শিরোনাম:
●   ঈশ্বরগঞ্জে মাদ্রাসার বিরুদ্ধে অপপ্রচার বন্ধে শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ ●   কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের প্রধান সহকারি এখন অর্ধশত কোটি টাকার মালিক ●   খাগড়াছড়িতে গণপিটুনিতে যুবক নিহত ●   শিক্ষক লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে গাজীপুরে মানববন্ধন ●   জয়পুরহাটে আইবিডাব্লিউএফ এর উদ্যোগে ব্যবসায়ী সমাবেশ ●   তামাকের ব্যবহার কমাতে শক্তিশালী কর পদক্ষেপ ও আইনের বিকল্প নেই ●   ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির দুই শহীদের ম্মরণে আলোচনা সভা ●   মৃত্যুর কাছে হেরে গেলেন রাউজানের মিজান ●   কাউখালী দাখিল মাদরাসা ও শিশু সদনে পবিত্র ঈদ - এ- মিলাদুন্নবী (সাঃ) উদযাপন ●   তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে তৃতীয় ইউনিটি চালু : উৎপাদন হচ্ছে ২৮৫ মেগাওয়াট ●   বগুড়ায় শহীদ পরিবারদের মাঝে আর্থিক সহায়তা প্রদান ●   মিরসরাইয়ের করেরহাটে নদী গর্ভে বিলীন হচ্ছে বসতভিটা ●   কলারোয়ায় সন্ত্রাসী হামলায় সাংবাদিক রাজু সহ আহত-৪ ●   আক্কেলপুরে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি শিক্ষার্থীরা পেল সাইকেল ও শিক্ষাবৃত্তি ●   বান্দরবানে শিশু ধর্ষণের দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন কারাদন্ড ●   পদ্মার তীব্র ভাঙনে হুমকির মুখে কুষ্টিয়া-ঈশ্বরদী মহাসড়ক ●   কুষ্টিয়ার মাদক সম্রাট ও সন্ত্রাসী রাকিবুলকে গণধোলাই ●   পানছড়িতে ৩ বিজিবির উদ্যোগে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ●   বিয়ের একদিন পর সড়ক দুর্ঘটনায় স্বামী হারালেন নববধূ ●   মিরসরাইয়ে সংকেত সংস্থার উদ্যোগে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ ●   বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে দোকান পরিদর্শনে ক্রীড়া উপদেষ্টা ●   টানা দুই দিনের ভারী বর্ষণে তলিয়ে গেছে কক্সবাজার : পাহাড় ধসে ছয়জনের মৃত্যু ●   ঘোড়াঘাটে জামায়াতে ইসলামীর কর্মী-সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত ●   বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে প্রথম ইউনিটি চালু হলেও উৎপাদন কম ●   খাগড়াছড়িতে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের উদ্যোগে শ্রমিক সমাবেশ ●   বিগত বছরগুলোতে শিক্ষার্থীদেরকে গিনিপিগ বানিয়ে শিক্ষা ব্যবস্থা নষ্ট করে দেয়া হয়েছে ●   রাউজানে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ ●   ঈশ্বরগঞ্জে শারদীয় দুর্গাপুজা উপলক্ষ্যে প্রস্তুতিমূলক সভা ●   সিপিএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরীর মৃত্যুতে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির গভীর শোক ●   ভারতে পালানোর সময় বিজিবি’র হাতে আটক ফজলে করিম চৌধুরী
রাঙামাটি, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১



CHT Media24.com অবসান হোক বৈষম্যের
রবিবার ● ২৮ জুলাই ২০২৪
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত রায়েন্দা-মাছুয়া ফেরিঘাট দুই মাসেও চালু হয়নি
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত রায়েন্দা-মাছুয়া ফেরিঘাট দুই মাসেও চালু হয়নি
