মঙ্গলবার ● ১৮ জুন ২০২৪
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » রাঙামাটির বাঘাইহাটে সন্ত্রাসীদের গুলিতে এক ব্যক্তি নিহত হওয়ার ঘটনায় নিন্দা
রাঙামাটির বাঘাইহাটে সন্ত্রাসীদের গুলিতে এক ব্যক্তি নিহত হওয়ার ঘটনায় নিন্দা
ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ-মূল) এর প্রচার ও প্রকাশনা বিভাগের নিরন চাকমা প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ-মূল) এর রাঙামাটি ইউনিটের সংগঠক সচল চাকমা আজ মঙ্গলবার বিকেলের দিকে রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার বাঘাইহাটে সন্ত্রাসীদের গুলিতে শান্তি পরিবহণের এক হেলপার নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হওয়ার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং অবিলম্বে হত্যকারীদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার, ১৮ জুন ২০২৪ সংবাদ মাধ্যমে দেয়া এক বিবৃতিতে তিনি ঠ্যাঙাড়ে বাহিনী ভেঙে দেয়ারও দাবি জানান।
তিনি বলেন, ‘আজ বাঘাইহাট বাজার থেকে ব্যবসায়ীরা মালামাল কিনে উজো বাজার ও মাচলং বাজারে নিতে চাইলে ঠ্যাঙাড়ে সদস্যরা তাতে বাধা দেয়। এতে ব্যবসায়ী ও এলাকার পাহাড়ি-বাঙালি সাধারণ জনগণ বিক্ষুদ্ধ হয় এবং তার প্রতিবাদে পর্যটন সড়কে ও বাঘাইহাট বাজারে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে।
কিন্তু ঠ্যাঙাড়েরা এক পর্যায়ে বিনা উস্কানিতে জনতাকে লক্ষ্য করে গুলি চালালে শান্তি পরিবহনের এক হেলপার ঘটনাস্থলে নিহত এবং পাহাড়ি-বাঙালি বেশ কয়েকজন আহত হয়।
নিহত হেলপারের নাম মো. নাঈম (৩৫) । তার বাড়ি ফটিকছড়ির নাজিরহাট। তাকে মুমুর্ষু অবস্থায় দীঘিনালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকাল পৌনে ৪ টায় তার মৃত্যু হয় বলে জানা গেছে।
আহতদের মধ্যে দুলেই চাকমা ও চিক্কো চাকমা নামে দু’জনের নাম পাওয়া গেছে।
গত ৭ জুন থেকে ঠ্যাঙাড়েরা বাঘাইহাট বাজারের একটি স্কুল ঘরে সশস্ত্রভাবে অবস্থান করলেও তাদের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ না নেয়ায় ইউপিডিএফ নেতা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
ঠ্যাঙাড়ে সন্ত্রাসের কারণে বর্তমানে পুরো পার্বত্য চট্টগ্রাম অশান্ত হয়ে উঠেছে মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, ‘একটি বিশেষ গোষ্ঠী ঠ্যাঙাড়েদেরকে নির্বাচনে ভোট কেন্দ্র দখলের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে এবং সাধারণ নিরীহ জনগণের স্বার্থের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিচ্ছে।’
তিনি প্রশ্ন করে বলেন, ‘কীভাবে কিছু লোক বাঘাইহাট বাজারের মতো প্রকাশ্য স্থানে দিনের পর দিন সশস্ত্রভাবে অবস্থান করতে পারে এবং সাধারণ জনগণের দৈনন্দিন জীবন জীবিকার কাজে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে?’
তিনি গণপ্রতিরোধের জোয়ারে ঠ্যাঙাড়ে বাহিনী ও তাদের আশ্রয়দাতারা ভেসে যাবে বলে মন্তব্য করেন।
ইউপিডিএফ নেতা সচল চাকমা সাজেকবাসীর দাবি ও আন্দোলনের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেন এবং অবিলম্বে ঠ্যাঙাড়েদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানান।