শনিবার ● ৪ মে ২০২৪
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » নিখোঁজ তরুণী উদ্ধার হওয়ার পরেও বাড়িতে ফেরাতে পারেনি পরিবার
নিখোঁজ তরুণী উদ্ধার হওয়ার পরেও বাড়িতে ফেরাতে পারেনি পরিবার
আকতার হোসেন, মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি :: চট্টগ্রামের মিরসরাই থেকে নিখোঁজ হওয়া ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর তরুণী শ্যামলী ত্রিপুরা (১৯) কে ১৬ দিন পর উদ্ধার করেও বাড়িতে ফেরাতে পারেনি তার পরিবার।
জোরারগঞ্জ থানা পুলিশ ও নিখোঁজ হওয়া ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠি তরুণীর বড় ভাইয়ের দায়ের করা সাধারণ ডায়েরির সূত্রে জানা যায়, গত ১৭ এপ্রিল সকাল আটটার দিকে উপজেলার করেরহাট ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের গেড়ামারা সাইবেনির খিল ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠি পাড়ার সুমন ত্রিপুরা ও ধনলক্ষী ত্রিপুরার মেয়ে শ্যামলী ত্রিপুরা (১৯) করেরহাট বাজারে বিউটি পার্লারে এসে আর ফিরে যায়নি এবং এরপর থেকে তার মাল্টিমিডিয়া মোবাইল সেট ও মোবাইল নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়। সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজ করে পাওয়া না যাওয়ায় ঐদিন দুপুরে জোরারগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নিখোঁজ হওয়া শ্যামলী ত্রিপুরার বড় ভাই অনিক ত্রিপুরা। তার পরের দিন বিকেলে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠি পাড়া পরিদর্শন করেন জোরারগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নাফিজুল ইসলাম। পরবর্তীতে অধিকতর তদন্তের স্বার্থে অভিযোগের বিপরীতে অনিক ত্রিপুরা একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি নং-১০৮৭, জিডি ট্র্যাকিং নং- 31W5DT) দায়ের করেন।
এবিষয়ে অনিক ত্রিপুরা জানান, ১৭ এপ্রিল ছিলো আমার ছোট বোন শ্যামলী ত্রিপুরার বিয়ের দিন। সকালে করেরহাট বাজারে বিউটি পার্লারে গিয়ে আর ফিরে না আসায় আইনী প্রক্রিয়ায় অগ্রসর হই এবং সাধারণ ডায়েরি দায়ের করি। দীর্ঘ ১৬ দিন পরে ২ মে শ্যামলী ও তার সাথে এক যুবককে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হলেও বাড়িতে ফেরাতে পারিনি। উদ্ধার করার পর জানা যায়, যেদিন নিখোঁজ হয় বা পালিয়ে যায় ঐদিনই কোর্ট হলফনামার মাধ্যমে সে ধর্মান্তরিত হয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে জাহেদুল ইসলাম সাব্বির (২২) নামে এক মুসলিম যুবককে বিয়ে করে তার সাথে সংসার শুরু করে। থানায় নিয়ে আসার পর সে আমাদের সাথে যেতে রাজি হয়নি বরং তার প্রেমিকের সঙ্গে যেতে চায়। একপর্যায়ে তাকে আপোষ নামার মাধ্যমে ছেড়ে দিতে হয়েছে।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন করেরহাট ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের মেম্বার জামাল উদ্দিন।
জোরারগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক এসআই আজিজুল হাকিম বলেন, নিখোঁজ হওয়ার পর শ্যামলী ত্রিপুরার বড় ভাই অনিক ত্রিপুরার দায়ের করা সাধারণ ডায়েরির সূত্র ধরে মোবাইল ট্র্যাকিং করে (প্রযুক্তির ব্যবহার করে) লক্ষীপুরের রামগতি থেকে শ্যামলী ত্রিপুরা ও তার প্রেমিক জাহেদুল ইসলাম সাব্বিরকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। উভয়ই প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় এবং শ্যামলী ধর্মান্তরিত হওয়ায় এবং পরিবারের কাছে ফিরে যেতে রাজি না হওয়ায় আপোষনামার মাধ্যমে প্রেমিকের সঙ্গে ছেড়ে দেওয়া হয়।