সোমবার ● ২ ডিসেম্বর ২০২৪
প্রথম পাতা » কিশোরগঞ্জ » মোকলেছুর রহমান এর মৃত্যুতে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির শোক
মোকলেছুর রহমান এর মৃত্যুতে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির শোক
১ ডিসেম্বর রবিবার সন্ধ্যা ৬.৪০ মিনিটে ভাগলপুর জহুরুল ইসলাম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কমরেড মোকলেছুর রহমান শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। তার এই অকাল মৃত্যুতে বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক এক শোকবার্তায় গভীর শোক জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন কমরেড মোকলেছুর রহমান তার জীবনের পুরোটা সময় ব্যয় করেছেন শ্রমজীবী - মেহনতী - খেটে খাওয়া মানুষের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক এবং সামাজিক মুক্তির জন্য লড়াই সংগ্রাম করে। রাজনৈতিক জীবনের শুরু থেকে জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত শ্রমিক শ্রেণীর মুক্তির একমাত্র পথ মার্ক্সবাদ- লেনিনবাদ এর বিপ্লবী মতাদর্শের প্রতি তার ছিল অবিচল আস্থা ও বিশ্বাস। নানা ঘাত প্রতিঘাত, সংকট, সমস্যা ও প্রতিকুল পরিস্থিতি মোকাবেলা করে তিনি বৈপ্লবিক জীবন বাঁচিয়ে রেখেছিলেন। তিনি বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য ছিলেন। কিছু দিন তিনি বিপ্লবী কৃষক সংহতির দায়িত্বও পালন করেছেন। পুরান ঢাকায় গড়ে উঠা ছোট ছোট জুতার কারখানায় শ্রমিকদের নিয়ে বিপ্লবী পাদুকা শিল্প শ্রমিক সংহতি নামক সংগঠন গড়ে তোলার ক্ষেত্রে কমরেড মোকলেছুর রহমান গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি বিপ্লবী পাদুকা শিল্প শ্রমিক সংহতির উপদেষ্টাও ছিলেন আমৃত্যু।
কমরেড মোকলেছুর রহমানের মত এমন দক্ষ গণভিত্তি সম্পূর্ণ গ্রামীণ সংগঠক এই সময়ে পার্টিতে পাওয়াটা কঠিন। তার এই প্রায়ানে শ্রমিক ,কৃষক ও মেহনতী মানুষ তাদের অত্যান্ত নিকটতম আপনজনকে হারালো ,যা তাদের মুক্তির লড়াইয়ে অপুরনীয় ক্ষতির সমতুল্য।
কমরেড মোকলেছুর রহমান ব্যক্তি জীবনে চার পুত্র এবং এক কন্যা সন্তানের জনক। তার জীবন সঙ্গিনি ও তার সন্তানেরা সবাই তার এই সমাজতান্ত্রিক মতাদর্শ ও রাজনীতিকে সমর্থন ও সহযোগীতা করেছেন। তার এক পুত্র এডভোকেট ফাইজুর রহমান মনির বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় সংগঠক এবং আরেক পুত্র বিপ্লবী ছাত্র সংহতির কেন্দ্রীয় নেতা। তার পুরো পরিবার এবং আমাদের পার্টি প্রায় একটি পরিবারের মত।
আমাদের বহুদশকের এই সহযোদ্ধার অকাল প্রায়াণে তার সংগ্রামী জীবনের প্রতি পার্টির পক্ষ থেকে গভীর শ্রদ্ধা ও রক্তিম সালাম জানাই।