রবিবার ● ২৮ জুলাই ২০২৪
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত রায়েন্দা-মাছুয়া ফেরিঘাট দুই মাসেও চালু হয়নি

--- এস. এম সাইফুল ইসলাম কবির, বাগেরহাট :: ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে বাগেরহাটের শরণখোলায় ‘রায়েন্দা-মাছুয়া’ ফেরিঘাট ও রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এরপর দুই মাস হতে চললো এ ঘাট দিয়ে ফেরি চলাচল শুরু হয়নি।
শরণখোলা ও মঠবাড়িয়ায় যোগাযোগ রক্ষাকারী একমাত্র ঘাট এটি। ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে ২৭ মে এ ঘাট দিয়ে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত চালু হয়নি এটি।
ফলে এ অঞ্চলের ব্যবসায়ী ও স্থানীয়রা ভোগান্তিতে পড়েছেন। ফেরিঘাট থেকে কিছু দূরে বিকল্প হিসেবে ট্রলারঘাট থাকলেও অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে যোগাযোগ রক্ষা করতে হচ্ছে। আর ভ্যান, পিকআপ, নছিমন ও ট্রাক পারাপার করতে না পারায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। দ্রুত ঘাট সংস্কার করে ফেরি চালুর দাবি জানান তারা।
সড়ক বিভাগ বলছে, সংস্কার কাজের অনুমতি চাওয়া হয়েছে। অনুমতি পেলে দ্রুত কাজ শুরু হবে।
মাছুয়া এলাকার ইমরান গাজী বলেন, আসলে ফেরিটি যে কত উপকারী ছিল আমাদের জন্য তা এখন বুঝতে পারছি। ফেরি বন্ধ থাকায় ঈদের সময় অনেকেই আত্মীয় বাড়িতে যায়নি। আবার রায়েন্দা থেকে কেউ আসেনি এলাকায়। দ্রুত ফেরি চালু করা দরকার। অন্যথায় আমাদের ভোগান্তি আরও বাড়বে।
ফেরিঘাটের পাশে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী হালিম শেখ বলেন, ফেরি চালু হওয়ার পর ঘাটের পাশে দোকান দিয়ে মোটামুটি সংসারটা চালিয়ে নিচ্ছিলাম। কিন্তু ২৫ দিন ধরে বন্ধ ফেরি।
রায়েন্দা এলাকার বাসিন্দা রবিউল ইসলাম বলেন, রিমালে আমাদের অনেক ক্ষতি হয়েছে। তবে সব থেকে বেশি ভোগান্তি হচ্ছে ঘাটটি নষ্ট থাকায়। জরুরি প্রয়োজনেও যেতে পারছি না। ট্রলারে যেতে ৫০-১০০ টাকা দিতে হয়।
মৌ প্রিয়া নামের এক গৃহিণী বলেন, ফেরিটি আমাদের জন্য আশীর্বাদ ছিল। কিন্তু বন্ধ হয়ে ভোগান্তিতে পড়েছি। কবে ঠিক হবে জানি না।
বোরহানউদ্দিন নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, এই ফেরি দিয়েই আমরা গরু-ছাগল মঠবাড়িয়া নিয়ে বিক্রি করতাম। কিন্তু ফেরি বন্ধ থাকায় কোরবানির সময় পশু নিতে পারিনি। আবার মঠবাড়িয়ার লোকজন শরণখোলায় আসতে পারেনি। এটা একটা ভোগান্তি।
সড়ক বিভাগের বাগেরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ফরিদ উদ্দিন বলেন, ফেরির পল্টুন, ঘাট ও পাশের রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কিছু জায়গা একেবারে ওয়াশআউট হয়ে গেছে। এটি সংস্কারের প্রস্তাব ও অর্থ বরাদ্দের প্রশাসনিক অনুমোদনের জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলেই কাজ শুরু করবো।
রামপাল ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অর্থ বাণিজ্যের অভিযোগ
বাগেরহাট :: বাগেরহাটের রামপালের ভোজপাতিয়া ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তরফদার মাহাফুজুল হক টুকু’র বিরুদ্ধে সরকারিভাবে বরাদ্দকৃত পানির ট্যাঙ্কি বিতরণে অনিয়ম ও অর্থ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় উপকারভোগীদের মাঝে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তারা দ্বায়ীদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়েছেন।
