শিরোনাম:
●   পার্বতীপুর রেলওয়ে ইর্য়াডের আম গাছে যুবকের আত্মহত্যা ●   রংধনু ক্লাবের কার্যকরী পরিষদ গঠিত ●   কাউখালী তাহেরিয়া রশিদা সুন্নিয়া দাখিল মাদরাসার সভা ●   পাকুন্দিয়ায় ইয়ুথ পিস অ্যাম্বাসেডর গ্রুপ গঠিত ●   বৈরী আবহাওয়ায় ও শীতের তীব্রতায় বাড়ছে কৃষকের দুশ্চিন্তা ●   কোন হটকারিতায় গণঅভ্যুত্থানের অর্জন নষ্ট করা যাবেনা ●   তরফভাইখাঁ সমাজকল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ ●   মিরসরাইয়ে শীতার্তের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ ●   ঈশ্বরগঞ্জে জিয়াউর রহমান স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন ●   লংগদু এস এস সি পরীক্ষার্থীদের শিক্ষা সামগ্রী বিতরন ●   ঐক্যমতের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে ২০২৫ এর মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন সম্ভব ●   হালদা থেকে বিপন্ন গাঙ্গেয় প্রজাতির মৃত ডলফিন উদ্ধার ●   খাগড়াছড়ির আলুটিলায় পর্যটকবাহী বাস উল্টে আহত-২০ ●   পানছড়িতে লোগাং জোন এর অনুদান সামগ্রী প্রদান ●   আত্রাইয়ে কুলি-বেদে সম্প্রদায়ের মাঝে জেলা প্রশাসকের কম্বল বিতরণ ●   চুয়েটে স্থাপত্য বিভাগের ১ম জাতীয় কনফারেন্স শুরু ●   বিজিবির অভিযানে খাগড়াছড়িতে ১২ অনুপ্রবেশকারী আটক ●   ঈশ্বরগঞ্জে জাতীয় প্রবাসী দিবস পালিত ●   কুষ্টিয়ায় বালুঘাট দখল নিতে তাণ্ডব চালিয়েছে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা ●   রাউজানে বিকাশ প্রতারকের ফাঁদে নারী উদ্যোক্তা তানিয়া ●   যোবায়ের-সাদপন্থীদের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র ইজতেমা মাঠ : নিহত ৩ ●   মিরসরাইয়ে মধ্য তালবাড়ীয়া স্পোর্টিং ক্লাবের কমিটি গঠন ●   জিয়া কিংবা শেখ মুজিব নয়; জনগণই মুক্তিযুদ্ধের মূল নায়ক : টিপু ●   নবীগঞ্জে ট্রাকের ধাক্কায় কলেজ ছাত্রের প্রাণহানি ●   জাতীয় ঐকমত্য কমিশন এর নেতৃত্বে থাকবেন ড. ইউনূস ও আলী রীয়াজ ●   রেডব্রিজ কমিউনিটি ট্রাস্ট ইউকে বিজয় দিবস উদযাপন ●   ঈশ্বরগঞ্জ প্রেসক্লাবের নির্বাচন : সভাপতি আউয়াল, সম্পাদক আতাউর ●   কাউখালীতে মহান বিজয় দিবস উদযাপন ●   দীপংকর তালুকদার এর অবৈধ সম্পদের তদন্তে নেমেছে দুদক ●   ঈশ্বরগঞ্জে বিজয় দিবস পালিত
রাঙামাটি, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১



CHT Media24.com অবসান হোক বৈষম্যের
রবিবার ● ১৪ জুলাই ২০২৪
প্রথম পাতা » উপ সম্পাদকীয় » রাঙামাটিতে ঐক্যবদ্ধ বড়ুয়া সমাজ গড়ে তোলার সম্ভবনার পথ দেখা দিয়েছে
প্রথম পাতা » উপ সম্পাদকীয় » রাঙামাটিতে ঐক্যবদ্ধ বড়ুয়া সমাজ গড়ে তোলার সম্ভবনার পথ দেখা দিয়েছে
রবিবার ● ১৪ জুলাই ২০২৪
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

রাঙামাটিতে ঐক্যবদ্ধ বড়ুয়া সমাজ গড়ে তোলার সম্ভবনার পথ দেখা দিয়েছে

------ নির্মল বড়ুয়া মিলন :: পার্বত্য চট্টগ্রামের ইতিহাস পর্যালোচনা করে দেখা গেছে। বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রামে বড়ুয়া জনগোষ্ঠীর দ্বারা দুইটি বিষয়ে উন্নয়ন সাধিত হয়েছে তার মধ্যে প্রথম এবং প্রধান বৌদ্ধ ধর্র্মীয় প্রতিষ্ঠান বুদ্ধ বিহার প্রতিষ্ঠা ও বৌদ্ধ ধর্মের প্রচার-প্রসার, ২য় টি হচ্ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, তঞ্চঙ্গ্যা ও অন্যান্য পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর মধ্যে শিক্ষাদান এবং পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর সদস্যরা উচ্চ শিক্ষা গ্রহনের ক্ষেত্রে বড়ুয়া জনগোষ্ঠীর ভুমিকা অপরিসিম যাহা উল্লেখযোগ্য, এখন তো এবিষয়টি অনেকেই স্বীকার করতেই চায় না!
