মঙ্গলবার ● ৯ জুলাই ২০২৪
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » রাঙামাটি বড়ুয়া জনকল্যাণ সংস্থা ও বদ্ধাংকুর বৌদ্ধ বিহার পরিচালনা কমিটির বিরুদ্ধে জেলা লিগ্যাল এইড অফিসে অভিযোগ
রাঙামাটি বড়ুয়া জনকল্যাণ সংস্থা ও বদ্ধাংকুর বৌদ্ধ বিহার পরিচালনা কমিটির বিরুদ্ধে জেলা লিগ্যাল এইড অফিসে অভিযোগ
স্টাফ রিপোর্টার :: রাঙামাটি বড়ুয়া জনকল্যাণ সংস্থা ও বুদ্ধাংকুর বৌদ্ধ বিহার পরিচালনা কমিটির সভাপতি সনৎ কুমার বড়ুয়া এবং সাধারন সম্পাদক উদয়ন বড়ুয়ার বিরুদ্ধে সংগঠনের গঠনতন্ত্র লঙ্গন করে সাধারন পরিষদ গঠন না করে পকেট কমিটি মাধ্যমে ১৩ বছর ধরে ক্ষমতা আকড়ে ধরে রাখার অভিযোগ করেছে রাঙামাটি বড়ুয়া জনকল্যাণ সংস্থা ও বদ্ধাংকুর বৌদ্ধ বিহারের সদস্য/সদস্যা এবং দায়ক-দায়িকারা।
জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা (জেলা লিগ্যাল এইড অফিস) রাঙামাটির এডিআর নং-৮৬৪/২০২৪ তারিখ : ০৯/০৭/২০২৪ ইংরেজি সূত্রে জানাযায়, গত ১৪/০৬/২০২৪ ইংরেজি তারিখ শুক্রবার রাঙামাটি বড়ুয়া জনকল্যাণ সংস্থা ও বুদ্ধাংকুর বৌদ্ধ বিহারে কার্যকরি কমিটির উপদেষ্টাদের সমন্বয়ে একটি সভা আহবান করিলে উক্ত আলোচনা সভায় ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটি সরাসরি হাউজে প্রস্তাবনা প্রদান করেন, ৩০/০৬/২০২৪ ইংরেজি তারিখের মধ্যে যথাযথভাবে নতুন পূর্ণাঙ্গ কমিটি উপহার দেবেন। ঐ আহবায়ক কমিটি বিলুপ্ত করে মেয়াদ উত্তীর্ণ পরিচালনা কমিটিকে কিভাবে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আগামী ১২/০৭/২০২৪ইং তারিখে কার্যকরি কমিটি চিঠি ইস্যু করে? কোন ক্ষমতা বলে ত্রি-বার্ষিক সাধারণ সভা আহবান করেন, সকল সদস্য/সদস্যা জানতে চান।
একটি আহবায়ক কমিটি থাকা সত্ত্বেও পরিচালনা কমিটির সভাপতি সনৎ কুমার বড়ুয়া, সাধারণ সম্পাদক উদয়ন বড়ুয়া সরাসরি চিঠি দিয়ে সকলকে অবহিত করেন।
উল্লেখ্য, সমাজসেবা কর্তৃক অনুমোদিত বড়ুয়া জনকল্যাণ সংস্থা ও বুদ্ধাংকুর বৌদ্ধ বিহারের নামে একটি গঠনতন্ত্র প্রণয়ন করেন। সেই গঠনতন্ত্রকে অমান্য করে বৌদ্ধ জনগোষ্ঠীর মধ্যে বিভ্রান্ত সৃষ্টি করে ১৩ বৎসর যাবত সংস্থার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালনকালে বিহারের প্রায় ৮০ লক্ষ টাকার বেশি অর্থের হিসাব গড়মিল, অনিয়মের মাধ্যমে বড়ুয়া জনগোষ্ঠীর টাকা আত্মসাৎ করেন। এর ফলে রাঙামাটিতে বসবাসকারী বড়ুয়া জনগোষ্ঠীর মধ্যে দ্বিমত বিভাজন শুরু হয়েছে।
গত ২৯/০৬/২০২৪ ইংরেজি তারিখের সংগঠনের লিখিত চিঠি ফেইসবুক-এ ছড়িয়ে দেয় সাধারণ সম্পাদক উদয়ন বড়ুয়া তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাঙামাটিতে বড়ুয়া সম্প্রদায়ের মধ্যে উস্কানিমূলক আচরণ করে নিজ সম্প্রদাযয়ের মধ্যে বড় ধরনের সমস্যার সৃষ্টি করার পায়তারা করছেন। এতে রাঙামাটিতে বসবাসকারী বড়ুয়া সম্প্রদায়ের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