সরেজমিনে গিয়ে উপকারভোগীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সর্বশেষ উপজেলার ভোজপাতিয়া ইউনিয়নের ৯ টি ওয়ার্ডের ৭৩ জন উপকারভোগীকে নির্ধারিত মূলে পানির ট্যাঙ্কি বরাদ্দ দেওয়া হয়। সরকারিভাবে ১৫শত টাকা জমা নিয়ে ট্যাঙ্কি দেওয়ার কথা। কিন্তু ভোজপাতিয়া ইউপি চেয়ারম্যান তরফদার মাহাফুজুল হক টুকু ১৫শত টাকার পরিবর্তে ৩ হাজার টাকা নিয়েছেন।
ওই ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের উপকারভোগী মো. হাবিব শেখ, আ. জব্বার, কুলসুম বিবি জানান, তারা ট্যাঙ্কি প্রতি চেয়ারম্যানকে ৩ হাজার করে টাকা দিয়েছেন।
৯নং ওয়ার্ডের মনোসিৎ মন্ডল, অলোক কুমার মন্ডলসহ একাধিক ব্যক্তি বলেন, ইউপি সদস্য অলোক মন্ডলকে ৩ হাজার টাকা করে প্রদানের মাধ্যমে তারা পানির ট্যাংকি পেয়েছে।
একইভাবে অন্যান্য ওয়ার্ডের মতলেব শেখ, আ. কাদের শেখ জানান, তারাও ৩ হাজার করে টাকা দিয়েছেন।
সূত্র জানায়, ওই চেয়ারম্যান ৭৩ টি ট্যাঙ্কির বিপরীতে লক্ষাধিক টাকা অতিরিক্তভাবে নিয়েছেন। এ ছাড়াও ট্যাঙ্কি বিতরণে স্বজনপ্রীতি ও একই বাড়ীতে একাধিক ট্যাঙ্কি দিয়েছেন এবং অবস্থাসম্পন্ন ব্যাক্তিদের ও ট্যাঙ্কি দিয়েছেন। খোজ নিয়ে জানা যায়, ২ নং ওয়ার্ডের জলিল তরফদারের ছেলে রিপন তরফদার, মো. রুহুল আমিন তরফদার, মো. শফিকুল তরফদার, ৪নং ওয়ার্ডের হাজি ইমদাদুল হক হাওলাদারের ছেলে মো. তারিকুল ইসলাম সবুজ, ৬ নং ওয়ার্ডের আলহাজ্ব জুলফিকার আলীর দুই ছেলে জাহিদুল ইসলাম ও জাকারিয়া ইসলামকে ট্যাঙ্কি দেয়া হয়েছে। যাদের সবাই অবস্থাসম্পন্ন। হতদরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর পরিবারের সদস্যদের বাদ দিয়ে পানির ট্যাঙ্কি দেওয়ায় ইউনিয়ন জুড়ে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
ভোজপাতিয়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. নূরুল আমীন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বিগত সময় এমপি’র কোটার বরাদ্দকৃত প্রচুর ট্যাঙ্কি বিতরণ করেছি। কোন দিন কারো কাছ থেকে অতিরিক্ত কোন টাকা নেওয়া হয়নি। তিনি আরো বলেন, যাদের আর্থিক অবস্থা খারাপ তাদের বাদ দিয়ে যাদের আর্থিক অবস্থা ভালো তাদেরকে ট্যাঙ্কি দেওয়া হয়েছে। তিনি সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের তদন্ত দাবি করেন।
অভিযোগের বিষয়ে ভোজপাতিয়া ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তরফদার মাহাফুজুল হক টুকু অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, প্রতিপক্ষরা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ছড়াচ্ছে। তিনি জানান, আমি টেঙ্কি প্রতি ২ হাজার টিাকা নিয়ে সকল উপকারভোগীদের বাড়িতে পৌছে দিয়েছি। আমি অতিরিক্ত কোন টাকা নেওয়া হয়নি। কেউ আমার নামে অতিরিক্ত একটা টাকাও নেওয়ার প্রমান দিতে পারবে না।
উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলীর সহকারী প্রকৌশলী মো. ইমরান হোসেন বলেন, সরকার নির্ধারিত ১৫ শত টাকার বেশী অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার সুযোগ নেই। কেউ অতিরিক্ত টাকা নিলে তদন্ত করে ব্যাবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে রামপাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রহিমা সুলতানা বুশরা জানান, অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে দ্বায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অভিযোগের বিষয়ে রামপাল উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেখ মোয়াজ্জেম হোসেনের সাথে কথা হলে তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, সরকারের নির্ধারিত ফি’র অতিরিক্ত টাকা কেউ নিলে যদি প্রমাণ পাওয়া যায় তবে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।
মোংলা-ঘাষিয়াখালী নদী ভাঙ্গনে শতাধিক পরিবার পানিবন্দি

বাগেরহাট :: বঙ্গবন্ধু মোংলা-ঘাষিয়াখালী আন্তর্জাতিক নৌ ক্যানেলের প্রচন্ড ভাঙ্গনে বাগেরহাটের রামপাল অংশের রামপাল উপজেলার রোমজাইপুর এলাকার প্রায় শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। এ ভাঙ্গনে ইতিমধ্যেই ৮টি পরিবার বাস্তুচ্যূত হয়েছে। আরো ঝুঁকিতে রয়েছে ২০টি পরিবার। তবে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত কোন ত্রাণ সহায়তা পাননি ভাঙ্গন কবলিতরা।
খোঁজ খবরে জানা যায়, গত ২২জুলাই রাতে পূর্ণিমার জোয়ারের তোড়ে ভেঙ্গে যায় রোমজাইপুর গ্রামের প্রায় ৫০মিটার গ্রামরক্ষা বাঁধ। এতে ৪টি বাড়ী ভেঙ্গে নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যায়। ঝুঁকিতে পড়েছে আরো প্রায় ২০টি বাড়ী। যে কোন সময় নদী গর্ভে বিলিন হতে পারে সেসব বাড়ীঘর। ভাঙ্গনের ফলে বিদ্যুতের ২টি খুঁটিও উপড়ে পড়েছে। ঝুঁকিতে রয়েছে আরো ৪/৫টি খুঁটি। এ ভাঙ্গনে প্রায় ২কিলোমিটার আধাপাকা রাস্তা ভেঙ্গে গেছে। এতে প্রায় দেড়’শ একরের চিংড়ি ঘের ও পুকুরের মাছ ভেসে গিয়ে কয়েক লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। শুধু তাই নয়, এমতাবস্থায় যাতায়াতের অভাব ও জলাবদ্ধতায় শিশু, বৃদ্ধ ও নারীরা ঘরবন্দি হয়ে পড়েছেন। প্রতিদিন ২বার জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে বাড়ীঘর। এতে এখানকার বাসিন্দারা চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়েছেন। চাল-চুলা জ্বলছে না এক প্রকার। এক সপ্তাহ গত হলেও কোন জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কোন কর্তা ব্যক্তি সরোজমিনে যাননি বলে ক্ষতিগ্রস্তরা অভিযোগ করেন।
স্থানীয় বাসিন্দা বিভাষ হালদার জানান, অপরিকল্পিত ভাবে বঙ্গবন্ধু মোংলা-ঘাষিয়াখালী আন্তর্জাতিক নৌ ক্যানেল খনন করায় পুরো রোমজাইপুর গ্রামটি একটি ব-দ্বীপ হয়ে গেছে। এতে নদী ভাঙ্গন বেশী হচ্ছে। এখানে সরকারে থাকা লোকজন কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। একই কথা বলেন, স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ বায়েজিদ সরদার। তিনি বলেন, দেড় মাস পূর্বে রেমালের আঘাতে বাঁধ ভেঙ্গে এ গ্রাম তলিয়ে যায়। মানুষের একমাত্র আয়ের উৎস মাছ ভেসে সবাই পথের ফকির হয়ে গেছে। ঠিকমত দু’বেলা এ গ্রামের মানুষ খেতে পারছেনা।
