়া- ‘ফেসবুক’ ব্যবহার করে, সেখানে বড়দের শ্রদ্ধা করে না তারা। ”ইনবক্সে গালি সহ অশ্লীল আচরণ” করে কিংবা সেসব তরুণ ভুয়া ফেসবুক আইডি ব্যবহার করে অপকর্মও করে। তাদের নৈতিকতা কী চরম- “প্রশ্নবিদ্ধ” নয়? এমন ফেসবুকে আপনার তথ্য আদান প্রদান করা কি ‘আদৌ নিরাপদ’ হবে? এই প্রশ্ন গুলো যখন চোখের সামনে ভাসে, তখন আমরা নিশ্চিত হয়েই- বলতে পারি বর্তমান সময়ে মূল্যবোধের সর্ব বৃহৎ অবক্ষয়ের- “প্রধাণ কারণই ফেসবুক”।

এ আলোচনাটি পরিস্কার করা লক্ষ্যে বেশকিছু উদাহরণ টানতে পারি। স্বভাবই আপনাদের প্রশ্ন আসতেই পারে, সে প্রশ্ন হলো ফেসবুক আসার আগে কি মূল্যবোধ ঠিক ছিল? কিংবা আপেল ছুড়ির গল্প শুনিয়ে কেউ জিজ্ঞাস করেন মূল্যবোধ অবক্ষয়ের জন্য দায়ি কী এই ফেসবুক নাকি ফেসবুকের ব্যবহারকারী? এর প্রশ্ন গুলোর উত্তর খোঁজার জন্যই আমাদেরকে একটু বাংলাদেশের সমাজ বাস্তবতার দিকে আলোকপাত করতে হবে। আজকে ৭ কোটির মত মানুষ ফেসবুকের সঙ্গে কোননা কোনভাবে সংযুক্ত আছে। এদের মধ্যে খুব বড় একটা অংশ সমাজ বাস্তবতা থেকে দূরে গিয়ে “ভার্চুয়াল জগত” নিয়েই পড়ে থাকতে পছন্দ করে। ফলে তাদের আশেপাশে কি ঘটছে এই সম্পর্কে কোন হুশ থাকে না। ফেসবুকে যেহেতু ভুয়া আইডি খোলা যায়, তাই তো ভূয়া আইডির সুযোগ নিয়ে অনেকে নানা ধরণের উড়ো খবর দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করেন। কারও সম্পর্কে অনেক আজে বাজে কিছু লিখে বা কোন স্থির বা চলমান চিত্র দিয়ে মান সম্মানে আঘাত হানে। ভুয়া আইডির উড়ো খবরে সাধারণ মানুষ বিভ্রান্ত হয়ে খুব সিরিয়াস কিছু ঘটান। অবশ্যই এই সম্পর্কে খুব বড় একটা উদাহরণ দেওয়া যায়, যেমন- “রামুর ঘটনা”। বাংলাদেশে ফেসবুকের কোন সার্ভার না থাকায় এটিকে নজরদারীর বাইর থাকে। আর এসুযোগ কাজে লাগায়ে কু-চরিত্রের মানুষরা সোস্যাল মিডিয়ায় ‘সন্ত্রাসী’ করছে। ফেসবুকের পেজ গুলো অনেক সহজ লভ্য, তাই- সকল শ্রেণীর মানুষ এটিকে খুব সহজে- যত পারে ততই খুলে। তাদের পেজের এডমিন যেহেতু পাঠকের কাছে অজানা তাই, এই সুযোগে নেতিবাচক বা খারাপ তথ্যের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করছে খুব সহজেই। বর্তমানে ফেসবুকের কারণেই মানুষের মধ্যে “গোপন ছবি কিংবা ভিডিও ধারণের প্রবনতা” বৃদ্ধি পেয়েছে। তাদের উদ্দেশ্য একটাই ফেসবুক দিয়ে আনন্দ নেয়া কিংবা ব্ল্যাক মেইল করা।

