মঙ্গলবার ● ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » আলীকদম দৌছড়ি সড়কের নির্মান কাজে ব্যপক অনিয়মের অভিযোগ
আলীকদম দৌছড়ি সড়কের নির্মান কাজে ব্যপক অনিয়মের অভিযোগ
হাসান মাহমুদ, আলীকদম (বান্দরবান) প্রতিনিধি :: বান্দরবানের আলীকদমে স্থানীয় সরকর প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে নির্মানাধিন আলীকদম দৌছড়ি সড়কের চেইনিং ৩৮২০-৫৬৭০ মিটার রাস্তা নির্মান কাজে ব্যপক অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। গত ০৮ সেপ্টেম্বর বান্দরবান নির্বাহী প্রকৌশলীর বরাবরে স্থানীয় মোঃ হোসেন নামক এক ব্যক্তি এসব বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। নির্মানাধীন সড়কটিতে ড্রইং, ডিজাইন, স্পেসিফিকেশনকে তোয়াক্কা না করিয়া রাস্তাটি দুর্গম হওয়ায় সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার সরকারি বরাদ্ধকৃত অর্থ লুটপাট করতঃ দায়সারা, মনগড়া ও যেনতেন নির্মান কাজ করিয়া চুড়ান্ত বিল উত্তোলনের জন্য সচেষ্ট বলিয়া জানা যায়। আলীকদম উপজেলা হইতে নাইক্ষ্যংছড়ি সংযোগ সড়কটি আন্তঃ যোগাযোগের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
অভিযোগে বলা হয়, রাস্তার এলটম্যান্ট অনুসারে ডিজাইন মোতাবেক মাটি কাটা হয় নাই, রিটেইনিং/গাইড ওয়াল, ক্রসড্যাম এস্প্রটেক্টিভ ওয়ার্কে স্টোন সিভস্ ধরা থাকিলেও বেইজ ঢালাইতে ব্রীক সিভস্ দিয়ে অতি নিন্মমানের ঢালাই কাজ করা হয়েছে, এমএস পাইপ প্লাসাইডিং কাজে ডিজাইন অনুসরণ না করিয়া ৪ ফুট, ৫ ফুট ও ৬ ফুট পাইপ দিয়ে প্লাসাইডিং করা হয়েছে। যাহা যেকোন মুহুর্তে ধ্বসে যেতে পারে। এছাড়াও পাহাড়ি মাটি দিয়ে রাস্তার বক্স কাটিং ২২ ইঞ্চি করা ধার্য্য থাকিলেও ১৬-১৭ ইঞ্চি বক্স কাটিং করিয়াছে। বক্সে ১০ ইঞ্চি বালি ফিলিং করা ধার্য্য থাকিলেও পাহাড়ী মাটি মেশানো বালি দিয়ে যেনতেন কার্য সম্পাদন করা হয়েছে। ৬ ইঞ্চি সাবগ্রেড এ.এস এর কাজ অনুপাতিক হারে বা মিলামিল ভাবে করার ধার্য থাকিলেও এতে ২০% খোয়া ও ঝিরির পাথর মেশানো বালি দিয়ে দায়সারাভাবে এ.এস এর কাজ সম্পাদন করা হয়েছে। ডব্লিউ.বি.এম ৬ইঞ্চি খোয়া ধরা থাকিলেও ৪ইঞ্চি ৫ইঞ্চি খোয়া দিয়ে ডব্লিউ.বি.এম এর কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে এবং অতি নিন্মমানের ভিটুমিন দিয়ে কার্পেটিং এর কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। এতে সরকারি টাকা তছরুপ হয়েছে বলে অভিযোগে জানানো হয়। গত ২০২২-২৩ অর্থ বছরে প্যাকেজটির জন্য ৬ কোটি ৬৮ লক্ষ টাকা বরাদ্ধ দেওয়া হয়।
তবে ঠিকাদারের পক্ষে সাফাই গাইলেন বান্দরবান জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী (এলজিইডি) জিয়াউল হক মজুমদার। তিনি বলেন, আমি যতটুকু জানি কাজ যথাযথ হয়েছে। যেহেতু কাজটি চলমান, যদি কোন সমস্যা থাকে সেটাকে সংশোধন করেই ঠিকাদানকে ফাইনাল বিল দেওয়া হবে। তবে তিনি অভিযোগের বিষয়ে কোন প্রদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেননি।
রীফ এন্টারপ্রাইজের মালিকের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা যায়নি। তবে ওই প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি মোহন মিয়া’র সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বক্সে পাহাড় কেটে মাটি ভরাটের কথা স্বীকার করেন। তিনি বলেন কাজে অনিয়মের বিষয়ে ইতিপূর্বে সময় টেলিভিশনে সংবাদ প্রকাশিত হয় এবং সেই প্রেক্ষিতে ২-৩ বার তদন্তও হয়েছে। তাছাড়া সাইটে সব সময় ওয়ার্ক এসিসটেন্ট উপস্থিত ছিলো। প্রকৌশলী অধিদপ্তর কাজের সঠিকতা পেয়ে আমাদেরকে ফাইনাল বিল প্রদান করেন।