বড়ুয়া জনগোষ্ঠীর সদস্যরা জাতিভাই, জ্ঞাতিভাই বলে গৌতম বুদ্ধের অহিংসা নীতি পালন করতে গিয়ে তিন পার্বত্য জেলায় যে সকল বৌদ্ধ ধর্র্মীয় প্রতিষ্ঠান বুদ্ধ বিহার প্রতিষ্ঠা করেছেন সেই সকল বুদ্ধ বিহার একে একে বেহাত হয়ে যায় তাঁরা যাঁদের বৌদ্ধ ধর্র্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত করেছেন তাদের কাছে।
যেমন ; রাঙামাটিতে আনন্দ বিহার, মৈত্রী বিহার, সংঘরাম বৌদ্ধ বিহার ইত্যাদি জোর যাঁর মুল্লুক তাঁর ভিত্তিতে বড়ুয়া জনগোষ্ঠীর কাছ থেকে কেড়ে নেয়।
এবার বড়ুয়া জনগোষ্ঠীর সদস্যদের ভিতর কেবলমাত্র বড়ুয়া জনগোষ্ঠীর জন্য কিছু করার চেতনা সৃষ্টি হয়, সেই চেতনা থেকে বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রামে বড়ুয়া জনগোষ্ঠীর সদস্যরা ১৯৬৯ সালে গঠন করেন বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রামে বড়ুয়া জনকল্যাণ সংস্থা ও রাঙামাটি বড়ুয়া জনকল্যাণ সংস্থা নামে কেবলমাত্র বড়ুয়া জনগোষ্ঠীর সদস্যদের উন্নয়ন মুলক প্রতিষ্ঠান।
বড়ুয়া জনগোষ্ঠীর সদস্যরা যখন তাদের প্রতিষ্ঠিত বৌদ্ধ বিহার উপেক্ষিত বা নির্যাতিত তখন তাঁরা রাঙামাটি,খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান পার্বত্য জেলায় বৌদ্ধ বিহার নির্মাণে আগ্রহী হন। ১৯৯৩ সালে রাঙামাটিতে প্রতিষ্ঠা করা হয় বুদ্ধাংকুর বৌদ্ধ বিহার।
বড়ুয়া জনগোষ্ঠীর মধ্যে যাঁরা বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রামে বড়ুয়া জনকল্যাণ সংস্থা গঠন করেছেন তাদের বিষয় অন্য কোন সময় স্মৃতি চারণ করার ইচ্ছা আছে।
রাঙামাটি বড়ুয়া জনকল্যাণ সংস্থা ও বুদ্ধাংকুর বৌদ্ধ বিহার পরিচালনা কমিটির আমার কাছে যে তথ্য সংগ্রহে আছে তা বর্তমান বড়ুয়া জনগোষ্ঠীর সদস্যদের জ্ঞাতার্থে উপস্থাপন করছি ;
প্রতিষ্ঠালগ্ন হতে যাঁরা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে ছিলেন এবং আছেন তাদের নাম
১ম সভাপতি শিক্ষক সুকুমার বড়ুয়া, সাধারন সম্পাদক সুনীল মুৎসুদ্দি।
২য় সভাপতি শচিন্দ্র লাল বড়ুয়া (দারোগা), সাধারন সম্পাদক অরবিন্দু বড়ুয়া।
৩য় সভাপতি জীবন বিকাশ বড়ুয়া, সাধারন সম্পাদক সুনিল কান্তি বড়ুয়া।
৪র্থ সভাপতি কুমার কশ্যাপ বড়ুয়া, সাধারন সম্পাদক আনন্দ মোহন বড়ুয়া।
৫ম সভাপতি সুনীতি রঞ্জন বড়ুয়া, সাধারন সম্পাদক সুদত্ত বড়ুয়া।
৬ষ্ঠ সভাপতি ডাঃ সুপ্রিয় বড়ুয়া, সাধারন সম্পাদক স্বপন কুমার বড়ুয়া।
৭ম সভাপতি স্বপন কুমার বড়ুয়া, সাধারন সম্পাদক রণেশ্বর বড়ুয়া।
৮ম সভাপতি শ্রীপতি বড়ুয়া, সাধারন সম্পাদক রণেশ্বর বড়ুয়া।
৯ম সভাপতি ডাঃ নীহারেন্দু তালুকদার, সাধারন সম্পাদক রণেশ্বর বড়ুয়া।
১০ম সভাপতি শিক্ষক সনৎ কুমার বড়ুয়া, সাধারন সম্পাদক প্রদীপ বড়ুয়া।
১১ তম সভাপতি ডাঃ নীহারেন্দু তালুকদার, সাধারন সম্পাদক প্রভাষক রূপেন বড়ুয়া।
১২তম সভাপতি প্রদীপ বড়ুয়া, সাধারন সম্পাদক প্রভাষক রূপেন বড়ুয়া।
১৩তম সভাপতি ডাঃ নীহারেন্দু তালুকদার, সুকুল রতন বড়ুয়া (সদস্য) ও শংকরপ্রসাদ বড়ুয়া (সদস্য)।
১৪তম সভাপতি ডাঃ সুপ্রিয় বড়ুয়া, সাধারন সম্পাদক শিক্ষক তপন কান্তি বড়ুয়া (মেয়াদকাল ২২/০২/২০০৫ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত) ।
১৫তম আহবায়ক কমিটির আহবায়ক ছিলেন উদয়ন বড়ুয়া (গর্জনতলী, মেয়াদকাল ৬ মাস)
১৬তম সভাপতি ডাঃ সুপ্রিয় বড়ুয়া, সাধারন সম্পাদক উদয়ন বড়ুয়া। ২০১২ সাল থেকে