স্থানীয় নারী ইউপি সদস্যা রীনা বেগম হেনা জানান, এ গ্রামের প্রায় সকল পরিবার দরিদ্র, হতদরিদ্র। রেমালের ক্ষয়ক্ষতির পরে আবার নদী ভাঙ্গনে মড়ার উপর খাড়ার ঘা পড়েছে। বঙ্গবন্ধু মোংলা-ঘাষিয়াখালী ক্যানেলের প্রচন্ড স্রোতে গ্রামের দুই পাশে তীব্র নদী ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে রশিদ মোল্লা, মিজান মোল্লা, জামাল মোল্লা ও জাহাঙ্গীর শেখের বাড়ী ঘর ভেঙ্গে গেছে। পশ্চিম পাশে আমার একমাত্র সম্বল বাড়িটি ভেঙ্গে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। আমি পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আতঙ্কে আছি। যে কোন সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। এছাড়াও ইতিমধ্যে মুকুল শেখ, ইয়াহিয়া খান, আঃ সামাদ গাজী, আঃ হালিম খাঁন ও হারুন গাজীর বাড়ীঘর নদীতে বিলিন হয়ে গেছে। যা কিছু আছে তাও ঝুঁকিতে রয়েছে।
এ বিষয়ে বাগেরহাটের রামপাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রহিমা সুলতানা বুশরা বলেন, এ নিয়ে স্থানীয় এমপি হাবিবুন নাহারের সাথে কথা হয়েছে। বাগেরহাটের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথেও কথা বলেছি। তারা আশ্বাস দিয়েছেন দ্রুত সময়ের মধ্যে ভাঙ্গন রোধে ব্যবস্থা নিবেন। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান সাথে কথা বলেও এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিবো বলে জানান তিনি।


পানগুছি নদীর ভাঙনে রাস্তার বেহাল দশা : ভোগান্তিতে হাজারো মানুষ

বাগেরহাট :: বাগেরহাটের পানগুছি নদীর ভাঙনে দিন দিন বদলে যাচ্ছে উপকূলীয় উপজেলা মোরেলগঞ্জের মানচিত্র। বারইখালী ফেরিঘাট হতে ফুলহাতা অভিমুখি ১০ কিলোমিটার কাঁচা-পাকা রাস্তা। নদীর তীরবর্তী পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডসহ দু’টি ইউনিয়নের ১০ গ্রামের ৪ হাজার পরিবার দিনে দু’বার জোয়ারের পানিতে ভাসছে। স্থানীয় গ্রামবাসীর দাবি, রাস্তা সংস্কারসহ স্থায়ী বেড়িবাঁধের। সরেজমিনে রবিবার (২৮ জুলাই ) দুপুরে মোরেলগঞ্জ পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড নদীর তীরবর্তী ফেরিঘাট সংলগ্ন ১ কিলোমিটার আরসিসি ঢালাই রাস্তাটি বিভিন্ন স্থান থেকে ভেঙে গিয়ে খানাখন্দে পরিণত হয়ে ২৫০টি পরিবারের এক হাজার মানুষের চলাচলে দুর্ভোগ হায়ে দাঁড়িয়েছে। একইভাবে বারইখালীর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের বারইখালী, জালিয়াঘাটা, তুলাতলা, উত্তর সুতালড়ী ও সীমান্তবর্তী বহরবুনিয়া ইউনিয়নের বহরবুনিয়া, এসবি করা বাজার, ফুলহাতা, উত্তর ফুলহাতা, ঘষিয়াখালীসহ ১০ গ্রামের মানুষের যাতায়াতের জন্য ১০ কিলোমিটার রাস্তার মধ্যে সাড়ে তিন কিলোমিটার এসবিবি রাস্তা, দেড় কিলোমিটার কার্পেটিং রাস্তা এবং পাঁচ কিলোমিটার মাটির তৈরি একাধিক রাস্তা ঘূর্ণিঝড় রিমালের জলোচ্ছ্বাসে বিভিন্নস্থান থেকে ভেঙে গিয়ে নদীতে ভাসিয়ে নেয়। পরবর্তীতে স্থানীয়রা সাঁকো দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তাটি দিয়ে দৈনন্দিন স্কুল, কলেজের শ’ শ’ শিক্ষার্থীসহ ৫-৬ হাজার মানুষ দূর্ভোগ নিয়ে চলাচল করছে। স্থানীয় বাসিন্দা একলাছ মুন্সি, বাদল তালুকদার, শাহিন জোমাদ্দার, বৃদ্ধ আনোয়ার হোসেনসহ একাধিক ব্যক্তি বলেন, প্রতিবছরই নদী ভাঙনে জমি যাচ্ছে নদীগর্ভে। নতুন নতুন করে স্থান পরিবর্তন করছি। রিমালে রাস্তা ভাঙলো, মেরামত করার আর কোনো খবর নেই। জোয়ারের পানিতে দু’বার পানিবন্দি অবস্থায় থাকছি। অনেক সময় রান্না খাওয়া বন্ধ থাকে, এ দুর্ভোগের শেষ কোথায়। ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহিন শেখ বলেন, নদীর তীরবর্তী পুরাতন থানা হতে ফেরিঘাট পর্যন্ত রাস্তাটি একাধিকবার সংস্কার করা হয়েছে। কিন্তু প্রতিবার বন্যা এলেই ভেঙে যাচ্ছে। সকালে বাঁশ খুঁটি দিয়ে রাস্তা বাঁধা হয়। বিকেলে গিয়ে দেখি পানিতে ভাসিয়ে নিয়েছে। এর একমাত্র সমাধান স্থায়ী বেড়িবাঁধ। এ বিষয়ে বারইখালী ইউপি চেয়ারম্যান আউয়াল খান মহারাজ ও বহরবুনিয়া ইউপি চেয়ারম্যান রিপন তালুকদার বলেন, ঘূর্ণিঝড় রিমালে তাদের দু’টি ইউনিয়নের নদীর তীরবর্তী একাধিক কাঁচা-পাকা রাস্তা বিধ্বস্ত হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাগুলো সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা পরিদর্শন করেছেন। রাস্তাগুলো নির্মাণ ও সংস্কারের জন্য তারা জোর দাবি জানান। এ সর্ম্পকে মোরেলগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম বলেন, ফেরিঘাট হতে ফুলহাতা পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার কাঁচা-পাকা রাস্তা ক্ষতিগ্রস্তের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। নদী ভাঙনের কারণে এসব রাস্তা প্রতিবছরই ভেঙে যাচ্ছে। বেড়িবাঁধ নির্মাণ না হওয়া পর্যন্ত স্থায়ী কোনো সমাধানে তারা যাবেন না। রিমালে এ উপজেলায় ৩০০ কিলোমিটার ক্ষতিগ্রস্ত কাঁচা-পাকা ও কার্পেটিং রাস্তার তালিকা অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে কিছু রাস্তা মেরামত করা হয়েছে। বাকি রাস্তাগুলো পর্যায়ক্রমে সংস্কার করা হবে বলে এ কর্মকর্তা জানান।





খুলনা বিভাগ এর আরও খবর

কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের প্রধান সহকারি এখন অর্ধশত কোটি  টাকার মালিক কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের প্রধান সহকারি এখন অর্ধশত কোটি টাকার মালিক
কলারোয়ায় সন্ত্রাসী হামলায় সাংবাদিক রাজু সহ আহত-৪ কলারোয়ায় সন্ত্রাসী হামলায় সাংবাদিক রাজু সহ আহত-৪
পদ্মার তীব্র ভাঙনে হুমকির মুখে কুষ্টিয়া-ঈশ্বরদী মহাসড়ক পদ্মার তীব্র ভাঙনে হুমকির মুখে কুষ্টিয়া-ঈশ্বরদী মহাসড়ক
কুষ্টিয়ার মাদক সম্রাট ও সন্ত্রাসী রাকিবুলকে গণধোলাই কুষ্টিয়ার মাদক সম্রাট ও সন্ত্রাসী রাকিবুলকে গণধোলাই
প্রশাসনকে ম্যানেজ করে দীর্ঘ ৭বছর ধরে চলছে মাদক সম্রাট পোল্লাদের ব্যবসা প্রশাসনকে ম্যানেজ করে দীর্ঘ ৭বছর ধরে চলছে মাদক সম্রাট পোল্লাদের ব্যবসা
হানিফসহ আ.লীগের ৭৯ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা দায়ের হানিফসহ আ.লীগের ৭৯ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা দায়ের
দৌলতপুর সাব-রেজিস্টার অফিসে চাঁদা তোলা নিয়ে সংঘর্ষ আহত-৮ দৌলতপুর সাব-রেজিস্টার অফিসে চাঁদা তোলা নিয়ে সংঘর্ষ আহত-৮
সুন্দরবনের উপকূলীয় অর্ধশতাধিক স্থানে অবৈধ বালু উত্তোলন, প্রশাসন নিরব সুন্দরবনের উপকূলীয় অর্ধশতাধিক স্থানে অবৈধ বালু উত্তোলন, প্রশাসন নিরব
আতা ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে কিশোরীকে গুমের অভিযোগ আতা ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে কিশোরীকে গুমের অভিযোগ
কুষ্টিয়ায় বৈধ ২৬১ অস্ত্রের মধ্যে জমা পড়েছে ২৪৭টি কুষ্টিয়ায় বৈধ ২৬১ অস্ত্রের মধ্যে জমা পড়েছে ২৪৭টি

আর্কাইভ