মঙ্গলবার ● ১৬ জুলাই ২০২৪
প্রথম পাতা » কুষ্টিয়া » কুষ্টিয়া কুমারখালীতে ৩ দিনে ৩ খুন থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে
কুষ্টিয়া কুমারখালীতে ৩ দিনে ৩ খুন থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে
কে এম শাহীন রেজা, কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি :: কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে তিন দিনে তিনজন খুন হয়েছে। জমিজমা ও পারিবারিক দ্বন্দে পৃথক ভাবে আক্কাস আলী, আনারুল ইসলাম ও রিয়াজ উদ্দিন নামে তিনজন খুন হয়। গত সোমবার সাবেক স্ত্রীর স্বামীর চাচার ঘুসির আঘাতে নিহত হয়েছে উপজেলার বানিয়াপাড়া গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য আনারুল ইসলাম। সাবেক ইউপি সদস্য আনারুল ইসলামকে রোববার রাতে বানিয়াপাড়া সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে মুক্তার হোসেন, শাহিন, মারুফ, তজিমউদ্দিন ও আবু বক্কার হামলা করে। আহত আনারুলকে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। আনারুলের স্ত্রী পাপিয়া খাতুন পরকিয়া শাহিনের সাথে পালিয়ে বিয়ে করেন, সেই থেকে ইউপি সদস্যর সাথে শাহিনের পরিবারের দ্বন্দ চলছিলো বলে জানিয়েছে এলাকাবাসী। এদিকে গত শনিবার (১৩ জুলাই) সকাল ১১টার দিকে উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের ৭নম্বর ওয়ার্ডের শানপুকুরিয়া গ্রামে জমিজমা বিরোধের জেরে চাচাতো ভাই রিয়াজ উদ্দিন (৪৭) নামের এক ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা করে চাচাতো ভাই। জানা যায়, নিহত রিয়াজের সাথে তার চাচাতো ভাই হারুনের জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলছিলো। এনিয়ে শনিবার সকালে কাঁঠাল পাড়াকে কেন্দ্র করে রিয়াজের সাথে হারুনের বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে হারুন ও তার লোকজন রিয়াজের বাড়িতে গিয়ে হামলা চালায়। এসময় কুপিয়ে আহত করে তারা। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে সাড়ে ১২টার দিকে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন। অন্যদিকে দরবেশপুর গ্রামের বাসিন্দা আক্কাস তার বড় ভাই আজাদ প্রামানিকের ধানের বীজতলা থেকে বৃষ্টির অতিরিক্ত পানি সরকারি কালভার্ট দিয়ে বের করতে যান। এসময় জমির আইল কাটা নিয়ে ওই এলাকার বাসিন্দা আলাই ও তার চার ভাইসহ কয়েকজনের সাথে কথা কাটাকাটিতে লিপ্ত হওয়ার এক পর্যায়ে আক্কাসকে ধাক্কা মারপিট করে এবং জমির ভিতরে পানিতে ফেলে দিয়ে কাদার মধ্যে ধরে রাখে তারা। পরে অন্যরা উদ্ধার করে কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে নিয়ে গেলে সাড়ে ৫টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক আক্কাস আলীকে(৫০) মৃত ঘোষণা করেন। বিষয়গুলি নিয়ে কুষ্টিয়া কুমারখালীতে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে এবং সবাই উদ্বিগ্ন। কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আকিবুল ইসলাম জানান, হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় কয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ওয়ার্ড সদস্য মারা গেছেন। মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তিন খুনের ঘটনায় তিনটি মামলা হয়েছে।