বুধবার ● ১৩ নভেম্বর ২০২৪
প্রথম পাতা » ময়মনসিংহ » ঈশ্বরগঞ্জে চুরি ও ডাকাতি মামলার ৩ আসামী গ্রেফতার
ঈশ্বরগঞ্জে চুরি ও ডাকাতি মামলার ৩ আসামী গ্রেফতার
উবায়দুল্লাহ রুমি, ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি :: ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ থানা পুলিশ গত ২৪ ঘন্টায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে চুরি ও ডাকাতি মামলার ৩ আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার গ্রেফতারকৃত আসামিদের আদালতে সোপর্দ করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি মোঃ ওবায়দুর রহমান।
পুলিশ সুত্রে জানা যায়, উপজেলার আঠারবাড়ি ইউনিয়নের শ্রীফলতলা গ্রামের হোসেন আলীর পুত্র নয়ন মিয়া ওরফে রঙ্গু (৪০) কে আঠারবাড়ি সিএনজি স্ট্যান্ড এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে চুরি মামলাসহ আরো আটটি মামলা রয়েছে। এছাড়াও এসআই আশরাফ আলীর নেতৃত্বে ঈশ্বরগঞ্জ ইউনিয়নের চরহোসেনপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে বাবুল মিয়ার পুত্র ইয়াছিন ইকবাল (২৪) কে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধেও চুরি মামলাসহ আরো সাতটি মামলা রয়েছে।
অপরদিকে এসআই আনোয়ার হোসেন ও এএসআই লিটন হাসানের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে ডাকাতি মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামী উপজেলার জাটিয়া ইউনিয়নের পানান গ্রামের মৃত আবুল কাসেমের পুত্র মাসুদ মিয়া (২৬) কে গ্রেফতার করা হয়।
এ বিষয়ে ঈশ্বরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ওবায়দুর রহমান জানান, পুলিশের বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে চুরি মামলায় দুইজন ও ডাকাতি মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত এক আসামীকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। থানা পুলিশের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
পুলিশের কাছ থেকে ধৃত মাদক কারবারি ছিনতাই মামলার আসামিরা অধরা
ঈশ্বরগঞ্জ :: ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে মাদক কারবারিকে ধরতে গিয়ে পুলিশের উপর হামলা ও ধৃত আসামী ছিনতাইয়ের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার আসামীরা রহস্য জনক কারণে অধরা।
এ ঘটনায় এস আই আক্তারুজ্জামান বাদি হয়ে ৩৪ জনের নাম উল্লেখ করে ও ৮০/৯০জনকে অজ্ঞাত আসামি করে সেদিন একটি মামলা করে। সেই মামলায় কয়েকজন জামিনে থাকলেও বাকীরা ২১ দিনেও ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে। এমনকি অজ্ঞাত ৮০/৯০জনের মধ্যে এখন পর্যন্ত কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এতে সচেতন মহলে শুরু হয়েছে আলোচনা সমালোচনার ঝড়। সে ঘটনায় পুলিশের স্বার্থ জড়িত রয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এলাকাবাসী পুলিশের প্রতি প্রশ্ন তুলে বলেন, পুলিশ যে মামলার বাদি সেই মামলার আসামীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ায়। এরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকে এটা আশ্চর্যের বিষয়। নিশ্চয়ই এতে পুলিশের কোন অস্য উদ্দেশ্য রয়েছে।
পুলিশের বরাত দিয়ে জানা যায় গত মাসের (২২ অক্টোবর) মঙ্গলবার থেকে বিশেষ অভিযান শুরু হয়। তারই ফলশ্রুতিতে সেদিন রাতে ৮ টার দিকে মাদক বেচা কেনা হচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সাদা পোশাকে ঈশ্বরগঞ্জ থানা পুলিশের একটি দল উপজেলার উচাখিলা ইউনিয়নের নারায়ণপুর গ্রামের তোতার মোড় এলাকায় অভিযান চালায়। ওই সময় ঘটনাস্থল থেকে জামাল হোসেন ও সাথে থাকা অজ্ঞাত নামা আরেকজনকে গাজাসহ আটক করে। আটকৃত দুইজনকে থানায় নিয়ে আসার সময় আসামীরা গ্রেফতার এড়াতে চিৎকার শুরু করে। আটকৃতদের চিৎকারে সেখানে ৩০-৪০ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল জড়ো হয়ে ভুয়া পুলিশ বলে স্লোগান দিয়ে তাদেরকে ঘিরে ফেলে। পরে পুলিশ ও আটকৃতদের সহ ওই মোড়ে একটি ঘরে নিয়ে যায়। পরে সেখানে তাদের সঠিক পরিচয় জানতে চায়। তারপর পুলিশ তাদের পরিচয় নিশ্চিত করতে পুলিশ লেখা কটি ও আইডি কার্ড দেখানোর পরও তারা বিশ্বাস করনি। পরবর্তীতে পুলিশের হাত থেকে জোর পূর্বক হতকড়ার চাবি নিয়ে আটক মাদক কারবারি জামাল ও তার সহকারী দুজনকেই ছেড়ে দেয় সংঘবদ্ধরা। পরে খবর পেয়ে তৎক্ষণাৎ থানা থেকে পুলিশের আরেকটি টিম ঘটনাস্থলে পৌছে আশপাশের এলাকায় অভিযান চালায়। এ ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে জুবায়ের আহাম্মেদ সিয়াম (২৪) কে পুলিশ আটক করে। আটককৃত সিয়াম উচাখিলা ইউনিয়নের আলীনগর গ্রামের বদরুল হক বাবলুর ছেলে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই আশরাফ আলী বলেন, এই মামলায় অনেকেই জামিনে আছে। আর অজ্ঞাতদের মধ্য থেকে কেই গ্রেফতার নেই।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ওবায়দুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় ৩৪ জনের নাম উল্লেখ করে ৮০/৯০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে থানায় মামলা হয়েছে। তার মধ্যে অনেকেই জামিনে আছে। এ বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তা আরও বিস্তারিত বলতে পারবে।