যাই হোক আর একটু বলি,- সেই সব মানুষের সেলফির প্রবনতা বৃদ্ধির অন্যতম কারণ ফেসবুক। বেশ কিছু দিন আগে প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে যাদের মধ্যে ফেলফি তোলার প্রবনতা বেশী, তারা তো কোননা কোন ভাবেই মানসিক কষ্টে ভুগে। আবার বেশ কিছু- “অসাধু” শ্রেণীর মানুষ আইডি হ্যাক করে নানান মুখরোচক খবর ছড়ানোর কাজে লিপ্ত হয়। শেষ করার আগে কিছু কথা না বললেই নয়, আমাদের সমাজে অল্পশিক্ষিত মানুষরা ফেসবুক আইডি খোলার সুবাদে ইনবক্সে বিভিন্ন ভাবেই গালিগালাজ করে। তারা বয়সে ছোট হলেও বড়দেরকে তোয়াক্কা করে না। সুতরাং এই আলোচনার মুল উদ্দেশ্য হলো,- ফেসবুকের মাধ্যমেই যেন আমাদের মূল্যবোধের অবক্ষয় সৃষ্টি। তো আমি জোর দিয়ে বলবো যে, বর্তমান সময়ে মূল্যবোধ অবক্ষয়ের প্রধান কারণই ”ফেসবুক”।।

লেখক : নজরুল ইসলাম তোফা, টিভি ও মঞ্চ অভিনেতা, চিত্রশিল্পী, সাংবাদিক, কলামিস্ট এবং অধ্যাপক।





উপ সম্পাদকীয় এর আরও খবর

পার্বত্য চুক্তির ২৭ বছর : শান্তি চুক্তি পাহাড়ে বসবাসরত সকল জনগোষ্ঠীর অধিকার রক্ষায় সম্পূর্ণ ব্যর্থ পার্বত্য চুক্তির ২৭ বছর : শান্তি চুক্তি পাহাড়ে বসবাসরত সকল জনগোষ্ঠীর অধিকার রক্ষায় সম্পূর্ণ ব্যর্থ
একেএম মকছুদ আহমেদ এর সাংবাদিকতায় ৫৫ বছর :  গণমাধ্যমের ওপর উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আক্রমণ, হামলা ও হুমকি বৈষম্যবিরোধী চেতনার পরিপন্থি একেএম মকছুদ আহমেদ এর সাংবাদিকতায় ৫৫ বছর : গণমাধ্যমের ওপর উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আক্রমণ, হামলা ও হুমকি বৈষম্যবিরোধী চেতনার পরিপন্থি
বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী মৌলভীবাজারের পাঁচগাঁওয়ের দূর্গাপূজা ও কিছু কথা বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী মৌলভীবাজারের পাঁচগাঁওয়ের দূর্গাপূজা ও কিছু কথা
পার্বত্য চুক্তির ২৬ বছরে পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণ কি-কি বৈষম্যের স্বীকার তা নিয়ে একটি পর্যালোচনা পার্বত্য চুক্তির ২৬ বছরে পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণ কি-কি বৈষম্যের স্বীকার তা নিয়ে একটি পর্যালোচনা
আন্তর্বর্তীকালিন সরকার পাহাড়ের বিষয়ে যেকোনো সিদ্ধান্ত নিলে নিতে হবে গভীর বিচার-বিশ্লেষণের মাধ্যমে আন্তর্বর্তীকালিন সরকার পাহাড়ের বিষয়ে যেকোনো সিদ্ধান্ত নিলে নিতে হবে গভীর বিচার-বিশ্লেষণের মাধ্যমে
সবকিছু কেড়ে নিয়েছে স্বৈরাচারী খুনি হাসিনার আওয়ামীলীগ সবকিছু কেড়ে নিয়েছে স্বৈরাচারী খুনি হাসিনার আওয়ামীলীগ
রাঙামাটিতে ঐক্যবদ্ধ বড়ুয়া সমাজ গড়ে তোলার সম্ভবনার পথ দেখা দিয়েছে রাঙামাটিতে ঐক্যবদ্ধ বড়ুয়া সমাজ গড়ে তোলার সম্ভবনার পথ দেখা দিয়েছে
বর্তমান প্রেক্ষাপটে ১৯০০ সালের রেগুলেশান, (সংশোধিত) ১৯২০ আইনটি পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির পরিপন্থি নয় কি ? বর্তমান প্রেক্ষাপটে ১৯০০ সালের রেগুলেশান, (সংশোধিত) ১৯২০ আইনটি পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির পরিপন্থি নয় কি ?
আগামীতে  কারা দেশ চালাবে ? …সাইফুল হক আগামীতে কারা দেশ চালাবে ? …সাইফুল হক
সীমান্ত সড়ক পশ্চাদপদ পার্বত্য অঞ্চলকে উন্নয়নের স্রোতধারায় একীভূত করেছে সীমান্ত সড়ক পশ্চাদপদ পার্বত্য অঞ্চলকে উন্নয়নের স্রোতধারায় একীভূত করেছে

আর্কাইভ