বৃহস্পতিবার ● ৮ অক্টোবর ২০১৫
প্রথম পাতা » অপরাধ » খাগড়াছড়ি বন কর্মকর্তাদের রমরমা ঘুষ বাণিজ্য
খাগড়াছড়ি বন কর্মকর্তাদের রমরমা ঘুষ বাণিজ্য
মাটিরাঙ্গা ও খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি :: খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গাসহ জেলা জুড়ে জোত পারমিট কাঠ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে সন্ত্রাসীদের চাদাঁবাজী ও বন কর্মকর্তাদের রমরমা ঘুষ বাণিজ্য চলছে দেদারছে। ধারাবাহিকভাবে চাঁদা দিয়ে অস্থিত হয়ে উঠছে ব্যবসায়ীরা।
স্থানীয় ব্যবসায়ী সুত্রের অভিযোগ,মাটিরাঙ্গা রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা গোলাম রসুল ও ফরেষ্টার মাসুদ প্রত্যেকটি জোত পারমিটের বিপরীতে মোটা অংকের উৎকোচের বিনিময়ে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে ছাড়াই নিয়ম বর্হিভূতভাবে শুধু বাগান মালিক ও হেডম্যানকে বাগনে দাড় করিয়ে ছবি তুলেন।
পরবর্তীতে কম্পিউটারে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ছবি সংযুক্ত করে পারমিটের কাগজ প্রদান করে আসছে। সম্প্রতি এ দুই কর্মকর্তার যোগসাজসে খাগড়াছড়ি সহকারী বন সংরক্ষক শংকর কুমার কর,ব্যবসায়ীদের কে হয়রানী করা এবং তাদের মাধ্যমে উপজাতীয় সন্ত্রাসীদের চাঁদা করে পারমিট দেয় অভিযোগ ব্যবসায়ীদের।
জোত পারমিটের প্রতি গাড়ী পারমিট দেওয়ার আগে গাড়ীর বিপরীতে, উপজাতীয় ৩ সংগঠনকে দফায় দফায় আট হাজার,তিন হাজার, ও সংস্কার গ্র“পকে তিন হাজার টাকা চাঁদা পরিশোধ করতে হয়।এসব চাঁদা আদায়ে সহায়তা করেন অভিযুক্ত বন কর্মকর্তারা।
বন কর্মকর্তাদের এ ধরনের কর্মকান্ডে ক্ষুদ্ধ হয়ে মাটিরাঙ্গা অঞ্চলের কাঠ ব্যবসায়ীরা উধ্বতন কর্তৃপক্ষসহ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দদের জানিয়েছেন বলে সুত্র জানায়।
এছাড়াও খাগড়াছড়ি জেলা বন সংরক্ষক (ডি,এফ.ও)সমস্যা সমাধানের নির্দেশ দিলেও কাঠ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে সুবিধা নিয়েও তাদের কে হয়রানী করার বিষয়ে অভিযোগ উঠেছে।
বিষয়টি মাটিরাঙ্গা কাঠ ব্যবসায়ী সমিতির সাধরণ সম্পাদক রফিক এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,মাটিরাঙ্গা রেঞ্জ কর্মকর্তা গোলাম রসুল ও ফরেষ্টার মাসুদ ব্যবসায়ীদের প্রতি উল্টো অভিযোগ তুলে ক্ষোভ প্রকাশ করে।
দুর্নীতির বিষয়ে মাটিরাঙ্গা রেঞ্জের কর্মকর্তা গোলাম রসুল বলেন, ব্যবসায়ীদের অবৈধ অবদার রক্ষা করতে না পারলে তারা এ ধরনের অভিযোগ তুলে আমাদের হয়রানীর চেষ্টা করেন।
তিনি এসময় আরো বলেন-উপজাতীয়দের চাঁদাবাজীর বিষয়টি সত্য নয়। অন্য কর্মকর্তা- জেলা সহকারী সংরক্ষক শংকর কুমার তার বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগ অস্বীকার করেন এ ধরনের অভিযোগ ব্যবসায়ীদের মনগড়া বলে উল্লেখ করেন।ব্যবসায়ী সুত্রের দাবী- ০১৫৫৬৩২৪৩৭৩ নাম্বারের মোবাইল ও রেঞ্জ কর্মকর্তা গোলাম রসুলের ০১৫৫৪৪০০৯৪৪ নাম্বারের কললিষ্ট চেক করলে ঘটনার সত্যতা বেরিয়ে আসবে থলের বিড়াল।
এছাড়াও মাটিরাঙ্গা রেঞ্জ কর্মকর্তা গোলাম রসুলের বিরুদ্ধে, ছাত্রলীগ নেতা সিরাজুল ইসলামের শাশুরী, বিধবা পারুল বেগমের ৪০ নং হোল্ডিং এর বিপরীতে ভূমি অফিসের সার্বেয়ার কবিরে সহায়তায় ১৪ নং হোল্ডিং ফিরোজ মিয়া পিতা মৃত নায়েব আলীর নামে সেটিং করে জায়গা জবর দখল করে গাছ কর্তন করার আদেশ দেওয়ায় স্থগিত আদেশ চেয়ে খাগড়াছড়ি জেলার অতিরিক্ত জেলা ম্যজিষ্ট্রেটের আদালতে তিন জনকে বিবাদী করে একটি মামলা দায়ের করে বাদী পারুল বেগম। এতে আসামি করা হয়-খেদাছড়া গ্রামের সামসু ডিলার, আবু বক্কর ও রেঞ্জ কর্মকর্তা গোলাম রসুলকে। মামলা নং-৯৫/২০১৪ইং। সরজমিনে তদন্ত প্রতিবেদন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাটিরাঙ্গা গত ৩০ ডিসেম্বর ১৪ আদালতে দাখিল করা হয়।
রেঞ্জ কর্মকর্তা গোলাম রসুলের দুর্নীতি-স্বজনপ্রীতি প্রমান মিলেছে বলে দাবী ছাত্রলীগ নেতা সিরাজুল ইসলামের। এছাড়াও বিবাদীদের কাছে মোটা অংকের উৎকোচ নিয়ে রেঞ্জ কর্মকর্তা অসহায় বিধবা মহিলার বাগনের গাছ কাটতে সহায়তা করার পায়তারা করেছিল বলে অভিযোগ প্রমাণের পক্রিয়া মামলা চলছে।মাটিরাঙ্গার ব্যবসায়ী সমাজ ও সচেতন মহল দুর্নীতিবাজ এসব কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সরকারের উধ্বর্তন কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
আপলোড : ৮ আক্টোবর ২০১৫ : বাংলাদেশ : সময় : রাত ১২.৮ মিঃ