১৭তম সভাপতি শিক্ষক সনৎ কুমার বড়ুয়া, সাধারন সম্পাদক উদয়ন বড়ুয়া। ২০২৪ সাল পর্যন্ত। প্রতিটি কমিটির সকল সদস্যদের তালিকা প্রকাশ করতে পারলে লেখাটি আরো বেশী তথ্য বহুল হতো বলে আমার বিশ্বাস। কম সময়ের ভিতর লেখাটি লেখার কারণে বিষয়টি আর সম্ভব হয়ে উঠেনি। এজন্য আমি দুঃখিত। এর বাইরে কারো কাছে যদি আরো অতিরিক্ত তথ্য থাকে তাহলে আমাকে সরবরাহ করলে আমি নিজ দায়িত্বে এ লেখার সাথে তথ্য যুক্ত করে দিব।
অনেক ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্যে দিয়ে বড়ুয়া জনগোষ্ঠীর সদস্যরা বা বড়ুয়া সম্প্রদায় পাহাড়ে তাদের জীবণ যাপন করছে। যেমন ; বড়ুয়ারা প্রথা ও ঐতিহ্যকে শেকড়ের মতো বিশ্বাস করে । আবার অহিংসা পরম ধর্ম বুদ্ধের এ বাণীকে চিরকাল বুকে ধারণ করে চলে বড়ুয়া জনগোষ্ঠী।
১৯৯৭ সালে পার্বত্য চুক্তির পর সরকারী প্রশাসনের কর্মকর্তা - কর্মচারীরা ছাড়া স্থায়ী ভাবে পার্বত্য অঞ্চলে বসবাসরত বড়ুয়াদের বাঙ্গালী খাতায় নাম দেয়া হয়, সেই বাঙ্গালীরা পার্বত্য অঞ্চলে এখন ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণীর নাগরিক হিসাবে পরিনত হয়ে আছে, বর্তমান সময়ে রাঙামাটি,খাগড়াছড়ি ও বান্দারবান পার্বত্য জেলাগুলিতে বড়ুয়া জনগোষ্ঠী লোকেরা ৫ম শ্রেণীর নাগরিক হিসাবে বাস করছে । পার্বত্য চুক্তির পর, চুক্তির আলোকে গঠিত হয় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়,পার্বত্য চট্টগ্রামম আঞ্চলিক পরিষদ, রাঙামাটি,খাগড়াছড়ি ও বান্দারবান পার্বত্য জেলা পরিষদ ।
প্রতিষ্ঠান গুলি চলছে মনোনীত ব্যক্তিদের দ্ধারা, যেমন;
১। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ৩ জন উপদেষ্টা মনোনীত
২। পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড চেয়ারম্যান ০১ জন মনোনীত
৩। পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যানসহ ২২ জন সদস্য মনোনীত
৪। রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানসহ ১৫ জন সদস্য মনোনীত
৫। খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানসহ ১৫ জন সদস্য মনোনীত
৬। বান্দারবান পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানসহ ১৫ জন সদস্য মনোনীত
মোট : ৭১ জন (অনির্বাচিত সরকার কর্তৃক মনোনীত ব্যক্তি রয়েছে)
পার্বত্য বিষয়ক ৬ টি সরকারী প্রশাসনিক প্রতিষ্ঠানে ৭১ জনের মধ্যে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদে ১জন ব্যতিত ২য় কোন বড়ুয়া জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধি নাই ।
আওয়ামী লীগ নির্বাচনী ইশতেহারে বলেছিল -
ধর্মীয় সংখ্যালঘু , ক্ষুদ্র জাতিসত্তা, আদিবাসী ও চা বাগানে শ্রমজীবী জনগোষ্ঠীর ওপর সন্ত্রাস, বৈষম্যমূলক আচরণ এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের চির অবসান, তাদের জীবন, সম্পদ, সম্ভ্রম, মানমর্যাদার সুরক্ষা এবং রাষ্ট্র ও সমাজ জীবনে সর্বক্ষেত্র সমান অধিকারের বাস্তব প্রয়োগ নিশ্চিত করা হবে ।
বাংলাদেশ তথা পার্বত্য অঞ্চলে বসবাসরত বড়ুয়া জনগোষ্ঠীর মানুষেরা রাষ্ট্রযন্ত্র ও সরকারের বৈষম্যমূলক আচরণ এবং মানমর্যাদার সুরক্ষা এবং রাষ্ট্র ও সমাজ জীবনে সর্বক্ষেত্রে তাদের সমান অধিকারের বাস্তব প্রয়োগ দেখতে পায়নি।
পার্বত্য চুক্তির আলোকে ১৯৯৮ সালের বান্দারবান,খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটি পার্বত্য তিন জেলা পরিষদ ১৯ নং আইন মোতাবেক ৪ নং ধারায় জেলা পরিষদ গঠন উপধারা এর খ,গ, ও ঘ ধারায় বলা হয়েছে ২০জন উপজাতীয় ১০ জন অউপজাতীয়, ৩জন মহিলা সদস্য, যাহাদের ২জন উপজাতীয় ১জন অউপজাতীয় হইবেন, উপজাতীয় সদস্যদের মধ্যে ১০জন চাকমা, ৪জন মারমা, ২জন তনচংগা, ১জন ত্রিপুরা, ১জন লুসাই, ১জন পাংখু, ১জন খেয়াং অথচ ১০জন অউপজাতীয় সদস্যদের ক্ষেত্রে কোন ধরনের সুস্পষ্ট ব্যাখা এই আইনে নাই।
