বৃহস্পতিবার ● ২৯ আগস্ট ২০২৪
প্রথম পাতা » খাগড়াছড়ি » সুপ্রদীপ চাকমার অপসারণ দাবিতে সমঅধিকার আন্দোলনের স্মারকলিপি
সুপ্রদীপ চাকমার অপসারণ দাবিতে সমঅধিকার আন্দোলনের স্মারকলিপি
আব্দুল্লাহ আল মামুন, খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি :: পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমাকে অপসারণের দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার নিকট স্মারকলিপি দিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম সমঅধিকার আন্দোলন।
বৃহস্পতিবার ২৯ আগস্ট বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ শেষে প্রধান উপদেষ্টার নিকট স্মারকলিপি পেশ করে সংগঠনটি। জেলা প্রশাসকের পক্ষে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ফেরদৌসী বেগম স্বারকলিপি গ্রহণ করেন।
স্বারকলিপিতে অভিযোগ করা হয়,সুপ্রদিপ চাকমা আওয়ামী লীগের অন্যতম সুবিধাভোগী, দূর্নীতিবাজ, সাম্প্রদায়িক ও উপজাতীয় সন্ত্রাসী গ্রুপের পৃষ্ঠপোষক।
সুপ্রদীপ চাকমা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ, আস্থাভাজন ও তার আমলে অন্যতম সুবিধাভোগী ছিলেন। তিনি পলাতক শেখ হাসিনার এতোটাই বিশ্বস্ত ও অনুগত ছিলেন, যার ফলে ২০০৯সাল থেকে টানা প্রায় ১৬বছর একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০০৯ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতের দায়িত্বে ছিলেন। ভিয়েতনাম ও টার্কি এম্বাসিতে দায়িত্ব পালনকালে তার দুর্নীতির বিরুদ্ধে মামলা হয়। যা এখনো দুদকে চলমান রয়েছে।
শেখ হাসিনার আস্থাভাজন হওয়ায় সুপ্রদীপ চাকমাকে ২০২৩সালের ২৪ জুলাই সচিব মর্যাদায় গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছিল। সে পদে থাকা অবস্থায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা করা হয়।
পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কোন দোসরকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে স্থান না দেয়ার দাবি থাকলেও সুপ্রদীপ চাকমা অজ্ঞাত কারণে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে ঠাঁই পেয়েছেন।
সম্প্রতি একটি বৈঠকে বাঙালি সম্প্রদায়কে অপাহাড়ি নামে সম্বোধন করে তার সাম্প্রদায়িক মনোভাব প্রকাশ করেন সুপ্রদীপ চাকমা।
সুপ্রদীপ চাকমা পাহাড়ে বসবাসরত পাহাড়ি-বাঙালি নাগরিকদের মাঝে বিভেদ ও উস্কানীমূলক কর্মকান্ডে ইতিমধ্যে শান্তিপ্রিয় সাধারণ নাগরিকগণ, ছাত্র-জনতা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি ও বান্দরবান জেলায় সফরকালে তার ভূমিকা ছিল সাম্প্রদায়িক মনোভাবের এমন ব্যক্তির নাম উপদেষ্টা হিসেবে আসায় জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
দাবি আদায় না হলে আরো কঠোর কর্মসূচী দেওয়ার হুমকি দেয় সংগঠনটি।