রবিবার ● ২৬ মে ২০২৪
প্রথম পাতা » খাগড়াছড়ি » পানছড়ি গুচ্ছগ্রামে রেশন বিতরণে অনিয়ম : আহত-৭
পানছড়ি গুচ্ছগ্রামে রেশন বিতরণে অনিয়ম : আহত-৭
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি :: খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার পানছড়িতে গুচ্ছগ্রামের গম বিতরণ বন্ধ রাখা ও রেশন বিতরণে অনিয়মের প্রতিবাদ করায় রেশনকার্ডধারীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে এক গুচ্ছগ্রাম চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের ৭জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
গত বৃহস্পতিবার ২৩ মে-২০২৪ সন্ধ্যা ৬টার দিকে খাগড়াছড়ির পানছড়ি মোহাম্মদপুর মসজিদের সামনে ঘটনাটি ঘটে।
শনিবার ২৫ মে-২০২৪ সরেজমিনে এলাকায় গেলে, রেশনকার্ডধারী পরিবারের সদস্য শাহিনুর আক্তার অভিযোগ করে বলেন, মোহাম্মদপুর গুচ্ছগ্রামের প্রকল্প চেয়ারম্যান ও স্থানীয় ইউপি সদস্য ইউসুফ আলী দীর্ঘদিন ধরে গুচ্ছগ্রামের রেশন বিতরণে অনিয়ম করে আসছিলেন। ওজনে চাল কম দেওয়া, গম বিতরণ না করে হুমকি ধামকি দিয়ে নামমাত্র মূল্যে টাকা ধরিয়ে দেওয়াসহ অনেক অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
তিনি বলেন, ঘটনার দিন আমার মামা আমির হোসেন রেশন বিতরণের সময় রেশনের অনুকূলে বরাদ্দকৃত গম চাইলে গম না দেওয়ায় প্রতিবাদ করেন। পরে এ ব্যাপারে ইউএনও বরাবর লিখিত অভিযোগ করা হয়। একপর্যায়ে সন্ধ্যায় আমার দুই মামা, মামী ও মামাতো ভাইকে মারধর করে ইউসুফ আলী মেম্বার ও তার ক্যাডার বাহিনী। এ সময় স্থানীয়রা উদ্ধার করে আমার মামা আমির হোসেন, ফারুক হোসেন, মামী পারুল বেগম ও মামাতো ভাই পারভেজ মোশারফকে চিকিৎসার জন্য খাগড়াছড়ি আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে। এব্যাপারে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত গুচ্ছগ্রাম প্রকল্প চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য ইউসুফ মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করে জানান, একটি কুচক্রী মহল আমাকে প্রকল্প চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরিয়ে দিতে উদ্দেশ্য মূলকভাবে এ ঘটনাটি ঘটিয়েছে। এদের সাথে আমার পূর্ব কোন শত্রুতা ছিলোনা। রেশন বিতরণের সময় তাদের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। বিকেল ৪টা পর্যন্ত রেশন বিতরণ করা হয়। ৪টার পরে কাউন্টার বন্ধ থাকে। কিন্তু হঠাৎ সন্ধ্যা ৬টার দিকে তারা আমার লোকজনকে মারধর করে। আমি সেখানে উপস্থিত ছিলাম না। তারা আমার বাসায়ও হামলা চালায়। এ ঘটনায় আমার মা, ভাগ্নে ও ভগ্নিপতিসহ ৩জন আহত হয়েছে। পরে ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করি। তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশকে অবগত করি। পুলিশ এসে ঘটনাস্থল তদন্ত করে গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পানছড়ি গুচ্ছ গ্রামের জনৈক প্রকল্প চেয়ারম্যান বলেন, ঘটনাটি উদ্দেশ্য প্রনোদিত হতে পারে। যেহেতু রেশন বিতরণে অনিয়মের বিষয়ে সুরাহা চেয়ে ইউএনও বরাবর অভিযোগ করা হয়েছে। প্রশাসন ব্যাবস্থা গ্রহণের পূর্বেই রেশন বিতরণ বন্ধ রাখার পর সন্ধ্যায ফের ঘটনাস্থলে গিয়ে ঝামেলায় জড়ানোর দরকার ছিল না।
পানছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শফিউল আজম জানান, ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান ওসি।