সোমবার, এপ্রিল ১২, ২০১০ ইংরেজি বাংলাদেশ গেজেট এ বলা হয়েছে ২০১০ সালের ২৩ নং আইনে দেখা যায় বাংলাদেশে বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃ- গোষ্ঠী ও সম্প্রদায়ের অনন্য বৈশিষ্ট্যপূর্ণ আঞ্চলিক সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ, উন্নয়ন ও বিকাশের লক্ষ্যে “ ক্ষুদ্র নৃ - গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা ও আনুষঙ্গিক বিষয়দি সম্পর্কে বিধান প্রণয়নকল্পে প্রণীত আইন।”
তফসিল (ধারা ২(১) এবং ১৯ দ্রষ্টব্য) বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃ - গোষ্ঠী ও শ্রেণীর জনগণের নাম ক্রমিক ১ - ২৭ যথাক্রমে চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, ম্রো, তঞ্চঙ্গ্যা,বম,পাংখোয়া, চাক, খুমি, লুসাই, কোচ, সাঁওতাল, ডালু, উসাই, রাখাইন,মণিপুরী, গারো, হাজং, খাসিয়া, মং, ওরাও, বর্মণ, পাহাড়ী, মালপাহাড়ী, মুন্ডা, কোল নাম রয়েছে । কিন্তু বড়ুয়া জনগোষ্ঠীর নাম বাঙ্গালীদের তালিকাতে নাই, ক্ষুদ্র নৃ - গোষ্ঠীর তালিকাতেও নাই , তাহলে কি ধরে নেয়া যায় বাংলাদেশে বড়ুয়া জনগোষ্ঠী নামে কোন সম্প্রদায় বা এই নামের কোন সম্প্রদায়ের বা জনগোষ্ঠীর মানুষ নাই !
এই প্রশ্নের উত্তর কে দিবেন ?
ধর্ম, ভাষা এবং জাতিজাতিসত্তাগত বৈচিত্র্যপূর্ণ সমাজ এদেশে। বাংলাদেশের সংবিধানে জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষের সমান অধিকারের স্বীকৃতি থাকলেও সামাজিক ভাবে পার্বত্য অঞ্চলে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী এখানে নানা রকম বৈষম্যের শিকার ।
সংবিধানের নির্দেশনা এবং মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে বর্তমান শেখ হাসিনা মহাজোট সরকারের উচিত এরুপ জনগোষ্ঠী তথা বড়ুয়াদের অধিকার রক্ষায় সুনির্দিষ্ট নীতিমালা গ্রহন করা।
বাংলাদেশের সংবিধান সকল নাগরিকের জন্য সমান মর্যাদা , অধিকার ও সম্ভাবনার কথা বলে । কিন্তু বড়ুয়ারা সংবিধানের সেসব অঙ্গীকার ও প্রতিশ্রুতির বাইরে পরে আছে ।
পার্বত্য চট্টগ্রামে বড়ুয়াদের বিপন্নতা সবচেয়ে বেশী জীবনযাপনের মৌলিক চাহিদাগুলোর অপর্যাপ্ততায় । বিশেষ করে পার্বত্য অঞ্চলে তাদের থাকার জায়গার নিশ্চয়তা নেই, শিক্ষা ও কর্মসংস্থান অনিশ্চিত । বিশেষ করে ১৯৯৭ সালে ২ রা ডিসেম্বর পার্বত্য চুক্তির পর পার্বত্য চট্টগ্রামের বড়ুয়ারা প্রতি পদে পদে বৈষম্য ও বঞ্চনার শিকার হয়েছে ।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক গঠিত পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক জাতীয় কমিটির সাথে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির স্বাক্ষরিত চুক্তিতে লেখা আছে,
পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে সকল নাগরিকের রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, শিক্ষা ও অর্থনৈতিক অধিকার সমুন্নত এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করা এবং বাংলাদেশের সকল নাগরিকের স্ব স্ব অধিকার সংরক্ষণ ও উন্নয়নের লক্ষে “চুক্তিটি সরকারের তরফ থেকে স্বাক্ষর করেন জাতীয় কমিটির সভাপতি আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ আর পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকার অধিবাসীদের পক্ষে থেকে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা (সন্তু লারমা)।
