মঙ্গলবার ● ১২ নভেম্বর ২০২৪
প্রথম পাতা » জয়পুরহাট » জয়পুরহাটে মাদ্রাসা ছাত্র হত্যা মামলায় তিন জনের যাবজ্জীবন
জয়পুরহাটে মাদ্রাসা ছাত্র হত্যা মামলায় তিন জনের যাবজ্জীবন
জয়পুরহাট প্রতিনিধি :: জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার পবাহার গ্রামে মোবাইল ফোন হারানোকে কেন্দ্র করে মাদরাসাছাত্র কিশোর হাসান (১৭) হত্যা মামলায় তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে প্রত্যেকের এক লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও দুই বছর করে কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।
মঙ্গলবার ১২ নভেম্বর বেলা সাড়ে ১২টায় জয়পুরহাট অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক নুরুল ইসলাম এ রায় দেন। এ সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিতি ছিলেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জয়পুরহাট আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এপিপি শামীমুল ইসলাম শামীম।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলো- পাঁচবিবি উপজেলার রশিদপুর আকিয়াপুকুর গ্রামের ওয়াজেদ আলী আকন্দের ছেলে শামীম, আঃ খালেকের ছেলে একরামুল হক মণ্ডল ও বিনধারা গ্রামের ফারুক চৌধুরীর ছেলে মাখন চৌধুরী ওরফে আজমির চৌধুরী।
মামলা সূত্রে জানা যায়, একটি মোবাইল ফোন হারানোকে কেন্দ্র করে ২০১১ সালের ১১ নভেম্বর সকাল ১০টায় রশিদপুর গ্রামে উপরোক্ত আসামিরা মাদরাসাছাত্র হাসানকে হত্যার চেষ্টাকালে দৌড়ে পালিয়ে নিজেকে রক্ষা করে। এরপর ওই দিনি বিকেল ৪টার দিকে আসামিরা পুনরায় হত্যা চেষ্টাকালে হাসান দৌড়ে ধানক্ষেতে গিয়ে লুকিয়ে পড়ে। সেখান থেকে হাসানকে খুঁজে বের করে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এরপর হাসানকে গলায় প্যান্ট পেঁচিয়ে ঘরের তিরে ঝুলিয়ে রাখে। পরের দিন ১২ নভেম্বর সকাল ৬টায় পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। ওই ঘটনায় পাঁচবিবি থানা হত্যা মামলা গ্রহণ করেনি। পরবর্তীতে নিহতের বোন মুনিরা বেগম বাদী হয়ে ২০১২ সালের ৮ জানুয়ারি জয়পুরহাট আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন। আদালত বাদীর অভিযোগে ভিত্তিতে পাঁচবিবি থানায় হত্যা মামলা গ্রহণের নির্দেশ দেন।
পরবর্তী সময়ে মামলার তৎকালীন তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আব্দুল আউয়াল ২০১৩ সালের ৩০ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। দীর্ঘ সাক্ষ্য ও শুনানি শেষে মঙ্গলবার দুপুরে আদালতের বিচারক এ রায় ঘোষণা করেন।
মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী ছিলেন, এপিপি শামীমুল ইমাম শামীম। আর আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন আফজাল হোসেন ও দেলোয়ার হোসেন।