বুধবার ● ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » স্থায়ী ক্যাম্পসের দাবিতে মানববন্ধন করেছে রাঙামাটি মেডিকেল কলেজের সাধারন শিক্ষার্থীরা
স্থায়ী ক্যাম্পসের দাবিতে মানববন্ধন করেছে রাঙামাটি মেডিকেল কলেজের সাধারন শিক্ষার্থীরা
স্টাফ রিপোর্টার :: গতকাল ১০ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার স্থায়ী ক্যাম্পসের দাবিতে রাঙামাটি মেডিকেল কলেজের সামনে মানববন্ধন করেছে রাঙামাটি মেডিকেল কলেজের সাধারন শিক্ষার্থীরা।
রাঙামাটি মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা জানান,২০১৪ সালে একই সাথে উদ্বোধন হওয়া ৬টি মেডিকেলের মধ্যে ৪টি মেডিকেলের (টাঙ্গাইল, জামালপুর, মানিকগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ) ক্যাম্পাসের কাজ সম্পূর্ণ এবং ১টি মেডিকেলের (পটুয়াখালী) কাজ চলমান থাকলেও, আমাদের রাঙামাটি মেডিকেল কলেজের ক্যাম্পাসের একটি ইটও এখনো স্থাপন হয়নি।
বৈষম্যের দশ বছর পেরিয়ে, সাধারণ শিক্ষার্থীরা এখন রাস্তায় নামতে বাধ্য। যেখানে ৫১ জনের ম্যানেজম্যান্টেই বিপাকে, সেখানে এবছর থেকে ভর্তি হচ্ছে ৭৫ জন।
কেন হচ্ছে না ? বিভিন্ন মহল থেকে জানা যায় - প্রকল্প পরিচালকের পদ আপাতত শূন্য। ডিপিপি, ডিজি হেলথ দ্বারা প্রণয়ন হলেও প্ল্যানিং কমিশনে আটকা। একনেকে তো যেতেই পারলো না।
এতো প্রতিকূলতার মাঝেও এখানকার শিক্ষার্থীরা যে বাংলাদেশের সব স্বনামধন্য মেডিকেলের সাথে একই প্রতিযোগিতায় সমান যোগ্যতায় টিকে আছে তা শুধুমাত্র এখানকার স্টুডেন্ট দের নিজের পরিশ্রম এবং আমাদের শিক্ষকদের প্রচেষ্ট রাঙামাটিতে শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যসেবার মিলনস্থল হলো রাঙামাটি মেডিকেল কলেজ, যার উদ্দেশ্য ছিল রাঙামাটিতে উন্নত সেবা নিশ্চিত করা।
পার্বত্য অঞ্চলগুলো এমনিতেই নানা সুবিধাবঞ্চিত। এরই মধ্যে সাধারণ মানুষের চিকিৎসার জন্য তৈরি করোনারি ইউনিটকে (হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীদের সেবা দেয়ার জন্য) গত ১০ বছর ধরে মেডিকেল কলেজের অস্থায়ী একাডেমিক বিল্ডিং হিসেবে ব্যবহারের যৌক্তিকতা আছে কি?
এতে করে রাঙামাটির স্থানীয় মানুষদের স্বাস্থ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করে হচ্ছে।
এর কারণ মূলত একটাই। তা হচ্ছে, রাঙামাটি মেডিকেল কলেজের স্থায়ী ক্যাম্পাস না থাকা।
অথচ ২০১৪ সালে একই সাথে প্রতিষ্ঠিত হওয়া ৬টি জেলার (মানিকগঞ্জ, টাঙ্গাইল পটুয়াখালী, রাঙামাটি, সিরাজগঞ্জ, জামালপুর) মধ্যে কেবল রাঙামাটি মেডিকেলেই কোনো স্থায়ী ক্যাম্পাস নেই। বাকি ৫টি জেলার মেডিকেলে স্থায়ী ক্যাম্পাস আছে এবং স্বাস্থ্যসেবায় তারা অগ্রাধিকার পেয়েছে, যা রাঙামাটিবাসীরও প্রাপ্য ছিলো। কিন্তু, যথাযথ পদক্ষেপের অভাবে ব্যাহত হচ্ছে পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা।
এই বঞ্চনা আর কত দিন ? মুমূর্ষু রোগীকে লাইফ সাপোর্ট দেয়ার জন্য কোনো আইসিইউ নেই একটি জেলা সদর হাসপাতালে। কি লজ্জা! অধিকাংশকেই চট্টগ্রাম মেডিকেলে রেফার করতে হয়।
রাঙামাটি পার্বত্য জেলার স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নে কর্তৃপক্ষ এবং জনগণ সবার নজর দেয়া উচিত। নিজের অধিকার নিজে বুঝে নিন।