যিনি কি না - তাঁর নিজের চাকমা জনগোষ্ঠীর নেতৃত্ব দিতে ব্যর্থ, যেখানে চাকমা জনগোষ্ঠীর মধ্যে ৩-৫ ভাগে বিভক্ত সে উগ্র সম্প্রদায়ের প্রতিক্রিয়াশীল কট্টর লোকটি কি করে পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকার অধিবাসীদের পক্ষে পার্বত্য চুক্তিতে স্বাক্ষর করলেন তা দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে পার্বত্য এলাকায় বসবাসরত সকল জনগোষ্ঠীর মনে প্রশ্ন।
পার্বত্য এলাকায় বড়ুয়াদের ভোটাধিকার আছে। ব্যাপকভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগও করেন তারা। এর বাইরে আর কোন রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা নেই বড়ুয়াদের জীবনে, এক সমীক্ষায় দেখা গেছে বড়ুয়াদের পরিবারের আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ততা আছে শতকরা ৯০ ভাগ। নির্বাচনের সময় ছাড়া তাদের বাড়ি - ঘরে রাজনীতিবিদরা আর কখনোই যোগাযোগ রাখেন না। পার্বত্য চট্টগ্রামের রাজনৈতিক দলগুলোয় বড়ুয়াদের সাংগঠনিক সম্পৃক্ততাও আছে। জাতীয় নির্বাচনে কখনোই বড়ুয়ারা প্রার্থী হন না। এমনকি তারা এখনো এ রকম কোন সম্ভাবনার কথা ভাবতেই পারেন না। স্থানীয় নির্বাচনে বড়ুয়ারা প্রার্থী হওয়া মাত্রই তাদের বিপরীতে হিন্দু - মুসলমান নির্বিশেষে বাঙ্গালী সমাজ ঐক্যবদ্ধ হয়ে যাচ্ছে।
বিশেষ করে রাঙামাটিতে একটি বিষয় দেখা গেছে, যখনই একটি রাজনৈতিক দলের জেলা কমিটি ঘোষনা করা হয় বড়ুয়া সম্প্রদায়ের লোকজনের নাম আসে বড় জোর ১ জনের তাও আবার ১০০ জনের পরে। এবিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। বড়ুয়াদের প্রতি এটা তাদের দলের সাংগঠনিক অবহেলা অথবা বৈষম্যে।
ক্ষমতাসীনদের মনে রাখতে হবে খালি একটা চুক্তি করলে সেটা কিন্তু শেষ হয়ে যায় না । সেটা বৈষম্য হীন ভাবে বাস্তবায়নের প্রক্রিয়াটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ।
পার্বত্য চুক্তির খ এর ৩ ধারায় বলা হয়েছে অউজাতীয় স্থায়ী বাসিন্দা বলতে যিনি উপজাতীয় নহেন এবং যাহার পার্বত্য জেলায় বৈধ জায়গা জমি আছে এবং যিনি পার্বত্য জেলায় সুনিদিষ্ট ঠিকানায় সাধারণত বসবাস করেন তাহাকে বুঝাইবে ।
পার্বত্য বিষয়ক ৬ টি সরকারী প্রশাসনিক প্রতিষ্ঠানে ৭১ জনের মধ্যে ১জন ব্যতিত ২য় আর ১ জনও বড়ুয়া জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধি নাই।
যেখানে পার্বত্য অঞ্চলে বড়ুয়া জনগোষ্ঠীর সদস্যদের নিজস্ব জনগোষ্ঠীর রাজনৈতিক অধিকার পেতে আন্দোলন সংগ্রাম আর প্রতিবাদ করার কথা রাষ্ট্র বা সরকারের প্রশাসনিক বিভাগের সাথে এখন সেই আন্দোলন সংগ্রম করতে হচ্ছে নিজ জনগোষ্ঠীর বিরদ্ধে। এ বিষয়টি কতটুকু কষ্টের আর নিন্দনীয় তা-কি আমরা ভেবে দেখেছি ? রাঙামাটি বড়ুয়া জনকল্যাণ সংস্থা ও বুদ্ধাংকুর বৌদ্ধ বিহার পরিচালনা কমিটির ক্ষেত্রে একটি বিষয় আমার কাছে বোধগম্য হচ্ছে না আর তা হলো রাঙামাটি জেলায় যে সকল বড়ুয়া জনগোষ্ঠীর সদস্য বাপ-দাদার সময়কাল যুগ-যুগ ধরে পরিবার পরিজনদের নিয়ে বসবাস করছেন তারা বা তাদের পরিবারের সদস্যরা কেউ রাঙামাটি বড়ুয়া জনকল্যাণ সংস্থা ও বুদ্ধাংকুর বৌদ্ধ বিহার পরিচালনা কমিটির তালিকায় নাম থাকেনা অথচ সমতলের বড়ুয়ারা রাঙামাটিতে চাকুরী নিয়ে আসলে সেই সকল বড়ুয়াদের নাম ৬মাস ১ বছরের ভিতর রাঙামাটি বড়ুয়া জনকল্যাণ সংস্থা ও বুদ্ধাংকুর বৌদ্ধ বিহার পরিচালনা কমিটির তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়। এটা সত্যই আশ্চার্য জনক বিষয়। আমার ধারনা একটি সিন্ডিকেট চায় না রাঙামাটিতে স্থানীয় বড়ুয়া জনগোষ্ঠীর মধ্য থেকে বড়ুয়াদের নেতৃত্ব গড়ে উঠুক। স্থানীয় বড়ুয়া বলতে যারা বা যাদের পরিবার পরিজন ৫০ বছরের উর্দ্ধে রাঙামাটিতে বসবাস করেন আমি তাদের বুঝাতে চেয়েছি। এর মূল কারণ স্থানীয় বড়ুয়াদের স্থানীয় চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, ম্রো, তঞ্চঙ্গ্যা,বম,পাংখোয়া, চাক, খুমি, লুসাই ইত্যাদি এদের সাথে কিছু-কিছু ক্ষেত্রে সুসম্পর্ক এখনো আছে।