বিধায় রাঙামাটি বড়ুয়া জনকল্যাণ সংস্থা ও বদ্ধাংকুর বৌদ্ধ বিহারের সদস্য/সদস্যা এবং দায়ক-দায়িকাদের পক্ষ থেকে অনতিবিলম্বে আহবায়ক কমিটি ও বিদায়ী পরিচালনা কমিটির সমস্ত কার্যক্রম স্থগিত করার জন্য জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার বরাবর আবেদন করা হয়।
এতে বিবাদী করা হয়েছে মেয়াদ উত্তীর্ণ পরিচালনা কমিটির সভাপতি সনৎ কুমার বড়ুয়া ও সাধারণ সম্পাদক উদয়ন বড়ুয়াকে।
এবিষয়ে রাঙামাটি বড়ুয়া জনকল্যাণ সংস্থা ও বুদ্ধাংকুর বৌদ্ধ বিহার পরিচালনা কমিটির সাধারন সম্পাদক উদয়ন বড়ুয়া বলেন,৪৫ জন কার্যকরী সদস্য ও ২১ জন উপদেষ্টা নিয়ে গঠিত পরিচালনা কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে এটা সত্য, কমিটির প্রধান উপদেষ্টা গঠনতন্ত্রের ক্ষমতাবলে তিনি ৬ সদস্যের আহবায়ক কমিটি গঠন করে দেয় এবং পরিচালনা কমিটির মেয়াদ ১৫ দিন বাড়িয়ে দেন। এই ১৫ দিনের মধ্যে সাধারন সদস্য/সদস্যা এবং দায়ক-দায়িকাদের মধ্যে থেকে রাঙামাটি বড়ুয়া জনকল্যাণ সংস্থা ও বুদ্ধাংকুর বৌদ্ধ বিহার পরিচালনা কমিটি গঠনের পরামর্শ দিয়েছেন।
রাঙামাটি বড়ুয়া জনকল্যাণ সংস্থা ও বুদ্ধাংকুর বৌদ্ধ বিহার এর কোন সাধারন পরিষদ এর তালিকা করা হয়নি।
এক্ষেত্রে রাঙামাটি শহরে বসবাসকারী বড়ুয়া সম্প্রদায়ের সকল পরিবার সাধারন পরিষদের সদস্য হিসাবে গণ্য করা হয়।
রাঙামাটি বড়ুয়া জনকল্যাণ সংস্থা ও বুদ্ধাংকুর বৌদ্ধ বিহারের সদস্য/সদস্যা এবং দায়ক-দায়িকাদের পক্ষ থেকে ধীমান বড়ুয়া বলেন, বিগত বছরে ক্ষমতার অপব্যবহার করে সংগঠনের গঠনতন্ত্র পরিবর্তন করা হয়েছে কিন্তু সাধারন সদস্য/সদস্যা এবং দায়ক-দায়িকাদের অন্ধকারে রাখা হয়েছে।
রাঙামাটি বড়ুয়া জনকল্যাণ সংস্থা ও বুদ্ধাংকুর বৌদ্ধ বিহার সকলের চাঁদায় পরিচালিত হয়।
এছাড়া রাঙামাটি বড়ুয়া জনকল্যাণ সংস্থা ও বুদ্ধাংকুর বৌদ্ধ বিহারের এখন একটি সিন্ডিকেট এর কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে। তারা মুখ দেখে-দেখে তাদের ইচ্ছামত পকেট কমিটি তৈরী করেন, তিনি ক্ষোভের সহিত বলেন, একটি সংগঠনের কেন সাধারন পরিষদ থাকবেনা ? ১৩ বছর ধরে এই পরিচালনা কমিটি রাঙামাটিতে বড়ুয়া সম্প্রদায়ের সকল পরিবার থেকে তালিকা নিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রনয়ন করিতে ব্যর্থ হয়েছে।
তিনি রাঙামাটি বড়ুয়া জনকল্যাণ সংস্থা ও বুদ্ধাংকুর বৌদ্ধ বিহার পরিচালনা কমিটির মাধ্যমে রাঙামাটিতে বড়ুয়া সম্প্রদায়ের ঐক্যবদ্ধ সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তোলার দাবি জানান।