সোমবার ● ১৮ নভেম্বর ২০২৪
প্রথম পাতা » গুনীজন » নবীগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধা ক্ষিতিশ চন্দ্র দাসের পরলোকগম রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রদান
নবীগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধা ক্ষিতিশ চন্দ্র দাসের পরলোকগম রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রদান
উত্তম কুমার পাল হিমেল,নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি :: নবীগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধা বাউসা ইউনিয়নের রিফাতপুর গ্রামের বাসিন্ধাও সাবেক ইউপি সদস্য ক্ষীতিশ চন্দ্র দাস (৭৮) আর নেই। তিনি ১৮ নম্বেবর সোমবার ভোর ৮টা ৫ ঘটিকায় নিজ বাড়িতে ইহলোক ত্যাগ করে পরলোক গমন করেছেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী,৪ পুত্র,২ কন্যাসহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজন রেখে গেছেন।
নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনুপম দাশ অনুপের নের্তৃত্বে প্রশাসনের লোকজন রাষ্টীয় মর্যাদা গার্ড অব অর্নার প্রদান করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন থানার ভারপ্রাপ্ত( ওসি) কামাল হোসেন পিপিএম, এস,আই রাজিব আহমেদ ও এস,আই,শুভ দেব নাথ। তাঁর শেষকৃত্যনুষ্টান ঐদিন দুপুর ২ টার সময় রিফাতপুর পশ্চিম শ্মশানঘাটে অনুষ্টিত হয়।বীর মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যুর খবর শোনে তাঁকে শেষবারের মত এক নজর দেখার জন্য রিফাতপুর নিজ বাড়ীতে ছুটে যান, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সিদ্দিক রহমান,মুক্তিযোদ্ধা রথীন্দ্র চন্দ্র,সাবেক মেম্বার হারুন মিয়া, প্রেসক্লাবের সদস্য সাগর আহমেদ, জুয়েল চৌধুরী, সুমন আহমেদসহ রাজনৈতিক সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। এসময় নের্তৃবৃন্দ বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্ষীতিশ চন্দ্র দাসের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
নবীগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মা-ছেলের করুন মৃত্যু
হবিগঞ্জ :: হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ পৌর এলাকায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মা-ছেলের মৃত্যু হয়েছে। এঘটনায় এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ১৮ নভেম্বর
সোমবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে নবীগঞ্জ পৌরসভার গয়াহরি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মারা যাওয়া দুইজন হলেন- পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর প্রানেশ চন্দ্র দেবের মা-ভাই গয়াহরি গ্রামের দুর্গা চরণ দেবের স্ত্রী অনিমা চন্দ্র দেব (৭০) ও দুর্গা চরণ দেবের ছেলে নিপেশ চন্দ্র দেব (৪৫)।
জানা যায়- সকালে গয়াহরি গ্রামের দুর্গা চরণ দেবের স্ত্রী অনিমা চন্দ্র দেব বসত ঘরের বাথরুমে গোসল করতে যান। বাথরুমের ভিতরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন অনিমা চন্দ্র দেব। এসময় অনিমা চন্দ্র দেবকে বাঁচাতে ছেলে নিপেশ চন্দ্র দেব এগিয়ে গেলে অনিমাকে স্পর্শ করা মাত্রই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন নিপেশ। পরে পরিবারের লোকজন মা-ছেলেকে উদ্ধার করে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুইজনকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে নবীগঞ্জ থানার এসআই পিযুষ কান্তি দেব হাসপাতালে গিয়ে লাশের সুরাতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেন। এদিকে মা ছেলের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে গয়াহরি গ্রামসহ আশপাশ এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
নবীগঞ্জ থানার ওসি মো. কামাল হোসেন বিদ্যুৎম্পৃষ্ট হয়ে মা-ছেলের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।