রাঙামাটি বড়ুয়া জনকল্যাণ সংস্থা ও বুদ্ধাংকুর বৌদ্ধ বিহার পরিচালনা কমিটির দায়িত্ব যাঁরা পালন করে গেছেন এবং দায়িত্বে আছেন তারা সকলেই আন্তরিকতার সহিত বড়ুয়া জনগোষ্ঠীর মঙ্গলের জন্য কাজ করেছেন। তাঁরা সকলেই প্রসংসার দাবিদার, তাদের সকলের প্রতি শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা রইল।
রাঙামাটিতে বসবাসকারী বড়ুয়া জনগোষ্ঠীর মধ্যে ২০১২ সাল থেকে বিভক্তি লক্ষ করা গেছে।
২০১২ সালের আগে রাঙামাটি বড়ুয়া জনকল্যাণ সংস্থা ও বুদ্ধাংকুর বৌদ্ধ বিহার পরিচালনা কমিটির পক্ষ থেকে প্রতি বৈশাখী পূর্ণিমাতে এবং বিহারে কঠিন চীবর দান উপলক্ষে রাঙামাটিতে বসবাসকারী বড়ুয়াদের নিয়ে জ্ঞাতি সমাবেশ করা হতো।
প্রতি শুক্রবারে সন্ধ্যায় মৈত্রী বিহারে বড়ুয়ারা সকলে উপস্থিত হয়ে পঞ্চশীল ও অষ্টশীল সমাবেত প্রার্থনা করতেন।
প্রতি বছরে কমপক্ষে একবার হলেও রাঙামাটিতে বসবাসকারী বড়ুয়ারা স্বপরিবারে বনভোজনের আয়োজন করা হতো। আর এসব দায়িত্ব পালনকারী মধ্যে যাদের কথা আমার মনে পড়ে তারা হলেন ; ডা. রুপন তালুকদার বাবলা, প্রকৌশলী বিরল বড়ুয়া, মাদল বড়ুয়া, বিধান বড়ুয়া, আশীষ বড়ুয়াসহ আরো অনেকই ছিলো।
২০১২ সালের আগে রাঙামাটির বড়ুয়া সমাজ ঐক্যবদ্ধ ছিলো। এর পর থেকে রাঙামাটি রাজবন বিহারে গলা কেটে বড়ুয়া ভান্তে-কে হত্যা, টিটিসি মোড়ে এক অতি দরিদ্র মায়ের সন্তানকে হত্যা, দেবাশীষ নগরে ক্লাব ঘরে ডেকে এনে বড়ুয়া ছেলেকে জুতার মালা পরিয়ে গ্রাম থেকে বের করে দেয়া, আঞ্চলিক দলের সদস্যরা রাঙামাটির বিলাইছড়ির ফারুয়া থেকে কেবলমাত্র বড়ুয়া হওয়ার কারণে কুটিরে গুলি চালানো হয়েছে ধুতরাঙ্গদারী ড. এফ দীপংকর মহাথের ভান্তে তার ভাবনা কেন্দ্র থেকে বিতাড়িত করেন, এর প্রতিবাদে ড. এফ দীপংকর মহাথের ভান্তে নিজে রাঙামাটি প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন সে সময় ভান্তে পাশে রাঙামাটির কেউ পাশে দাড়ায়নি, কেবল বড়ুয়া হওয়ার কারণে রাঙামাটি জেলার সিনিয়র সাংবাদিক নির্মল বড়ুয়া মিলন এর মিশ্রফলজ বাগান বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে স্থানীয় কিছু আঞ্চলিক দলের দুর্বৃত্তরা। দুর্বৃত্তদের দেয়া আগুনে বাগান বাড়ি এবং বাগানের বেশ কিছু ফলজ গাছ পুড়ে যায়। ক্ষয়-ক্ষতির পরিমান ১০ লক্ষ টাকার উর্দ্ধে এবং সর্বশেষ বান্দরবান গোধা পাড়ার ধুতরাঙ্গদারী ড. এফ দীপংকর মহাথের ভান্তে-কে কৌশলে হত্যা করে ভান্তে আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রচার করা হচ্ছে।
এসব ঘটনার পর রাঙামাটি বড়ুয়া জনকল্যাণ সংস্থা ও বুদ্ধাংকুর বৌদ্ধ বিহার পরিচালনা কমিটির পক্ষ থেকে কোন ধরনের প্রতিবাদ পর্যন্ত করা হয়নি।
আমার ধারনা রাঙামাটি বড়ুয়া জনকল্যাণ সংস্থা ও বুদ্ধাংকুর বৌদ্ধ বিহার পরিচালনা কমিটির কোন নৈতিক জোর নাই। ৪৫ জন কার্যকরী সদস্য ও ২১ জন উপদেষ্টা কমিটির কথা বলা হলেও কাজীর গরু খিতাবে আছে গোয়ালে নেই সেই অবস্থা। আরেকটি বিষয় বর্তমান কমিটির সভাপতি সনৎ কুমার বড়ুয়া ও সাধারন সম্পাদক উদয়ন বড়ুয়া একটি রাজনীতি দলের সাথে যুক্ত, তাহলে তো আরো ভাল কথা তাদের সুবাদে রাঙামাটি বড়ুয়া জনকল্যাণ সংস্থা ও বুদ্ধাংকুর বৌদ্ধ বিহারের সদস্যরা রাষ্ট্রিয় এবং স্থানীয় প্রশাসক সুযোগ সুবিধা পাওয়ার কথা!
জানামতে রাঙামাটি বড়ুয়া জনকল্যাণ সংস্থা ও বুদ্ধাংকুর বৌদ্ধ বিহার পরিচালনা কমিটির সভাপতি সনৎ কুমার বড়ুয়া ও সাধারন সম্পাদক উদয়ন বড়ুয়া ভাল লোক তাতে কোন আমার বা কারো সন্দেহ নাই।
আমার বিশ্বাস সাধারন সম্পাদক উদয়ন বড়ুয়া তার পরিচালনা কমিটির সাথে আলাপ করে ;
(১) রাঙামাটি শহরে পৌর এলাকার মধ্যে বড়ুয়া জনগোষ্ঠীর যাঁরা স্থায়ীভাবে বসবাস তাদের মোবাইল নম্বারসহ একটি তালিকা প্রনয়ন করা।
(২) একটি ওয়েভ সাইট ডিজাইন করিয়ে রাঙামাটি বড়ুয়া জনকল্যাণ সংস্থা ও বুদ্ধাংকুর বৌদ্ধ বিহার পরিচালনা কমিটির সকল কার্যক্রম সংরক্ষণ করা। যাতে বড়ুয়াদের ভবিষৎ বা আগামী প্রজন্ম আপনাদের এবং আমাদের ভাল কাজ গুলো নিয়ে গর্ববোধ করে ও গবেষণার কাজেও লাগে।
(৩) রাঙামাটি বড়ুয়া জনকল্যাণ সংস্থা ও বুদ্ধাংকুর বৌদ্ধ বিহার পরিচালনা কমিটির সকল কার্যক্রম সামাজিক যোগাযাগ মাধ্যমে প্রচার করার জন্য “রাঙামাটি বড়ুয়া জনকল্যাণ সংস্থা ও বুদ্ধাংকুর বৌদ্ধ বিহার” নামে পেইজ চালু করা।
(৪) শুরু থেকে রাঙামাটি বড়ুয়া জনকল্যাণ সংস্থা ও বুদ্ধাংকুর বৌদ্ধ বিহার পরিচালনা কমিটিতে যাঁরা যুক্ত ছিলেন তাদের স্মৃতি সংরক্ষণ করা, সেই সাথে রাঙামাটির বড়ুয়া যুব ও ছাত্রদের ভাল কাজ সমুহ লিখিতভাবে সংরক্ষণ করা ইত্যাদি।
তাদের কমিটি অনেক ভাই কাজ করেছেন কিন্তু রাঙামাটিতে বসবাসকারী বড়ুয়াদের ঐক্যবদ্ধ করার লক্ষে প্রতি পরিবার থেকে একজন করে সদস্য নিয়ে রাঙামাটি বড়ুয়া জনকল্যাণ সংস্থা ও বুদ্ধাংকুর বৌদ্ধ বিহার পরিচালনা কমিটির সাধারন পরিষদ গঠনে তাদের বা ৪৫ জন কার্যকরী সদস্য ও ২১ জন উপদেষ্টা কমিটির অনিহা কেন ?
গত ০৯/০৭/২০২৪ ইংরেজি তারিখ ধীমান বড়ুয়া ও সম্ভু বড়ুয়া রাঙামাটি বড়ুয়া জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা- রাঙামাটি জেলা লিগ্যাল এইড অফিসে রাঙামাটি জনকল্যাণ সংস্থা ও বুদ্ধাংকুর বৌদ্ধ বিহার পরিচালনা কমিটির সভাপতি সনৎ কুমার বড়ুয়া এবং সাধারন সম্পাদক উদয়ন বড়ুয়ার বিরুদ্ধে সংগঠনের গঠনতন্ত্র লঙ্গন করার অভিযোগ
করায় রাঙামাটিতে বসবাসকারী বড়ুয়া জনগোষ্ঠীর সবাইকে নিয়ে রাঙামাটিতে ঐক্যবদ্ধ বড়ুয়া সমাজ গড়ে তোলার সম্ভবনা বা আলোর পথ দেখা দিয়েছে।
যাদের আজ আপনি আমি শত্রু মনে করছি তারা কিন্তু আপনার-আমার জ্ঞাতি ভাই। বন্ধু হিসাবে তাদের আপত্তি আমলে নিলে দ্রুত অনেক সমস্যার সমধান হবে বলে আমার ধারনা।
একটি সংগঠনের বাধ্যতামূলক ভাবে (১) সাধারন পরিষদ, (২) কার্যনিবাহী পরিষদ,(৩) উপদেষ্টা পরিষদ থাকা আবশ্যক।
তারা হয়তো রাঙামাটিতে বসবাসকারী বড়ুয়া জনগোষ্ঠীর মঙ্গলের জন্য ১২/০৭/২০২৪ ইংরেজি তারিখ রাঙামাটি জনকল্যাণ সংস্থা ও বুদ্ধাংকুর বৌদ্ধ বিহার পরিচালনা কমিটির সভা আহবান করেছে। যদি তা না হয় তাহলে রাঙামাটি জনকল্যাণ সংস্থা ও বুদ্ধাংকুর বৌদ্ধ বিহার পরিচালনা কমিটি তাদের ইচ্ছাতে গঠিত হবে ঠিকই কিন্তু রাঙামাটিতে বসবাসকারী বড়ুয়া জনগোষ্ঠীর মধ্যে বিভক্তি, বিভাজ, মতবিরোধ ও লবিং-গ্রুপিং বৃদ্ধি পাবে যা বড়ুয়া জনগোষ্ঠীর মধ্যে বিরোধ প্রকাশ্যে রুপ নিতে পারে এর দায়ভার কিন্তু রাঙামাটি জনকল্যাণ সংস্থা ও বুদ্ধাংকুর বৌদ্ধ বিহার বর্তমান পরিচালনা কমিটির সদস্যরা এড়িয়ে যেতে পারবেন না।
ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করেনা।
১৫/০৭/২০২৪ ইংরেজি তারিখ বর্তমান কমিটির লোকজন হয় তো ২শত জনের বা তারও বেশী লোকজনের স্বাক্ষর সংগ্রহ করে রাঙামাটি জেলা লিগ্যাল এইড অফিসারকে দেখাবেন যে এই কমিটিকে আগামী তিন বছর জন্য রাঙামাটি জনকল্যাণ সংস্থা ও বুদ্ধাংকুর বৌদ্ধ বিহার বর্তমান পরিচালনা কমিটিকে ক্ষমতা দিয়েছেন বা ইত্যাদি এতে কি সমস্যার সমধান হয়ে যাবে ? হুমকি ও বল প্রয়োগের মাধ্যমে কি সকল কিছু শেষ হয়ে যাবে ? রাঙামাটিতে বড়ুয়াদের মধ্যে থেকে বিভক্তি, বিভাজন, মতবিরোধ ও লবিং-গ্রুপিং কমে যাবে ? মোটেও না।
দিনশেষে বড়ুয়া জনগোষ্ঠীর একজন সদস্য মারা গেলে বাকিরা কাঁধে করে শ্মাশানে দাহ করার জন্য নিতে হবে। এটাই বাস্তব, এটাই সত্য।
আজকের এই লেখাটি রাঙামাটি জনকল্যাণ সংস্থা ও বুদ্ধাংকুর বৌদ্ধ বিহার পরিচালনা কমিটি এবং রাঙামাটিতে বসবাসরত বড়ুয়া জনগোষ্ঠীর একজন সদস্য হিসাবে পর্যবেক্ষণ ও পর্যালোচনা মাত্র।
লেখক : নির্মল বড়ুয়া মিলন
মূখ্য সম্পাদক
সিএইচটি মিডিয়া টুয়েন্টিফোর ডটকম
তারিখ : ১৪ জুলাই-২০২৪ ইংরেজি।
রাঙামাটি পার্বত্য জেলা।





উপ সম্পাদকীয় এর আরও খবর

পার্বত্য চুক্তির ২৭ বছর : শান্তি চুক্তি পাহাড়ে বসবাসরত সকল জনগোষ্ঠীর অধিকার রক্ষায় সম্পূর্ণ ব্যর্থ পার্বত্য চুক্তির ২৭ বছর : শান্তি চুক্তি পাহাড়ে বসবাসরত সকল জনগোষ্ঠীর অধিকার রক্ষায় সম্পূর্ণ ব্যর্থ
একেএম মকছুদ আহমেদ এর সাংবাদিকতায় ৫৫ বছর :  গণমাধ্যমের ওপর উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আক্রমণ, হামলা ও হুমকি বৈষম্যবিরোধী চেতনার পরিপন্থি একেএম মকছুদ আহমেদ এর সাংবাদিকতায় ৫৫ বছর : গণমাধ্যমের ওপর উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আক্রমণ, হামলা ও হুমকি বৈষম্যবিরোধী চেতনার পরিপন্থি
বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী মৌলভীবাজারের পাঁচগাঁওয়ের দূর্গাপূজা ও কিছু কথা বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী মৌলভীবাজারের পাঁচগাঁওয়ের দূর্গাপূজা ও কিছু কথা
পার্বত্য চুক্তির ২৬ বছরে পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণ কি-কি বৈষম্যের স্বীকার তা নিয়ে একটি পর্যালোচনা পার্বত্য চুক্তির ২৬ বছরে পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণ কি-কি বৈষম্যের স্বীকার তা নিয়ে একটি পর্যালোচনা
আন্তর্বর্তীকালিন সরকার পাহাড়ের বিষয়ে যেকোনো সিদ্ধান্ত নিলে নিতে হবে গভীর বিচার-বিশ্লেষণের মাধ্যমে আন্তর্বর্তীকালিন সরকার পাহাড়ের বিষয়ে যেকোনো সিদ্ধান্ত নিলে নিতে হবে গভীর বিচার-বিশ্লেষণের মাধ্যমে
সবকিছু কেড়ে নিয়েছে স্বৈরাচারী খুনি হাসিনার আওয়ামীলীগ সবকিছু কেড়ে নিয়েছে স্বৈরাচারী খুনি হাসিনার আওয়ামীলীগ
বর্তমান প্রেক্ষাপটে ১৯০০ সালের রেগুলেশান, (সংশোধিত) ১৯২০ আইনটি পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির পরিপন্থি নয় কি ? বর্তমান প্রেক্ষাপটে ১৯০০ সালের রেগুলেশান, (সংশোধিত) ১৯২০ আইনটি পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির পরিপন্থি নয় কি ?
আগামীতে  কারা দেশ চালাবে ? …সাইফুল হক আগামীতে কারা দেশ চালাবে ? …সাইফুল হক
সীমান্ত সড়ক পশ্চাদপদ পার্বত্য অঞ্চলকে উন্নয়নের স্রোতধারায় একীভূত করেছে সীমান্ত সড়ক পশ্চাদপদ পার্বত্য অঞ্চলকে উন্নয়নের স্রোতধারায় একীভূত করেছে

আর্কাইভ